রুশ স্থাপনায় হামলা বাড়িয়েছে ইউক্রেন

রুশ স্থাপনায় হামলা বাড়িয়েছে ইউক্রেন

সংগৃহীত

পশ্চিমাদের কাছ থেকে ইউক্রেন যত অস্ত্র ও গোলাবারুদ পাচ্ছে, রুশ বাহিনীর স্থাপনায় হামলা ততই বাড়ছে।

হারানো বাখমুত শহর পুনরুদ্ধারে রাশিয়ার ফ্রন্টলাইনকে ‘নরকে’ পরিণত করেছে ইউক্রেনীয় যোদ্ধারা। 

রয়টার্সকে সেখানকার এক ইউক্রেনীয় কমান্ডার বলেন, গত সপ্তাহে ক্লিশচিভকার প্রধান গ্রামটি দখলে নেওয়ার পর উচ্ছ্বসিত ইউক্রেনীয় সেনারা। তারা যুক্তরাষ্ট্রের ১৫৫ মিলিমিটার হাউইটজারের ব্যাপক প্রশংসা করেছে।

ইউনিট কমান্ডার ওলেক্সান্ডার বলেন, ইউক্রেনের সশস্ত্র বাহিনী পোল্যান্ডের তৈরি ক্র্যাব বন্দুক ও মার্কিন ‘এম-১০৯’ স্ব-চালিত হাউইটজারসহ ভারী কামানের ওপর অনেকটা নির্ভর।

শুক্রবার সেভাস্তোপোলে রাশিয়ার কৃষ্ণসাগর নৌবহরের সদরদপ্তরে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালানোর দাবি করেছে ইউক্রেন। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে আসা হামলার একাধিক ভিডিও ফুটেজে দেখা যায়, ভবনটির ছাদ থেকে সাদা ধোঁয়া আকাশে উড়ছে।

ইউক্রেনের সামরিক বাহিনীর এ হামলায় আরও ১৬ জন আহত হয়েছেন। হতাহতদের মধ্যে রাশিয়ার সামরিক বাহিনীর দুই জেনারেলও রয়েছেন বলে দাবি ইউক্রেনের সামরিক বাহিনীর।

হামলার পরপরই রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় বলেছিল, হামলায় তাদের নৌবহরের সামরিক এক কর্মী নিখোঁজ হয়েছেন। তবে বুদানোভ রাশিয়ার কৃষ্ণসাগর নৌবহরের কমান্ডার অ্যাডমিরাল ভিক্টর সোকোলভের মৃত্যুর তথ্য নিশ্চিত করেননি।

২০১৪ সালে সামরিক অভিযান চালিয়ে ইউক্রেনের কাছ থেকে ক্রিমিয়া উপদ্বীপ দখলে নেয় রাশিয়া। গত বছর ইউক্রেনে রুশ সামরিক অভিযান শুরুর পর এই অঞ্চলটি ইউক্রেনীয় আক্রমণের শিকার হতে শুরু করে। তবে সাম্প্রতিক সপ্তাহগুলোতে ক্রিমিয়ায় ইউক্রেনের হামলা ও হামলার চেষ্টা বেশ বৃদ্ধি পেয়েছে।

অবশ্য সামরিক অভিযান চালিয়ে ইউক্রেনের কাছ থেকে রাশিয়া ক্রিমিয়া দ্বীপের দখল নিলেও বিশ্বের বেশিরভাগ দেশ মস্কোর সেই দখলদারিত্বকে স্বীকৃতি দেয়নি।

এছাড়া ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কিও ক্রিমিয়াকে রাশিয়ার দখলদারিত্ব থেকে মুক্ত করার প্রতিশ্রুতি দিয়ে রেখেছেন।