নারীদের হার্ট অ্যাটাকের লক্ষণগুলো জেনে নিন

নারীদের হার্ট অ্যাটাকের লক্ষণগুলো জেনে নিন

সংগৃহীত

বর্তমান সময়ে আধুনিক জীবনযাপন, বাইরের খাবার খাওয়া ও মানসিক চাপসহ নানা কারণে দিন দিন হৃদরোগীর সংখ্যা বাড়ছে। হৃদরোগের সমস্যা থাকলে খুবই সচেতন ও সতর্ক থাকতে হয়। এটি এমন রোগ, যা ছোট থেকে বড় কিংবা নারী-পুরুষ সবারই হয়।

অনেকে মনে করেন, পুরুষদের হৃদরোগের ঝুঁকি বেশি। তবে বিশেষজ্ঞদের মতে নারীরা বিপদসীমার বাইরে নন। আর নারীদের ক্ষেত্রে যখন হৃদরোগ ধরা পড়ে তখন খুব বেশি সময় থাকে না তাদের।

হৃদরোগের লক্ষণ নারী এবং পুরুষদের ক্ষেত্র বিশেষ পৃথক হয়ে থাকে। এ জন্য প্রাথমিকভাবে কিংবা শুরুতেই যদি লক্ষণগুলো সম্পর্কে সচেতন থাকা যায়, তাহলে ঝুঁকি থেকে অনেকটা দূরে থাকা যায়। সাধারণত নারীদের ক্ষেত্রে উচ্চ কোলেস্টেরল, উচ্চ রক্তচাপ ও স্থূলতা নারী-পুরুষ সবাইকে প্রভাবিত করে। এবার তাহলে মেয়ো ক্লিনিকের প্রতিবেদন অনুযায়ী নারীদের হৃদরোগ ঝুঁকির লক্ষণগুলো জেনে নেয়া যাক।

ডায়াবেটিস: ডায়াবেটিস আক্রান্ত পুরুষদের তুলনায় নারীদের হৃদরোগ হওয়ার ঝুঁকি বেশি থাকে। আবার ডায়াবেটিস আক্রান্ত নরীদের ব্যথা অনুভবের উপায় পরিবর্তন হয়ে থাকে। এ জন্য অনেক সময় লক্ষণ ছাড়াই নীরবে হার্ট অ্যাটাক হওয়ার ঝুঁকি থাকে।

মানসিক চাপ ও বিষণ্নতা: পুরুষদের তুলনায় নারীদের হৃদয়কে বেশি প্রভাবিত করে মানসিক চাপ ও বিষণ্নতা। স্বাভাবিকভাবেই বিষণ্নতা স্বাস্থ্যকর জীবনধারা এবং অন্যান্য স্বাস্থ্য অবস্থার ক্ষেত্রে খেয়াল রাখতে কঠিন করে তোলে।

ধূমপান: এমন অনেক নারী রয়েছেন যারা ধূমপানে অভ্যস্ত। এ ধূমপানের কারণেও অনেক নারীর হার্ট অ্যাটাক হয়ে থাকে।

মেনোপজ: মেনোপজের পর ইস্ট্রোজেনের মাত্রা কম হলে রক্তনালীতে রোগ হওয়ার ঝুঁকি বাড়ানোর সম্ভাবনা রাখে।

গর্ভাবস্থার জটিলতা: গর্ভাবস্থায় উচ্চ রক্তচাপ হলে তা দীর্ঘমেয়াদি ঝুঁকি বাড়াতে পারে। এ লক্ষণ নারীদের হার্ট অ্যাটাকের সম্ভাবনা বাড়িয়ে তোলে।

প্রসঙ্গত, ছোট থেকে বড়―সব বয়সী নারীদের হৃদরোগকে গুরুত্ব সহকারে নেয়া উচিত। ৬৫ বছরের কম বয়সীদের ক্ষেত্রে, বিশেষ করে যাদের পারিবারিক ইতিহাসে হৃদরোগ রয়েছে তাদের একটু বেশিই সচেতন থাকা উচিত। আর এ সংক্রান্ত কোনো সমস্যা অনুভব করলে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে।