কিয়েভের শান্তি পরিকল্পনা ‘অবাস্তব’: ল্যাভরভ

কিয়েভের শান্তি পরিকল্পনা ‘অবাস্তব’: ল্যাভরভ

সংগৃহীত

যুদ্ধ বন্ধে ইউক্রেনের শান্তি পরিকল্পনাকে ‘অবাস্তব’ আখ্যা দিয়েছেন রাশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী সার্গেই ল্যাভরভ। শনিবার নিউইয়র্কে জাতিসংঘ সদরদপ্তরে সাধারণ পরিষদের অধিবেশনে দেওয়া ভাষণে তিনি এ কথা বলেন।

ল্যাভরভ বলেন, কিয়েভের প্রচারিত ১০ দফা শান্তি প্রস্তাব কখনও বাস্তবায়ন সম্ভব নয়। সবাই জানে, এটি বাস্তবসম্মত নয়। অথচ তারা বলে বেড়ায়, এটিই শান্তি আলোচনার একমাত্র ভিত্তি। ইউক্রেনকে সহায়তা করায় জাতিসংঘে দেওয়া ভাষণে পশ্চিমা বিশ্বকে তুলাধুনা করেছেন ল্যাভরভ। পশ্চিমাদের ‘মিথ্যার সাম্রাজ্য’ আখ্যা দিয়ে তিনি বলেছেন, পশ্চিমা বিশ্বের রাজনীতিবিদ ও নীতিনির্ধারকরা রাশিয়াকে যে কোনো মূল্যে কৌশলগতভাবে হারানোর লোভে অন্ধ হয়ে গেছে। 

যুক্তরাষ্ট্র ও তার মিত্র দেশগুলোর বর্তমান রাশিয়ানীতির বিষয়ে মন্তব্য করতে গিয়ে ল্যাভরভ বলেন, রাশিয়ার ওপর কৌশলগত পরাজয় আরোপের একটি লক্ষ্য ইতোমধ্যে ঘোষণা করা হয়েছে। এ মোহ শেষ পর্যন্ত বেপরোয়া পশ্চিমা বিশ্বের রাজনীতিবিদদের দৃষ্টিকে ঝাপসা করে দিয়েছে। এর ফলে তারা এক ধরনের দায়মুক্তির অনুভূতি অনুভব করছে।  

এদিকে রাশিয়ার হুমকি উপেক্ষা করে কৃষ্ণসাগর হয়ে তুরস্কে পৌঁছেছে ইউক্রেনীয় গমের দ্বিতীয় চালান। পালাউ পতাকাবাহী বাল্ক ক্যারিয়ার আরোয়াট ১৭ হাজার ৬০০ টন গম নিয়ে শুক্রবার বন্দর শহর চোরনোমর্স্ক ছেড়ে মিসরের উদ্দেশে রওনা হয়েছিল। গতকাল রোববার এটি ইস্তাম্বুলে পৌঁছায়।  যুদ্ধের জেরে কৃষ্ণসাগর দিয়ে ইউক্রেনের শস্য রপ্তানিতে বাধা দেয় রাশিয়া। এতে বিশ্বজুড়ে খাদ্য সরবরাহে ব্যাপক ঘাটতি দেখা দেয়। 

অন্যদিকে বিশ্বমঞ্চে পোল্যান্ডকে অপমান করা নিয়ে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কিকে হুঁশিয়ারি বার্তা দিয়েছেন পোলিশ প্রধানমন্ত্রী মাতেউসজ মোরাউইকি। ফলে শস্য রপ্তানি নিয়ে দুই দেশের মধ্যে যে দ্বন্দ্ব শুরু হয়েছে, তা আরও গভীর হচ্ছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। শুক্রবার পোল্যান্ডের শহর সুইডনিকে বিশাল জনতার সামনে বক্তৃতা দেন মোরাউইকি। এ সময় তিনি বলেন, আমি জেলেনস্কিকে বলতে চাই– এবার জাতিসংঘে যা করেছেন, সেভাবে পোল্যান্ডকে আর অপমানের চেষ্টা করবেন না। পোল্যান্ডের মানুষ এমনটা আর হতে দেবে না। 

এ ছাড়া যুক্তরাষ্ট্র সফরে দেশটির শীর্ষ ব্যবসায়ীদের সঙ্গে বৈঠক করার দাবি করেছেন জেলেনস্কি। তিনি বলেছেন, মাইকেল ব্লুমবার্গসহ নেতৃস্থানীয় আমেরিকান উদ্যোক্তা এবং অর্থদাতাদের সঙ্গে বৈঠক হয়েছে আমার। মার্কিন ব্যবসায়ীদের সঙ্গে ইউক্রেনে বিনিয়োগের সুযোগ নিয়ে আলোচনা করেছি। আমরা যুদ্ধে ইউক্রেনের বিজয় এবং যুদ্ধের পর দেশ পুনর্গঠন নিয়ে কাজ করছি। খবর আলজাজিরা ও সিএনএনের।