খুলনা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষকদের কর্মবিরতিতে বন্ধ ক্লাস-পরীক্ষা

খুলনা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষকদের কর্মবিরতিতে বন্ধ ক্লাস-পরীক্ষা

খুলনা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষকদের কর্মবিরতি। ছবি: সংগৃহীত

খুলনা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের কর্মবিরতিতে ক্লাস-পরীক্ষা বন্ধ রয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের ৭৩ জন শিক্ষকের নিয়োগ সংক্রান্ত জটিলতার দ্রুত সমাধান ও বিশ্ববিদ্যালয়ের ৩৯ জন শিক্ষকের প্রমোশন নিশ্চিত করা এবং তাদের অর্থনৈতিক ক্ষতিপূরণ দাবিতে কর্মবিরতিতে আছেন শিক্ষকরা।

রোববার (১৫ অক্টোবর) শিক্ষক সমিতির সাধারণ সভায় সোমবার (১৬ অক্টোবর) থেকে অনির্দিষ্টকালের জন্য ক্যাম্পাসের ডিন ও বিভাগীয় অফিসের কাজ বন্ধ রাখার ঘোষণা দেন শিক্ষকরা।

এর আগে ৭ অক্টোবর শিক্ষকদের মানববন্ধন থেকে অনির্দিষ্টকালের জন্য কর্মবিরতির ঘোষণা দেওয়া হয়। ৮ অক্টোবর থেকে এখন পর্যন্ত স্থগিত আছে বিশ্ববিদ্যালয়ের সব ক্লাস ও পরীক্ষা। ৯ অক্টোবর মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করে শিক্ষক সমিতি।

জানা যায়, গত ২০২২ সালের ৩ আগষ্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের ৭৩ জন শিক্ষকের নিয়োগ বাতিলের ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশনা দেয় শিক্ষা মন্ত্রণালয়, যা পরে একটি বিশেষ কমিটির মাধ্যমে পুনর্মূল্যায়ন করা হয়।

শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক ড. মো. আশিকুল আলম বলেন, পুনর্মূল্যায়ন কমিটি ৭৩ জনের ফাইল ও নিয়োগের বৈধতা যাচাই করেছে। দুই মাস ধরে প্রতিবেদনটি মন্ত্রণালয়ে পড়ে আছে। যার ফলে আমরা প্রতিনিয়ত সামাজিকভাবে হেয় প্রতিপন্ন হচ্ছি এবং হতাশায় ভুগছি। অবিলম্বে শিক্ষকদের এ সমস্যা নিরসনের জন্য আকুল আবেদন জানাচ্ছি।

এদিকে এ সমস্যার পরিপ্রেক্ষিতে দীর্ঘ ১১ মাস স্থগিত আছে বিশ্ববিদ্যালয়ের ৩৯ জন প্রভাষকের পর্যায়োন্নয়ন।

খুকৃবি শিক্ষক সমিতির সভাপতি মো. আসাদুজ্জামান বলেন, কয়েকজন ব্যক্তি এ জটিলতা সৃষ্টির জন্য দায়ী। আমাদের ৩৯ জন শিক্ষকের পদোন্নয়ন হচ্ছে না এ জটিলতার জন্য। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন থেকে শুরু করে মন্ত্রণালয়ের কর্তাব্যক্তিরা আমাদের এ সমস্যাটাকে খুব একটা আমলে নিচ্ছেন না।

শিক্ষকরা জানান, তারা শিক্ষা কার্যক্রমে বিঘ্ন করতে চান না এবং এজন্যই তারা নানা সমস্যার মধ্যেও বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্লাস বা পরীক্ষা চলমান রেখে চলেছেন। কিন্তু তারা প্রশাসনের পক্ষ থেকে এ সমস্যা নিরসনের জন্য কোনো দৃশ্যমান পদক্ষেপ লক্ষ্য করছেন না, যা শিক্ষকদের মধ্যে চরম হতাশা সৃষ্টি করেছে। তাই অবিলম্বে এর সমাধান ও শিক্ষকদের পর্যায়োন্নয়ন না দিলে তারা ক্লাসে ফিরবেন না। এ পরিস্থিতিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের সব শিক্ষক একযোগে কর্মবিরতিতে যাওয়ায় স্থবির হয়ে আছে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা কার্যক্রম। এ পরিস্থিতি দীর্ঘ হলে সেশনজট হওয়ার সম্ভাবনা দেখা দিতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।