সরকারকে যে হুশিয়ারি দিলেন মুফতি ফয়জুল করীম

সরকারকে যে হুশিয়ারি দিলেন মুফতি ফয়জুল করীম

সংগৃহীত

আওয়ামী লীগ সরকার যদি ২০২৪ সালের নির্বাচন ২০১৮ সালের মতো করতে চায়, তাহলে এদেশের মানুষ আর ছাড়বে না। তারা যদি সুষ্ঠু নির্বাচন দিতে ব্যর্থ হন, তাহলে দেশের জনগণ এ সরকারকে ক্ষমতা থেকে টেনেহিঁচড়ে নামাবে। সরকারকে এমনটাই হুশিয়ার করে দিয়েছেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের নায়েবে আমির সৈয়দ মুহাম্মাদ ফয়জুল করীম।

বৃহস্পতিবার (১৯ অক্টোবর) সন্ধ্যা ৭টায় শরীয়তপুর ফায়ার সার্ভিস সংলগ্ন বালুর মাঠে জেলা সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ হুশিয়ারি দেন।

আওয়ামী লীগের সমালোচনা করে ফয়জুল করীম বলেন, পেশিশক্তি প্রদর্শন করা ছাড়া আওয়ামী লীগের দ্বিতীয় কোনো চরিত্র নেই। এদের মধ্যে আদর্শ, নীতি, চরিত্র মহব্বত কোনো কিছুই নেই; আছে শুধু ক্ষমতার মহব্বত। স্বাধীনতার স্লোগান ছিল সাম্য। কিন্তু স্বাধীনতার ৫২ বছর পার হলেও দেশে সাম্য নেই।

তিনি বলেন, আপনি আওয়ামী লীগ করলে চাকরি আছে, টাকা আছে, পেটে ভাত আছে, নামিদামি গাড়ি আছে, সিঙ্গাপুরে চিকিৎসা আছে। কিন্তু আওয়ামী লীগ না করলে ধুঁকে ধুঁকে মরতে হবে। আওয়ামী লীগ করবেন আপনার সামাজিক মর্যাদা আছে, আওয়ামী লীগ করবেন না আপনি যত বড়ই সম্মানিত ব্যক্তি হোন না কেন রাস্তায় ফেলে পেটানো হবে। আওয়ামী লীগ করলে হাজারও গুম-খুন করে বুক উঁচু করে রাস্তায় ঘুরে বেড়াবেন, কিন্তু আওয়ামী লীগ না করলে জেলখানায় পচে পচে মরবেন। তাহলে এজন্যই কি আমরা এ দেশকে স্বাধীন করেছিলাম?

জনগণের ভোটের অধিকার ফিরিয়ে দেওয়ার হুশিয়ারি দিয়ে ফয়জুল করীম বলেন, শেখ হাসিনা সরকার পদ্মা সেতুসহ যতই উন্নয়নের কথা বলুন না কেন, আপনি যদি বাংলাদেশের মানুষের ভোটের অধিকার থেকে বঞ্চিত করেন তাহলে বাংলাদেশের মানুষের কাছে যা কিছু আছে তা নিয়েই আপনার বিরুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়বে। তাই সব প্রকার ঝামেলা বাদ দিয়ে জাতীয় সরকারের অধীনে সুষ্ঠু নির্বাচন দিন।

শরীয়তপুর জেলা সভাপতি তোফায়েল আহমেদ কাসেমীর সভাপত্বিতে অনুষ্ঠিত সমাবেশে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মহাসচিব অধ্যক্ষ হাফেজ মাওলানা ইউনুছ আহমাদ, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা গাজী আতাউর রহমান, সাংগঠনিক সম্পাদক কে এম আতিকুর রহমান, দফতর সম্পাদক মাওলানা লোকমান হোসেন জাফরী, কৃষি ও শ্রম বিষয়ক সম্পাদক আলহাজ্ব আব্দুর রহমান, সাংগঠনিক সম্পাদক (ফরিদপুর বিভাগ) মাওলানা নূরুল ইসলাম আল আমিন, ইসলামী আইনজীবী পরিষদের সহ-সভাপতি এ্যাড. মানিক মিয়া সরদার, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ শরীয়তপুর জেলা শাখার প্রধান উপদেষ্টা হাফেজ মাওলানা শওকত আলী প্রমুখ।