মালয়েশিয়ার উপকূল থেকে ২৭০ রোহিঙ্গা আটক

মালয়েশিয়ার উপকূল থেকে ২৭০ রোহিঙ্গা আটক

ছবিঃ সংগ্রহীত

মালয়েশিয়ার কর্তৃপক্ষ তার উপকূলের কাছ থেকে প্রায় ২৭০ জন রোহিঙ্গা শরণার্থীকে আটক করেছে। বাংলাদেশ থেকে যাওয়া ওই শরণার্থীরা এক ট্রলারে গত প্রায় দু’মাস ধরে সাগরে ভেসে বেড়াচ্ছিলেন। কিন্তু ওই ট্রলারের আরো দু’শ জন যাত্রীর ভাগ্যে কী ঘটেছে সে সম্পর্কে এখনই কোনো পরিষ্কার ছবি পাওয়া যাচ্ছে না।

মানবাধিকার সংস্থাগুলো রোহিঙ্গাবাহী জাহাজগুলোকে নোঙ্গর করার অনুমতি দেয়ার জন্য মালয়েশিয়ার সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে।

এদিকে মঙ্গলবার মালয়েশিয়ার প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইসমাইল সাবরি ইয়াকুব বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে বলেছেন, চলতি সপ্তাহে আমাদের পানিসীমায় আটক রোহিঙ্গাদের ফেরত নিতে বাংলাদেশের প্রতি আহ্বান জানাবে মালয়েশিয়া। ২০১৭ সালের আগস্টে মিয়ানমারের রাখাইনে দেশটির সেনাবাহিনীর অভিযানের মুখে সংখ্যালঘু লাখ লাখ রোহিঙ্গা মুসলিম বাংলাদেশে পালিয়ে আসে।

এই রোহিঙ্গাদের অনেকেই বিভিন্ন সময়ে সমুদ্রপথে মালয়েশিয়ায় পাড়ি জমানোর চেষ্টা করছে। মালয়েশিয়ার সরকার রোহিঙ্গাদের শরণার্থী হিসেবে স্বীকৃতি দেয় না। দেশটির সরকার বলছে, তারা আর কোনো রোহিঙ্গাকে গ্রহণ করবে না। করোনাভাইরাসের বিস্তারের লাগাম টানতে সীমান্তে ব্যাপক কড়াকড়ি আরোপ করেছে মালয়েশিয়ার সরকার।

সাবরি ইয়াকুব বলেন, রোহিঙ্গাদের এটা জানা উচিত যে- তারা যদি এখানে আসেন, তাহলে এখানে তাদের জায়গা হবে না। যদি দেখা যায় যে আটক রোহিঙ্গারা কক্সবাজার শরণার্থী শিবির থেকে পালিয়েছেন, তাহলে তাদের ফেরত নিতে বাংলাদেশের প্রতি মালয়েশিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় আহ্বান জানাবে বলে জানিয়েছেন এই মন্ত্রী।

সোমবার মালয়েশিয়ার নিরাপত্তাবাহিনীর সদস্যরা অন্তত ২৬৯ রোহিঙ্গাকে আটক করে। দেশটির উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলীয় উপকূলীয় লঙ্কাওয়ি দ্বীপের কাছে একটি ক্ষতিগ্রস্থ নৌকা থেকে তাদের আটক করা হয়।

ইসমাইল সাবরি ইয়াকুব বলেন, আটক রোহিঙ্গাদেরকে ভাষানচরে স্থানান্তরের জন্য বাংলাদেশের প্রতি আহ্বান জানাবে মালয়েশিয়া। এছাড়া বিশ্বের তৃতীয় কোনো দেশে রোহিঙ্গাদের স্থানান্তরের জন্য জাতিসংঘের শরণার্থীবিষয়ক সংস্থা ইউএনএচসিআরের প্রতি আহ্বান জানানোর পরিকল্পনা করছে মালয়েশিয়া।

সূত্র : বিবিসি ও রয়টার্স