নেত্রকোনায় বৃষ্টিতে ফিসারিদের ক্ষয়-ক্ষতি প্রায় ৬৫০ কোটি টাকা

নেত্রকোনায় বৃষ্টিতে  ফিসারিদের ক্ষয়-ক্ষতি প্রায় ৬৫০ কোটি টাকা

ছবিঃ সংগৃহীত।

নেত্রকোনায় অতিবৃষ্টির পানিতে প্রায় ৬৫০ কোটি টাকার মাছ ভেসে গেছে। মাছ, পোনা এবং অবকাঠামোর ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। এর মধ্যে প্রধান নদ-নদীর পানি কমতে শুরু করেছে। টানা তিন দিনের বৃষ্টিতে সাত শতাধিক ফিসারির মাছ ভেসে যাওয়ায় ক্ষতির মুখে পড়েছেন খামার মালিকরা।

জেলা মৎস্য বিভাগ জানিয়েছে, নেত্রকোনায় এ বছর পৌনে ২ লাখ ফিসারিতে মাছ উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছিল ৪ লাখ ২ হাজার মেট্রিক টন। জেলায় মোট ১ লাখ ১২ হাজার খামারি মাছ চাষ করেন। আশ্বিনের বৃষ্টিতে জেলার ৭০৫টি ফিসারির মাছ ভেসে গেছে। এতে ৬৪৫ কোটির টাকা ক্ষতি হয়েছে মৎস্য চাষিদের।

টানা বৃষ্টিতে মাছের খামারিদের ক্ষতি সবচেয়ে বেশি হয়েছে উল্লেখ করে সদর উপজেলার বর্ণি গ্রামের মৎস্য চাষি নজরুল ইসলাম বলেন, আমার তিনটা পুকুর ডুবে গেছে দুই রাতের বৃষ্টির পানিতে। পুকুরগুলোতে যে মাছ ছিল প্রায় সবই বের হয়ে গেছে। আমার প্রায় সাত লাখ টাকার মাছ চলে গেছে। 

একই উপজেলার মদনপুর গ্রামের ক্ষতিগ্রস্ত চাষি মো. শফিকুল ইসলাম বলেন, তিন দিনের ভারি বৃষ্টিতে আমার সব শেষ। কাইঞ্জা বিলের পানি উপচে চাষের পুকুর ডুবে গেছে। পুকুরগুলো অন্তত দুই হাত পানির নিচে। বিলে একটা খাল আছে। এই খাল খনন করলে এই দশা হতো না। 

জেলা পাউবোর নির্বাহী প্রকৌশলী মো. সারওয়ার জাহান বলেন, বৃষ্টি কমে যাওয়ায় জেলার সব নদ-নদীর পানি কমেছে। সোমেশ্বরী, কংশ ও ধনু নদীর পানিও দ্রুত কমছে।

জেলা মৎস্য কর্মকর্তা মো. শাহজাহান কবীর যুগান্তরকে বলেন, ৭০৫ জন চাষির ১৭৬ হেক্টরের ৭০৫টি ফিসারির থেকে মাছ ও পোনা মিলিয়ে ৪শ মেট্রিক টন মাছ ভেসে গেছে। অবকাঠামোসহ যার ক্ষতির পরিমাণ প্রায় ৬৫০ কোটি টাকা। ক্ষতিগ্রস্ত খামারিদের তালিকা করা হচ্ছে। তাদের সহায়তা দিতে এরই মধ্যে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে।