ভারতীয় কারাগার থেকে মুক্তি পেলো পাথরঘাটার ৬ জেলে

ভারতীয় কারাগার থেকে মুক্তি পেলো পাথরঘাটার ৬ জেলে

সংগৃহীত

বরগুনার পাথরঘাটা থেকে বঙ্গোপসাগরে মাছ ধরতে যাওয়ার সময় এফ.বি. মারিয়া নামে একটি ট্রলারের ইঞ্জিন বিকল হয়ে স্রোতে ভারতীয় জলসীমায় প্রবেশ করায় বাংলাদেশি ছয় জেলে ভারতীয় কারাগার থেকে মুক্তি পেয়েছে।

মঙ্গলবার (৩ অক্টোবর) সন্ধ্যা ৭টায় বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বরগুনা জেলা মৎস্যজীবী ট্রলার মালিক সমিতির সভাপতি গোলাম মোস্তফা চৌধুরী।

এর আগে, ২০২০ সালের ৮ জানুয়ারি ভারতের বন বিভাগ কর্মীরা তাদেরকে আটক করে। আটক জেলেদের অনুপ্রবেশের দায়ে ৩ বছরের সাজা দেয় ভারতীয় আদালত। চলতি বছরের ১৭ আগস্ট ওই ছয় জেলের সাজার মেয়াদ শেষ হলেও মুক্তি মেলেনি। এরপর মঙ্গলবার বিকেল পাঁচটায় ভারতীয় কারাগার থেকে মুক্তি পায়।

মুক্তি পাওয়া জেলেরা হলো বরগুনার পাথরঘাটা উপজেলার চরদুয়ানী ইউনিয়নের চরদুয়ানী গ্রামের মৃত আমির হোসেন জোমাদ্দারের ছেলে মো.বেলাল মাঝি, দক্ষিণ জ্ঞানপাড়া গ্রামের সুলতান চৌকিদারের ছেলে জাহাঙ্গীর হোসেন, তালুকের চরদুয়ানী গ্রামের আ. রব জোমাদ্দারের ছেলে মো. এমাদুল হক, একই এলাকার মৃত হাফেজ জোমাদ্দারের ছেলে মো. শাহিন, জ্ঞানপাড়া গ্রামের আতাহার আলীর ছেলে আবদুল হক ও পিরোজপুরের ভান্ডারিয়া উপজেলার চরখালী এলাকার বাহাদুর চাপরাশির ছেলে মো. ইমরান চাপরাশি।

জানা যায়, ২০১৯ সালের ২৫ ডিসেম্বর বিকেলে পাথরঘাটা মৎস্য অবতরণ কেন্দ্র (বিএফডিসি) ঘাট থেকে তৌহিদুল ইসলামের মালিকানাধীন এফ.বি. মারিয়া নামক একটি ট্রলার ছয় জেলেকে নিয়ে মাছ শিকারের জন্য গভীর সমুদ্রে যাত্রা শুরু করে। কয়েক ঘণ্টা চালানোর পর ইঞ্জিন বিকল হয়ে ট্রলারটি স্রোতে ভাসতে ভাসতে দেশের জলসীমা অতিক্রম করে ভারতে চলে যায়। সেখানে একটি চরে থেকে নোঙর করা অবস্থায় ২০২০ সালের ৮ জানুয়ারি ভারতের বন বিভাগ কর্মীরা তাদেরকে আটক করে। অনুপ্রবেশের অপরাধে ট্রলারটিসহ ছয় জেলেকে মামলা দিয়ে পুলিশের হাতে সোপর্দ করে। পুলিশ আদালতের মাধ্যমে তাদেরকে দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলার বাড়ইপুর কারগারে পাঠায়। সেখানকার আদালত তাদের তিন বছরের কারাদণ্ড দেন।

সে সময় ভারতীয় একটি ফোন নম্বর থেকে কল করে ট্রলারটির মালিক তৌহিদুল ইসলামকে জেলেদের আটকের বিষয়টি জানায়। পরে ওই বছরের ১৫ জানুয়ারি ট্রলারটির মালিক তৌহিদুল ইসলাম নিখোঁজ ছয় জেলের নাম উল্লেখ করে পাথরঘাটা থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেন।

জেলা মৎস্যজীবী ট্রলার মালিক সমিতির সভাপতি গোলাম মোস্তফা চৌধুরী জানান, চলতি বছরের ১৭ আগস্ট ওই ছয় জেলের সাজার মেয়াদ শেষ হয়। সাজা শেষ হওয়ার দেড় মাস পর মঙ্গলবার বিকেলে কারাগার থেকে মুক্তি পায়।

বেনাপোল পোর্ট থানার ওসি কামাল হোসেন ভুঁইয়া জানান, মঙ্গলবার রাত জেলেরা আইনি প্রক্রিয়া শেষে বাংলাদেশে প্রবেশ করেছে। তাদেরকে বাড়ির উদ্দেশ্যে পাঠানো হয়েছে।