অস্ট্রেলিয়ার কাছে বড় ব্যবধানে হার ভারতের

অস্ট্রেলিয়ার কাছে বড় ব্যবধানে হার ভারতের

সংগৃহীত

তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজ আগেই  জিতে নিয়েছিল ভারত। তৃতীয় ওয়ানডে ম্যাচ ছিল নিয়মরক্ষার এবং একই সঙ্গে অস্ট্রেলিয়ার কাছে সম্মানরক্ষারও বটে। সেই ম্যাচ জিতে নিল অস্ট্রেলিয়া। সিরিজের ফলাফল হলো ২-১। তবে এই ম্যাচ বিশ্বকাপের আগে অজিদের কিছুটা হলেও মনোবল বাড়িয়ে দিল তা বলে দেওয়াই যায়। আবার একই সঙ্গে মেগাইভেন্টের আগে ভারতীয়দের প্রস্তুতিতে বড় ধাক্কা দিল।

আগামী ৮ অক্টোবর এই অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে ম্যাচ দিয়েই বিশ্বকাপ অভিযান শুরু করছে টিম ইন্ডিয়া।  সেই ম্যাচ সব অর্থেই নতুন ম্যাচ। তবে বুধবার (২৭ সেপ্টেম্বর) স্টিভ স্মিথ-ডেভিড ওয়ার্নাররা যে ভারতের বোলিং শক্তির পরীক্ষা নিলেন তা বলাই বাহুল্য। অস্ট্রেলিয়া নির্ধারিত ৫০ ওভারে করেছিল ৭ উইকেটে ৩৫২ রান। ভারতের ইনিংস শেষ হল ২৮৬ রানে। ৬৬ রানে ম্যাচ জিতে নিল অজিরা। 

টস জিতে প্রথমে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নেয় অস্ট্রেলিয়া। শুরুতে ওয়ার্নার ও মিচেল মার্শ শুরুটা বেশ ভালো করেন। ৭৮ রানে প্রথম উইকেট যায় অজিদের। ওয়ার্নার ব্যক্তিগত ৫৬ রানে আউট হন। মার্শ ও স্মিথ এরপর অস্ট্রেলিয়ার ইনিংসে গতি আনার কাজ শুরু করে দেন। একসময়ে দারুণ গতিতে ছুটছিল অজিদের ইনিংস। সেই সময়ে মনে হচ্ছিল অস্ট্রেলিয়া বিশাল রানের টার্গেট দেবে টিম ইন্ডিয়াকে। 

দ্বিতীয় ওয়ানডে ম্যাচে খেলেননি মিচেল মার্শ। তৃতীয় ওয়ানডেতে দুরন্ত ব্যাটিং করেন মার্শ। মাত্র চার রানের জন্য সেঞ্চুরি  হাতছাড়া করেন তিনি। শেষ পর্যন্ত ৯৬ রানে মার্শকে ফেরান কুলদীপ যাদব। অজি ব্যাটারদের মধ্যে ডেভিড ওয়ার্নার (৫৬), মার্শ (৯৬), স্টিভেন স্মিথ (৭৪) ও লাবুশেন (৭২) রান পেলেও বাকিরা রান পাননি। তাতেও অবশ্য সমস্যা হয়নি অস্ট্রেলিয়ার। ভারতের বোলারদের মধ্যে জশপ্রীত বুমরাহ তিনটি উইকেট নেন। ১০ ওভার হাত ঘুরিয়ে ৮১ রান দিয়েছেন তিনি। ম্যাক্সওয়েলকে দুরন্ত ইয়র্কারে বোল্ড করেন বুমরাহ। কুলদীপ যাদব ২টি উইকেট নেন।  

রান তাড়া করতে নেমে রোহিত শর্মা মারমুখী ব্যাটিং শুরু করেন গোড়া থেকেই। অজি বোলারদের মাঠের যত্রতত্র ছুড়ে ফেলছিলেন তিনি। ওয়াশিংটন সুন্দর মাত্র ১৮ রানে ফেরেন। ভারতের রান তখন এক উইকেটে ৭৪। রোহিত ও বিরাট কোহলি ভারতীয় ইনিংসকে টানার কাজ শুরু করেন। ৭০ রানের পার্টনারশিপ গড়েন দুই তারকা। ম্যাক্সওয়েল ফেরান রোহিত শর্মাকে। যেভাবে হিটম্যান (৮১) এদিন এগোচ্ছিলেন, তাতে সেঞ্চুরি করতেই পারতেন। বিরাট কোহলি ব্যক্তিগত ৫৬ রানে ফেরেন। তিনিও ম্যাক্সওয়েলের শিকার। শ্রেয়াস আইয়ার আগের ম্যাচেই সেঞ্চুরি করেছিলেন। এদিন তিনি ৪৮ রান করেন। নিয়মিত উইকেট হারানোর ফলে ভারতের সামনে আস্কিং রেট বাড়ছিল। 

আগের ম্যাচে সূর্যকুমার যাদবের বিস্ফোরণ দেখে মুগ্ধ হয়েছিলেন প্রাক্তনরা। এদিন সূর্যের তেজ দেখা গেল না। মাত্র ৮ রান করেন তিনি। এদিন মঞ্চ প্রস্তুত ছিল সূর্যকুমারের জন্য। কিন্তু তার ব্যাট কথা বলল না। রবীন্দ্র জাদেজার রান পাওয়াটা ভারতের জন্য খুবই দরকার ছিল। সামনে বিশ্বকাপ। জাদেজা দলের গুরুত্বপূর্ণ সদস্য। সেই তিনিই অজিদের বিরুদ্ধে করলেন ৩৫ রান। ম্যাচ অনেক আগেই পকেটস্থ করে নিয়েছিল অস্ট্রেলিয়া। ৪৯.৪ ওভারে ভারত অল আউট হয়ে যায়। অজি বোলারদের মধ্যে ম্যাক্সওয়েল চারটি উইকেট নেন।