জমি নিয়ে বিরোধের জেরে প্রতিবন্ধী যুবককে কুপিয়ে হত্যা

জমি নিয়ে বিরোধের জেরে প্রতিবন্ধী যুবককে কুপিয়ে হত্যা

প্রতীকী ছবি

জামালপুরের বকশীগঞ্জ উপজেলায় জমি নিয়ে বিরোধের জেরে নিজ বাড়িতে শামীম মিয়া নামে এক শারীরিক প্রতিবন্ধী যুবককে কুপিয়ে হত্যার ঘটনা ঘটেছে। 

মঙ্গলবার সকালে উপজেলার নিলাখিয়া ইউনিয়নের দক্ষিণ কুশলনগর গ্রামে এই ঘটনা ঘটে। 

এছাড়াও শামীমের মা ও তার স্ত্রীর বড় ভাইকেও কুপিয়ে জখম করা হয়েছে।

নিহত শামীম মিয়া (২৫) বকশীগঞ্জের নিয়াখিয়া ইউনিয়নের দক্ষিণ কুশলনগর গ্রামের নায়েব আলীর ছেলে।

নিহত শামীমের স্ত্রী তাসলিমা আক্তার জানান, তার শ্বশুর নায়েব আলীর সঙ্গে তার জেঠা শ্বশুর সাইফুল ইসলামের ১৫ শতাংশ জমি নিয়ে বিরোধ চলে আসছে। সোমবার বিকালে ওই জমিতে বেগুনের চারা রোপণ করেন শামীম মিয়া। কিন্তু রাতে বেগুনের চারাগুলো উপরে ফেলা হয়। মঙ্গলবার সকালে শামীম মিয়া ও তার মা শাহীনা বেগম বিষয়টি জানাতে সাইফুল ইসলামের কাছে গেলে তাদের মধ্যে ঝগড়া বেঁধে যায়। এক পর্যায়ে সাইফুল ইসলামসহ তার ছেলে মনোয়ার হোসেন, উজ্জল মিয়া, আনোয়ার হোসেন শারীরিক প্রতিবন্ধী শামীম মিয়া ও তার মা শাহীনা বেগমকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে ধাওয়া দিলে তারা দুজন তাদের বাড়ির সীমানায় চলে আসে। এ সময় মনোয়ার হোসেন, উজ্জল মিয়া ও আনোয়ার হোসেন প্রতিবন্ধী শামীম মিয়া ও তার মা শাহীনা বেগমকে (৪৫) ধারালো অস্ত্র দিয়ে এলোপাথাড়ি কুপিয়ে জখম করে। শামীমের স্ত্রীর বড় ভাই জাহাঙ্গীর আলম(২৫) হামলা ফেরাতে গেলে তাকেও কুপিয়ে আহত করা হয়। পরে স্থানীয়রা মুমূর্ষু অবস্থায় শামীম মিয়া, শাহীনা বেগম ও জাহাঙ্গীর আলমকে বকশীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেয়। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক শামীম মিয়াকে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করেন। ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার পথেই শামীমের মৃত্যু হয়। বর্তমানে শাহীনা বেগম ও জাহাঙ্গীর আলম উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন।

বকশীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সোহেল রানা জানান, ঘটনাস্থল থেকে রামদা ও ফালাসহ দেশীয় অস্ত্র উদ্ধার করা হয়েছে। একই সঙ্গে হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িতদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।