ভারতকে ২৫৭ রানের লক্ষ্য দিলো বাংলাদেশ

ভারতকে ২৫৭ রানের লক্ষ্য দিলো বাংলাদেশ

ভারতকে ২৫৭ রানের লক্ষ্য দিলো বাংলাদেশ

ভোরের সূর্য কি সব সময়ই সঠিক পূর্বাভাস দেয়? হয়তো দেয়। তবে আজ দেয়নি। দিনের শুরুটা দেখে মনে হচ্ছিলো, হয়তো বাংলাদেশ খুঁজে পেয়েছে ছন্দ। তবে উদ্বোধনী জুটি ভাঙতেই সেই আশায় গুড়েবালি, একটা সময় দুই শ’তে পৌঁছা নিয়ে দেখা দেয় টানাটানি। সেখান থেকে মাহমুদউল্লাহর ব্যাটে মান বাঁচায় বাংলাদেশ। শেষ পর্যন্ত নির্ধারিত ৫০ ওভারে ৮ উইকেট হারিয়ে ২৫৬ রান করতে পেরেছে টাইগাররা।

বৃহস্পতিবার পুনের মহারাষ্ট্র ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টসে জিতে ব্যাট করতে নেমে তানজিদ তামিম ও লিটন দাসের ফিফটির সাথে মাহমুদউল্লাহ লড়াকু ৪৬ রানে আড়াই শ’ পেরোয় বাংলাদেশ।

বিশ্বকাপের আগে থেকেই বাংলাদেশের বড় মাথা ব্যথার কারণ ছিল ওপেনিং। প্রথম তিন ম্যাচের ব্যর্থতায় যা হয়ে উঠেছিল আরো প্রকট। তবে ভারতের বিপক্ষে আজ সেই ওপেনাররাই এনে দিয়েছিল স্বস্তি। বুমরাহ-সিরাজদের চোখে চোখ রেখে ১৪.৩ ওভারে ৯৩ রান তুলে নেয় বাংলাদেশ। এরপরই ভাঙে উদ্বোধনী জুটি।

দুই ওপেনার খেলছেন দেখেশুনেই। শুরুটা ধীর গতির হলেও সময় নিয়ে নিজেদের গুছিয়ে নিয়েছেন লিটন দাস ও তানজিদ তামিম। নিজেকে প্রমাণ করতে সেরা মঞ্চটাই বেছে নেন তামিম। দারুণ ব্যাট করে তুলে নেন ক্যারিয়ারের প্রথম ফিফটি। তবে এরপর ফিরেছেন দ্রুতই। কুলদীপ যাদবের শিকার হন ৪৩ বলে ৫১ রানে।

এদিন সাকিব আল হাসানের অনুপস্থিতিতে অধিনায়কত্ব পেলেন বটে, তবে অধিনায়কের মতো সামনে থেকে নেতৃত্ব দিতে পারেনিন নাজমুল হোসেন শান্ত। ফেরেন ১৭ বলে মাত্র ৮ রান করে। তামিম-লিটনের এনে দেয়া ছন্দ ধরে রাখতে ব্যর্থ হন। চারে সুযোগ পেয়ে আজও সুযোগ কাজে লাগাতে পারেননি মেহেদী মিরাজ। ১১ বলে ৩ রান করেন এই ব্যাটার।

এদিকে একপ্রান্তে উইকেট পড়লেও লিটনকে নিয়ে ভয়ে ছিল ভারত। কারণটা অজানা নয়। এই ব্যাটার কী করতে পারেন, তা ভালো করেই জানা রোহিত শর্মাদের। জ্বলেও উঠেছিলেন লিটন, তবে ইনিংসটা অসাধারণ করে তোলার আগেই তাকে থামান রাবিন্দ্র জাদেযা। আউট হন ৮২ বলে ৬৬ রানে। বিনা উইকেটে ৯৩ থেকে ২৭.৪ ওভারে ১৩৭ রানের মাথায় ৪ উইকেট হারায় বাংলাদেশ।

বিশ্বকাপে এসে তাওহীদ হৃদয় যেন নিজেকে হারিয়ে খুঁজছেন। খুঁজলেন আবারো। যার ফল ভুগতে হচ্ছে দলকেও। যেখানে প্রয়োজন ইনিংসের গতি বাড়ানো, সেখানে দলকে ঠেলেছেন আরো পেছনে। ৩৫ বলে করেন মোটে ১৬ রান। বড় হয়নি ভায়রা-ভাইয়ের জুটিও। দারুণ খেলতে থাকা মুশফিক ফিরেছেন জাদেযার দারুণ ক্যাচে ৪৬ বলে ৩৮ রান করে।

এরপর থেকে একাই দলকে টানেন মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। অভিজ্ঞ এই ব্যাটারের হাত ধরেই ২০০ পেরোয় দলের সংগ্রহ। পৌঁছে দেন আড়াই শ’র খুব কাছেও। ৪৯.২ ওভারে বুমরাহর শিকার হবার আগে ৩৬ বলে ৪৬ রান করেন মাহমুদউল্লাহ। নাসুম আহমেদের ব্যাটে আসে ১৪ রান। শেষ বলে ছক্কা হাঁকান শরিফুল ইসলাম।

এদিন নিয়মিত অধিনায়ককে সাকিব আল হাসানকে ছাড়াই ভারত বধ মিশনে নামে বাংলাদেশ। চোটের কারণে দলে নেই এই অলরাউন্ডার। সহ-অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত দেন নেতৃত্ব। নেই নিয়মিত মুখ তাসকিন আহমেদও। তাদের বদলে একাদশে এসেছেন হাসান মাহমুদ ও নাসুম আহমেদ।