পাকিস্তানকে উড়িয়ে আফগানিস্তানের ঐতিহাসিক জয়

পাকিস্তানকে উড়িয়ে আফগানিস্তানের ঐতিহাসিক জয়

সংগৃহীত

বিশ্বকাপের বর্তমান চ্যাম্পিয়ন ইংল্যান্ডকে হারিয়ে চলতি আসরের প্রথম অঘটনের জন্ম দিয়েছিল আফগানিস্তান। এবার প্রতিবেশী পাকিস্তানকে উড়িয়ে দিয়ে ইতিহাস গড়ল আফগানরা। বিশ্বকাপের মতো গুরুত্বপূর্ণ টুর্নামেন্টে বাবর আজমদের ৮ উইকেটে হারাল হাসমতউল্লাহ শহীদির দল। এতে অষ্টমবারের মুখোমুখি দেখায় পাকিস্তানের বিপক্ষে প্রথম কোনো ওয়ানডে ম্যাচে জয়ের স্বাদ পেল এশিয়ার উঠতি দলটি।

সোমবার (২৩ অক্টোবর) চেন্নাইয়ের এম এ চিদাম্বারাম স্টেডিয়ামে চলমান বিশ্বকাপের ২২তম ম্যাচে প্রথমে ব্যাটিংয়ে নেমে নির্ধারিত ৫০ ওভারে ৭ উইকেট হারিয়ে ২৮২ রান সংগ্রহ করেছিল পাকিস্তান। বাবর আজম দলের হয়ে সর্বোচ্চ ৭৪ রান করেন। ওপেনার আবদুল্লাহ শফিক করেন ৫৮ রান। বোলিংয়ে আফগানিস্তানের হয়ে ৪৯ রানে ৩ উইকেট শিকার করেন চায়নাম্যান নূর আহমেদ।

এরপর ২৮৩ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে ওপেনারদের পর টপ অর্ডারের ব্যাটারদের দৃঢ়তায় ৪৯ ওভারেই জয়ের বন্দরে পৌঁছে যায় আফগানিস্তান। ওয়ানডে ক্রিকেট বিশ্বকাপে এটি আফগানদের তৃতীয় জয়। এর আগে ২০১৫ সালের বিশ্বকাপে স্কটল্যান্ডকে হারিয়ে প্রথমবার জয় পেয়েছিল আফগানরা। আর চলতি আসরে ইংল্যান্ডকে হারানোর পর পাকিস্তানের বিপক্ষে জয়ে সেমির পথে টিকে রইল রশিদ-নবীরা।

২৮৩ রানের লক্ষ্য তাড়ায় উড়ন্ত শুরু পায় আফগানিস্তান। রহমানুল্লাহ গুরবাজ ও ইব্রাহিম জাদরানের দুর্দান্ত ব্যাটিংয়ে প্রথম পাওয়ার প্লেতে কোনো উইকেট না হারিয়ে ৬০ রান তুলে আফগানিস্তান। ৬৫ রান করে গুরবাজ ফিরলে ভাঙে ১৩০ রানের উদ্বোধনী জুটি।

গুরবাজ ফিফটি করে ফিরলেও আরেক ওপেনার ইব্রাহিম হাঁছিলেন সেঞ্চুরির পথে। তার দুর্দান্ত ইনিংসের শেষটা হয়েছে হতাশায়! সেঞ্চুরির থেকে ১১ রান দূরে থাকতে ফিরেছেন সাজঘরে। সেঞ্চুরি হাতছাড়ার আক্ষেপটা তার নিশ্চয়ই আছে!

তিনে নেমে শুরু থেকেই সাবলীল ব্যাটিং করেন রহমত শাহ। হাশমতউল্লাহ শাহিদিকে সঙ্গে নিয়ে চতুর্থ উইকেটে গড়েছেন অবিচ্ছিন্ন ৯৬ রানের জুটি। এই দুইজনই দলকে ম্যাচ জিতিয়ে মাঠ ছেড়েছেন। রহমতের ব্যাট থেকে এসেছে অপরাজিত ৭৭ রান।

এর আগে টস জিতে প্রথমে ব্যাট করতে নেমে দারুণ সূচনা করেন পাকিস্তানের দুই ওপেনার ইমাম-উল হক ও আবদুল্লাহ শফিক। উদ্বোধনী জুটিতে তারা দুজনে মিলে দেখেশুনে ব্যাট করে স্কোরবোর্ডে ৫৬ রান তোলেন।

তবে প্রথম পাওয়ার প্লের পরপরই বিদায় নেন ইমাম। ২২ বলে ২ বাউন্ডারিতে ১৭ রানেই থামে বাঁহাতি এই ব্যাটারের ইনিংস। ইমাম অল্পতেই বিদায় নিলেও ঠিকই ফিফটি তুলে নেন আরেক ওপেনার শফিক। কিন্তু মাইলফলক স্পর্শের পর ৫৮ রানেই থামেন তিনি।

এরপর ব্যর্থ হয়েছেন মোহাম্মদ রিজওয়ান ও সউদ শাকিলরা। তবে একপ্রান্ত আগলে রেখে ফিফটি তুলে নিয়েছেন পাক অধিনায়ক বাবর আজম। তবে সেঞ্চুরির আশা জাগিয়েও তার ব্যাট থেকে এসেছে ৭৪ রান।

শেষের দিকে ইফতিখার আহমেদ-শাদাব খানের জুটিতে আবারও নিয়ন্ত্রণ নেয় পাকিস্তান। ইফতিখার ও শাদাব সমান ৪০ রান করে করেছেন। তাদের দুর্দান্ত ফিনিশিংয়েই ২৮২ রানের লড়াই করার পুঁজি পেয়েছিল পাকিস্তান।