সাড়ে ৩ মাসে রিজার্ভ কমেছে ৩৬৮ কোটি ডলার

সাড়ে ৩ মাসে রিজার্ভ কমেছে ৩৬৮ কোটি ডলার

ফাইল ছবি

বৈদেশিক মুদ্রা আয়ের চেয়ে ব্যয় বেশি হওয়ায় দেশের রিজার্ভ কমে যাচ্ছে। গত দুই বছরের বেশি সময় ধরে রিজার্ভ কমছে। এর মধ্যে চলতি অর্থবছরের প্রায় সাড়ে ৩ মাসে গ্রস রিজার্ভ কমেছে ৪৬২ কোটি ডলার ও নিট রিজার্ভ কমেছে ৩৬৮ কোটি ডলার। 

রিজার্ভ অব্যাহতভাবে কমে যাওয়াকে অনেকেই উদ্বেগজনক হিসাবে মনে করছেন। তবে কেন্দ্রীয় ব্যাংক মনে করছে, বৈদেশিক মুদ্রা বাজারে আগে যে অস্থিরতা ছিল, এখন তা কিছুটা কমে এসেছে। 

বৈদেশিক মুদ্রার চলতি হিসাবে ঘাটতির পরিবর্তে উদ্বৃত্ত হয়েছে। চলতি অর্থবছর শেষে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়ে আসবে।

চলতি অর্থবছরের শুরুর দিন ১ জুলাই নিট রিজার্ভ ছিল ২ হাজার ৪৭৫ কোটি ডলার। বৃহস্পতিবার দিনের শুরুতে তা কমে দাঁড়িয়েছে ২ হাজার ১০৭ কোটি ডলারে। আলোচ্য সময়ে রিজার্ভ কমেছে ৩৬৮ কোটি ডলার। 

১ জুলাই গ্রস রিজার্ভ ছিল ৩ হাজার ১২০ কোটি ডলার। বৃহস্পতিবার দিনের শুরুতে তা কমে দাঁড়িয়েছে ২ হাজার ৬৮৫ কোটি ডলারে। আলোচ্য সময়ে রিজার্ভ কমেছে ৪৬২ কোটি ডলার।

ওই সময়ে এশিয়ান ক্লিয়ারিং ইউনিয়নের (আকু) দুই দফা দেনা শোধ করা হয়েছে প্রায় ২২৮ কোটি ডলার। বাকি ডলার আমদানি দেনা ও বৈদেশিক ঋণ পরিশোধে বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোর কাছে বিক্রি করেছে।

এদিকে অক্টোবরের গত ১২ দিনে নিট রিজার্ভ কমেছে ৮ কোটি ডলার। ২৭ সেপ্টেম্বর নিট রিজার্ভ ছিল ২ হাজার ১১৫ কোটি ডলার। ওই সময়ে গ্রস রিজার্ভ ছিল ২ হাজার ৭০৬ কোটি ডলার। গ্রস রিজার্ভ কমেছে ২১ কোটি ডলার। ২৮ থেকে ৩০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত সরকারি ছুটি ছিল। ফলে ওই সময়ে রিজার্ভ কমেনি বা বাড়েনি।

এদিকে গত এক সপ্তাহের ব্যবধানে দেশের নিট রিজার্ভ ২ কোটি ডলার বেড়েছে। তবে ১ কোটি ডলার কমেছে গ্রস রিজার্ভ। ৫ অক্টোবর নিট রিজার্ভ ছিল ২ হাজার ১০৫ কোটি ডলার ও গ্রস রিজার্ভ ছিল ২ হাজার ৬৮৬ কোটি ডলার। 

ওই সময়ে কেন্দ্রীয় ব্যাংক বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোর কাছে ডলার বিক্রি কমিয়েছে। এদিকে রেমিট্যান্স বাবদ কিছু ডলার রিজার্ভে যোগ হয়েছে। এসব মিলে রিজার্ভ কিছুটা বেড়েছে। তবে গ্রস রিজার্ভ থেকে বিভিন্ন তহবিলের আকার কমানোর ফলে এর পরিমাণ কিছুটা কমেছে।

বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোর আমদানির দায় ও বৈদেশিক ঋণ পরিশোধে চলতি অর্থবছরের জুলাই থেকে ১১ অক্টোবর পর্যন্ত কেন্দ্রীয় ব্যাংক রিজার্ভ থেকে প্রায় ৩০০ কোটি ডলার বিক্রি করেছে। এদিকে নভেম্বরের প্রথম সপ্তাহে আকুর সেপ্টেম্বর ও অক্টোবরের দেনা শোধ করতে হবে। তখন রিজার্ভ আরও কিছুটা কমতে পারে।