ঢাকায় ৩ দিনব্যাপী এসএটিআরসি’র ২৪তম সম্মেলন শুরু

ঢাকায় ৩ দিনব্যাপী এসএটিআরসি’র ২৪তম সম্মেলন শুরু

ঢাকায় ৩ দিনব্যাপী এসএটিআরসি’র ২৪তম সম্মেলন শুরু

দক্ষিণ এশীয় টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রক কাউন্সিল (এসএটিআরসি) এর ৩ দিনব্যাপী ২৪তম সম্মেলন ঢাকায় শুরু হয়েছে।ভারত, পাকিস্তান, শ্রীলংকা, নেপাল, ভুটান, আফগানিস্তান, মালদ্বীপ ও ইরানসহ দক্ষিণ এশিয়ার ৯টি দেশের টেলিযোগাযোগ ও তথ্য যোগাযোগ প্রযুক্তি বিষয়ক রেগুলেটরি সংস্থার প্রধান, টেলিকম অপারেটর, সরকারি ও বেসরকারি সংস্থার কর্মকর্তা, টেলিকম ও তথ্যপ্রযুক্তি সংশ্লিষ্ট বিশেষজ্ঞের প্রায় ১০০ জন প্রতিনিধি এতে অংশগ্রহণ করেন।ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের তত্ত্বাবধানে বিটিআরসি ও এশিয়া-প্যাসিফিক টেলিকমিউনিটি (এপিটি) এই সম্মেলনের উদ্বোধন করেন জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী।

ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তফা জব্বার, সচিব আবু হেনা মোরশেদ জামান,বিটিআরসির চেয়ারম্যান শ্যাম সুন্দর সিকদার এবং এপিটি সেক্রেটারি জেনারেল মাসানোরি কোন্ডো অনুষ্ঠানে বক্তৃতা করেন।স্পিকার শিরিন শারমিন টেলিযোগাযোগ ও তথ্যযোগাযোগ প্রযুক্তিতে দক্ষিণ এশিয়াকে ইমাজিন টাইগার আখ্যায়িত করে বলেন, এই অঞ্চলের ৯টি দেশের পারস্পরিক সহযোগিতার মাধ্যমে এই খাতকে আরো বেশি এগিয়ে নেওয়ার জন্য এসএটিআরসি গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখতে পারে।

ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তফা জব্বার বাংলাদেশের টেলিযোগাযোগ খাতের রূপান্তর দেশের আর্থ সামাজিক উন্নয়নে বিস্ময়কর অবদান রাখছে উল্লেখ করে বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ১৯৯৬ থেকে ২০০১ সাল পর্যন্ত সময়ে বাংলাদেশকে কম্পিউটার যুগে রূপান্তর করেন। ২০০৮ সালে ঘোষিত ডিজিটাল বাংলাদেশ কর্মসূচির সফল বাস্তবায়নের পর স্মার্ট বাংলাদেশের অভিযাত্রা আমরা শুরু করেছি।

তিনি আরো বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভিশনারি নেতৃত্বে ইতোমধ্যে দেশের শতকরা ৯৮ শতাংশ এলাকায় মোবাইলের ফোরজি  প্রযুক্তি পৌঁছে গেছে। প্রতি ইউনিয়নে পৌঁছেছে ফাইবার অপটিক ফাইবার। ডিজিটাল সংযুক্তির শক্তিশালী ভিত্তির উপর দাঁড়িয়ে ২০৪১ সালে গড়ে উঠবে স্মার্ট বাংলাদেশ।মন্ত্রী ডিজিটাল সংযুক্তি স্মার্ট বাংলাদেশের মূলভিত্তি উল্লেখ করে স্পিকার বলেন, আমরা প্রধানমন্ত্রীর ঘোষণা অনুযায়ী  আগামী ৪১’ সালে বাংলাদেশকে উন্নত দেশ হিসেবে গড়ে তুলতে বদ্ধপরিকর।

তিনি বলেন, ২০০৮ সালে দেশে টেলিডেনসিটি ছিলো শতকরা ৩০ ভাগ, বর্তমানে টেলিডেনসিটি শতকরা ১০৫ ভাগে উন্নীত হয়েছে।  সে সময় দেশে সাড়ে সাত জিবিপিএস ইন্টারনেট ব্যবহৃত হতো এবং মাত্র ৮ লাখ মানুষ তা ব্যবহার করতো। বর্তমানে প্রায় তের কোটি মানুষ প্রায় ৫ হাজার জিবিপিএস ইন্টারনেট ব্যবহার করছে। ২০৩০ সালে দেশে ৩০ হাজার জিবিপিএস ইন্টারনেট ব্যবহৃত হবে। ২০০৮ সালে প্রতি এমবিপিএস ইন্টারনেটের দাম ছিল ২৭ হাজার টাকা বর্তমানে তা কমিয়ে একদেশ এক রেটে কর্মসূচীর আওতায় মাত্র ৬০ টাকায় নির্ধারণ করা হয়েছে।

সূত্র : বাসস