মার্কিন প্রতিনিধিরা যা জানার জেনেছেন, এখন সিদ্ধান্ত তাদের : সিইসি

মার্কিন প্রতিনিধিরা যা জানার জেনেছেন, এখন সিদ্ধান্ত তাদের : সিইসি

মার্কিন প্রতিনিধিরা যা জানার জেনেছেন, এখন সিদ্ধান্ত তাদের : সিইসি

প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্রের প্রাক-নির্বাচন বিষয়ক পর্যবেক্ষক দল মূলত বাংলাদেশের প্রি-অ্যাসেসমেন্ট করতে এসেছেন। তাদের মূল ফোকাস হলো সুষ্ঠু, স্বাধীন, অংশগ্রহণমূলক এবং শান্তিপূর্ণ নির্বাচন।

তিনি বলেন, ‘মূল ফোকাসটা হচ্ছে ফ্রি, ফেয়ার, পার্টিসিপেটরি, পিসফুল ইলেকশন। প্রতিনিধিরা যা যা জানার সব জেনেছেন; আমরা বোঝাতে পেরেছি। এখন তারা সিদ্ধান্ত নেবেন অবজারভার টিম পাঠাবেন কি পাঠাবেন না। পাঠালে কবে পাঠাবেন।‘

আজ মঙ্গলবার ছয় সদস্যের মার্কিন প্রতিনিধি দল আগারগাঁওয়ের নির্বাচন ভবনে নির্বাচন কমিশনারদের সাথে দেড় ঘণ্টা বৈঠক করে। ইসির তরফ থেকে বৈঠকে তাদের বিস্তারিত জানানো হয়।

জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে পরিস্থিতি যাচাই করতে শনিবার ঢাকায় পৌঁছায় যুক্তরাষ্ট্রের এই প্রাকনির্বাচনী পর্যবেক্ষক দল। আগামী শুক্রবার পর্যন্ত তারা বাংলাদেশে অবস্থান করবেন।নির্বাচন কমিশনের সাথে বসার আগে তারা আওয়ামী লীগ, বিএনপি ও জাতীয় পার্টির সাথে বৈঠক করেছেন।

এছাড়া বিভিন্ন সরকারি দফতর, রাজনৈতিক দল, নাগরিক সমাজ, নারী সমাজ, সুশীল সমাজ, গণমাধ্যম এবং ঢাকার বিদেশী মিশনের কূটনীতিকদের সাথেও তাদের বসার কথা রয়েছে।

যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রীয় অর্থায়নে ইন্টারন্যাশনাল রিপাবলিকান ইনস্টিটিউট (আইআরআই) ও ন্যাশনাল ডেমোক্রেটিক ইনস্টিটিউট (এনডিআই) যৌথভাবে এই সমীক্ষা মিশন পরিচালনা করছে।

সফর শেষ হলে এই পর্যবেক্ষণ দলের তরফ থেকে একটি বিবৃতি দেয়ার কথা রয়েছে। নির্বাচন আয়োজন বিষয়ে তাদের যদি কোনো উদ্বেগ থাকে, তা জানানোর পাশাপাশি সুপারিশ থাকলে তাও তারা জানাবে।

মঙ্গলাবারের বৈঠক শেষে সিইসি সাংবাদিকদের বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্রের দলটি এসেছে মূলত প্রিঅ্যাসেমেন্টের জন্য। তারা কী করবে আমরা জানি না। আমাদের কাছে যে প্রশ্নগুলো করেছে, আমাদের ইলেকশন কমিশনের রুল, দায়িত্ব, কর্মকাণ্ড সম্পর্কে অনেক কিছু জানতে চেয়েছেন। আমরা সব বোঝাতে পেরেছি।’বৈঠকে ইসি, সরকারের ভূমিকাসহ নির্বাচন প্রক্রিয়ার সার্বিক বিষয় তুলে ধরা হয়েছে বলে জানান হাবিবুল আউয়াল।

তিনি বলেন, ‘ইসি কী রোল প্লে করে, গভার্নমেন্টের রুল কতটুকু, কিভাবে প্লে করে; সরকারের সাথে ইলেকশন কমিশনের কো-অর্ডিনেশন কিভাবে হয়, যার মাধ্যমে পুরো ইলেকশন প্রসেসটা তুলে নিয়ে আসি- তাদের জানিয়েছি। তারা যা যা জানতে চেয়েছেন, জেনেছেন। এখন জেনে কী করবেন আমরা জানি না। পরে হয়ত দেশে ফিরে গিয়ে এটা পর্যালোচনা করে সিদ্ধান্ত নেবেন, তারা কোনো অবজারভার টিম পাঠাবেন কি পাঠাবেন না, পাঠালে কীভাবে পাঠাবে।’আগামী ডিসেম্বরের শেষ সপ্তাহে বা জানুয়ারির প্রথম সপ্তাহে দ্বাদশ সংসদ নির্বাচন হবে।

এ নির্বাচন ঘিরে বিবদমান রাজনৈতিক পরিস্থিতির মধ্যে ইউরোপীয় ইউনিয়নের একটি পর্যবেক্ষণ দলও গত জুলাই মাসে বাংলাদেশে এসেছিল। ‘বাজেট স্বল্পতার কারণে’ পূর্ণাঙ্গ পর্যবেক্ষক দল না পাঠানোর সিদ্ধান্ত ইতোমধ্যে তারা নির্বাচন কমিশনকে জানিয়েছে।