পাকিস্তানের বিপক্ষে আফগানিস্তানই ফেবারিট’

পাকিস্তানের বিপক্ষে আফগানিস্তানই ফেবারিট’

ছবিঃ সংগৃহীত।

বিশ্বকাপে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে হারের পর বেশ চাপে পাকিস্তান। প্রথম দুই ম্যাচে টানা জয়ের পর ভারত-অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে টানা দুই ম্যাচে হারের স্বাদ নিয়েছে দ্য গ্রিন ম্যানরা। আর বাবর আজমদের এমন পারফরম্যান্সে হতাশ সাবেক ক্রিকেটাররা।যে কারণে আগামীকাল ২৩ অক্টোবর আফগানিস্তানের বিপক্ষে ম্যাচ নিয়েও ভয়ে আছেন তারা। এর মধ্যে সাবেক অধিনায়ক রমিজ রাজা তো বলেই দিয়েছেন, পাকিস্তানের বিপক্ষে আফগানরা ফেবারিট হিসেবেই খেলতে নামবে।

নিজের ইউটিউব চ্যানেলে তার ভাষ্য, ক্রিকেটে এমনটা কমই হয় যে একটা ক্যাচ ছাড়লে তার শাস্তি ম্যাচজুড়ে দিতে হয়। ওসামা মির হালুয়ার মতো একটি ক্যাচ ছেড়েছে, বাচ্চাদের জন্য দেওয়া ক্যাচ ছিল এটি। কিন্তু সে ধরতে পারেনি। তখন ১০ রানে ছিল ওয়ার্নারের, পরে সে ১৬৩ রান করেছে। একটি ক্যাচ ছাড়ার এত বড় শাস্তি কোনো দলকে আর পেতে দেখিনি। ওখান থেকেই ম্যাচের রূপ বদলে গেছে। শাহিন যদি তখন ওয়ার্নারকে ফিরিয়ে দিতে পারত, তবে অস্ট্রেলিয়াকে চাপে ফেলা যেত। কারণ, নতুন বলে একবার যদি আশা-ভরসা পাওয়া যায়, তখন সবকিছু অন্য রকম হয়ে যায়। ফিল্ডিং পাকিস্তানের খুবই বাজে ছিল। যে কারণও চাপও তৈরি হয়েছে।

আফগানদের বিপক্ষে ম্যাচ কঠিন হবে বলেও দাবি তার। রমিজের দাবি, পাকিস্তানের জন্য ঘুরে দাঁড়ানো কঠিন হবে। পরের ম্যাচ আফগানিস্তানের বিপক্ষে। চেন্নাইয়ে যেকোনো কিছু হতে পারে। স্পিনের বিপক্ষে পাকিস্তানের ব্যাটসম্যানদের যেমন পারফরম্যান্স, এখানে যেকোনো কিছু হতে পারে। যদি স্পিনিং উইকেট হয়, তবে আমার মনে হয় আফগানিস্তানই ফেবারিট হিসেবে কিছুটা এগিয়ে থাকবে।

তিনি আরও যোগ করেন, ৩৫ থেকে ৩৬ ওভার পর্যন্ত লড়াই বরাবর ছিল। কিন্তু এরপরই মার খেয়েছে পাকিস্তান। সেট ব্যাটসম্যান আউট হয়ে গেছে এবং টেল-এন্ডার ভরসা হতে পারেনি। একটা দিক ঠিক করলে আরেকটা খারাপ হয়ে যায়। বোলিং চললে ব্যাটিং চলে না, আবার ব্যাটিং চলে বোলিং চলে না। আর ব্যাটিং-বোলিং চললে ফিল্ডিং খারাপ হয়ে যায়। কিন্তু সবাই একসঙ্গে জ্বলে না উঠলে কিছু হবে না। স্পিনেও ভালো খেলতে চা পারছে না। আর টেল-এন্ডার অহেতুক শট খেলে। তারা ভয়ে পেয়ে যায়। দুটি বাউন্সার দেখলে পেছনে সরে যায়। যদি আরও ভালো অধিনায়ক হতো, তবে টেল-এন্ডার এমন ভয় পেয়ে যাওয়ার প্রশ্নই আসে না। আমাদের সময় ইমরান খান ছিলেন, এ ধরনের ব্যাটিং দেখলে উনি বাদ দিয়ে দিতেন। কারণ, এটা যেকোনো দলের জন্য বাজে প্রচারণা যে তাদের টেল-এন্ডার ফাস্ট বোলিং দেখে পালিয়ে গেছে।

উল্লেখ্য, বেঙ্গালুরুর চিন্নাস্বামী স্টেডিয়ামে দুই ওপেনার ডেভিড ওয়ার্নার ও মিচেল মার্শের জোড়া সেঞ্চুরিতে ৩৬৭ রানের বড় সংগ্রহ দাঁড় করায় অস্ট্রেলিয়া। জবাবে রান তাড়া করতে গিয়ে ২৭ বল আগেই ৩০৫ রানেই অল-আউট হয়ে যায় পাকিস্তান। এতে ৬২ রানের পরাজয় বরণ করে ম্যান ইন গ্রিনরা।