অথচ আজ টস করার কথা ছিল তামিমের!

অথচ আজ টস করার কথা ছিল তামিমের!

অথচ আজ টস করার কথা ছিল তামিমের!

আকাশ ছোঁয়ার ইচ্ছে তো সবারই হয়, ইচ্ছে হয় পাহাড়-পর্বতে, সমুদ্রে-সমুদ্রে ঘুরে বেড়াতে। আরো কত শত হাজারো ইচ্ছে ধারণ করে হৃদয়ে। কথায় আছে মানুষ স্বপ্ন দেখে বলেই বাঁচে। স্বপ্ন তো দেখেছিলেন তামিম ইকবালও। কিন্তু...

কিন্তু ভাগ্যের লিখন কি খণ্ডানো যায়, যেখানে নাখোশ জানানোর কোনো সুযোগ নেই, সুযোগ নেই আপত্তি করার। জীবনের গল্পগুলো এমনই হয়, ইচ্ছে-অনিচ্ছা নয়; বিধাতাই লেখেন চিত্রনাট্য।

ধর্মশালায় যখন বাংলাদেশ দল আফগান বধে মাঠে নামবে, বৃষ্টিভেজা বিষণ্ণ দিনে নিজ ঘরে তামিম ইকবাল নীরব দর্শক! এমনটা তো হবার কথা ছিল না। কথা ছিল না তামিমের এখন ঘরে থাকার, দেশে থাকারও কথা ছিল না। সবকিছু ঠিক থাকলে তিনিও তো থাকতেন দলের সাথে, কেন্দ্রবিন্দু হয়ে।

অথচ আজ হিমাচলে তিনিই তো থাকতেন অধিনায়কের ভূমিকায়, টস হাতে তো তামিমকেই দেখা যেতো! বিশ্বকাপে নেতৃত্ব, একজন অধিনায়কের কাছে এরচেয়ে তৃপ্তির আর কী হতে পারে। কিন্তু ভাগ্যের কী নির্মম পরিহাস; সেই তামিম তো অধিনায়ক নেইই, ঠাঁই হয়নি ১৫ জনের বিশ্বকাপ দলেও।

অথচ সমুদ্রেপৃষ্ঠ থেকে দেড় হাজার মিটার উপরের ধর্মশালা স্টেডিয়াম তামিমের ভীষণ পরিচিত। এখানেই তো তিনি ইতিহাস গড়েছিলেন। দেশের হয়ে একমাত্র টি-টোয়েন্টি শতকটা তো এখানেই ছুঁয়েছিলেন। এবারো হয়তো স্বপ্ন ছিল, আবারো হয়তো জয় করতেন হিমাচল শৃঙ্গ। তবে তা আর হলো কই, তামিম রয়ে গেলেন দেশেই।

তবে মেনে নিতেই হবে তামিম ইকবাল বিশ্বকাপে নেই। তবে তামিম না থাকলেও তার স্বপ্নটা রয়ে গেছে। পুরো দলের সাথে তার দেয়া বিশ্বাস মিশে আছে। তামিম হয়তো সেখানেই খুঁজে নিচ্ছেন সুখ, আশায় বুক বাঁধছেন সাথীদের ঘিরে।