কোহলির সেঞ্চুরিতে দাপুটে জয় ভারতের

কোহলির সেঞ্চুরিতে দাপুটে জয় ভারতের

সংগৃহীত

বিশ্বকাপ মিশনটা জয় দিয়ে শুরু করলেও টানা দুই হারে কোনঠাসা হয়ে যায় বাংলাদেশ দল। চতুর্থ ম্যাচেও বিরাট কোহলির সেঞ্চুরিতে স্বাগতিক ভারতের কাছে ৭ উইকেটের বড় হারে সেমির স্বপ্ন থেকে আরও দূরে সড়ে গেল বাংলাদেশ। টানা চতুর্থ জয় তুলে নিয়েছে রোহিতের দল। এই জয়ে পয়েন্ট টেবিলের শীর্ষে উঠেছে দলটি।

এই ম্যাচে পয়েন্ট পেতে বাড়তি দায়িত্ব নিতে হতো বোলারদের। কিন্তু সেটা পারলেন না কেউই। উল্টো খাপছাড়া বোলিংয়ে রোহিত-কোহলিদের সামনে দাঁড়াতেই পারেনি তারা। রীতিমতো বল ফেলার জায়গা খুঁজে পাচ্ছিলেন না হাসান-শরিফুলরা।

বৃহস্পতিবার পুনেতে টস জিতে আগে ব্যাটিং করতে নেমে নির্ধারিত ৫০ ওভারে ৮ উইকেট হারিয়ে ২৫৬ রান করেছিল বাংলাদেশ। হাফ সেঞ্চুরি পেয়েছিলেন লিটন ও তামিম। জবাবে খেলতে নেমে ৪২ ওভার ৩ বলে ৩ উইকেট হারিয়ে জয়ের বন্দরে পৌঁছে যায় ভারত। দলের হয়ে সর্বোচ্চ অপরাজিত ১০৩ রান করেছেন কোহলি।

নিজেদের বিশ্বকাপের ইতিহাসে সর্বোচ্চ ওপেনিং জুটি গড়েন তামিম-লিটন। উদ্বোধনী জুটিতে ৯৩ রান সংগ্রহ করেন এই দুই ব্যাটার। তবে এরপরই ছন্দপতন হয় বাংলাদেশের। শেষ পর্যন্ত ৫০ ওভার শেষে ৮ উইকেট হারিয়ে ২৫৬ রান সংগ্রহ করে বাংলাদেশ। তানজিদ তামিম ৪৩ বলে ৫১ ও লিটন ৮২ বলে ৬৬ রান করেন। ভারতের পক্ষে জসপ্রীত বুমরাহ, মোহাম্মদ সিরাজ ও রবীন্দ্র জাদেজা নেন ২টি করে উইকেট।

২৫৭ রানের টার্গেটে ব্যাট করতে নেমে ভারতকে উড়ন্ত সূচনা এনে দেন রোহিত শর্মা ও শুভমান গিল। আগ্রাসী ব্যাটিংয়ে উদ্বোধনী জুটিতে ৮৮ রান সংগ্রহ করেন এই দুই ব্যাটার। এরপর ৫৫ বলে ৫৩ রান করে আউট হন রোহিত। তার বিদায়ের পর ক্রিজে আসা বিরাট কোহলিকে সঙ্গে নিয়ে রানের চাকা সচল রাখেন গিল। তবে দলীয় ১৩২ রানে ৪০ বলে ৪৮ রান করে সাজঘরে ফিরে যান গিল। এরপর ক্রিজে আসা শ্রেয়াস আইয়ারকে সঙ্গে নিয়ে ৪৬ রানের জুটি গড়ে ভারতের জয়ের ভীত গড়ে দেন কোহলি।

দলীয় ১৭৮ রানে ২৫ বলে ১৯ রান করে আউট হন আইয়ার। এরপর ক্রিজে আসা লোকেশ রাহুলকে সঙ্গে নিয়ে ৫১ বলে বাকী থাকতে দলের জয় নিশ্চিত করে মাঠ ছাড়েন কোহলি। রাহুল ৩৪ বলে ৩৪ ও কোহলি ৯৭ বলে ১০৩ রানে অপরাজিত থাকেন। বাংলাদেশের পক্ষে মেহেদি হাসান মিরাজ ২টি ও হাসান মাহমুদ নেন ১টি উইকেট।