ধর্ষককে গণপিটুনি দিয়ে পুলিশে সোপর্দ

ধর্ষককে গণপিটুনি দিয়ে পুলিশে সোপর্দ

প্রতীকী ছবি

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবায় বুদ্ধিপ্রতিবন্ধী এক কিশোরীকে (১৫) ধর্ষণের অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় ধর্ষক রিপন মিয়াকে (৪০) পুলিশে সোপর্দ করেছে স্থানীয়রা। বুদ্ধিপ্রতিবন্ধী কিশোরীর ভাবী রুবি আক্তার বাদী হয়ে মঙ্গলবার সকালে ধর্ষক রিপন মিয়াকে আসামি কসবা থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা দায়ের করেছে। অভিযুক্ত রিপন মিয়া জয়পুর গ্রামের মৃত চারু মিয়ার ছেলে। 

মামলার বাদী প্রতিবন্ধী কিশোরীর ভাবী রুবি আক্তার জানান, গ্রামের বাড়ীর সামনে তাদের একটি মুদি দোকান আছে। জয়পুর গ্রামের মৃত চাঁরু মিয়ার পুত্র অটোচালক রিপন মিয়া মুদি মালামাল কেনাকাটার জন্য দোকানে আসা যাওয়া করতো। এই সুযোগে বাদীনির বুদ্ধিপ্রতিবন্ধী কিশোরী ননদের সংগে রিপনের পরিচয় হয়। পরিচয়ের সুবাদে রিপন তাকে প্রায় সময় খাবার কিনে দিতো। ননদের সরলতাকে পুঁজি করে রিপন তার সংগে গত ১৭ সেপ্টেম্বর অটোরিক্সার গ্যারেজে নিয়ে ভয়ভীতি দেখিয়ে ধর্ষণ করে। ঘটনার পর বিষয়টি ভাবীকে জানায় ওই কিশোরী। ভাবী রুবি আক্তার ধর্ষক রিপনকে হাতেনাতে ধরতে গত ২৫ সেপ্টেম্বর সকালে অটোরিক্সা গ্যারেজের সামনে রিপনের অটোরিক্সাটি দেখতে পেয়ে সেখানে যান রুবি আক্তার। এক পর্যায়ে রুবি আক্তার গ্যারেজের ভিতরে প্রবেশ করে দেখতে পান তার বুদ্ধিপ্রতিবন্ধী ননদকে বিবস্ত্র করে জোরপূর্বক মুখ চেপে ধর্ষণ করছে রিপন। ঘটনা দেখে ভাবী রুবি আক্তার চিৎকার শুরু করলে প্রতিবেশীরা ছুটে আসে। 

এসময় রিপন পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করলে স্থানীয় লোকজন রিপনকে ধাওয়া করে আটক করে গনপিটুনি দিয়ে ট্রিপল নাইনে ফোন দেয়। খবর পেয়ে কসবা থানা পুলিশ তাকে আটক করে থানায় নিয়ে আসে। এসময় ভিকটিমকেও উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসে। গণপিটুনিতে আহত ধর্ষক রিপন মিয়াকে পুলিশ পাহাড়ায় উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে। 

কসবা থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা তদন্ত মো. আবদুল বাছেত সরকার জানান, মঙ্গলবার সকালে ধর্ষণের শিকার বুদ্ধিপ্রতিবন্ধী কিশোরীকে শারীরিক পরীক্ষার জন্য ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে