গাজায় গণহত্যার মূলহোতা পশ্চিমা বিশ্ব : এরদোয়ান

গাজায় গণহত্যার মূলহোতা পশ্চিমা বিশ্ব : এরদোয়ান

সংগৃহীত

অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলি গণহত্যাযজ্ঞের পেছনের মূলহোতা পশ্চিমারা বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ান। ইস্তাম্বুলে ফিলিস্তিনিদের সমর্থনে আয়োজিত বিশাল এক বিক্ষোভ-সমাবেশে এই হুঁশিয়ারি দিয়েছেন তিনি। 

লাখ লাখ মানুষের সমাবেশে দেওয়া ভাষণে এরদোয়ান তুরস্কের অবস্থানের পুনরাবৃত্তি করে বলেন, হামাস কোনো সন্ত্রাসী সংগঠন নয়, বরং স্বাধীনতাকামী। আর ইসরায়েল অবৈধ দখলদার।

তিনি বলেন, ‘আমরা সারা বিশ্বকে বলব, ইসরায়েল যুদ্ধাপরাধী। আমরা এর জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছি। গাজায় গণহত্যার মূলহোতা পশ্চিম।’ ইসরায়েলের কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘পশ্চিমারা ইসরায়েলের কাছে ঋণী, কিন্তু তুরস্ক ঋণী নয়।’

এর আগে, গত বুধবার ফিলিস্তিনের স্বাধীনতার দাবিতে লড়াই করে আসা গাজা উপত্যকার ক্ষমতাসীনগোষ্ঠী হামাসকে পশ্চিমারা ‘সন্ত্রাসী’ সংগঠন হিসেবে দেখায় এর তীব্র সমালোচনা করেন এরদোয়ান। তিনি বলেন, হামাস সন্ত্রাসী সংগঠন নয়, বরং তারা স্বাধীনতাকামী যোদ্ধা; যারা নিজেদের ভূমি রক্ষার জন্য লড়াই করছেন।

গাজায় বেসামরিক নাগরিকদের ওপর ইসরায়েলের নির্বিচার হামলা ও হত্যাযজ্ঞের নিন্দাও জানান তিনি। এ সময় গাজায় ‘অমানবিক’ যুদ্ধের কারণে ইসরায়েল সফরের পরিকল্পনা বাতিল করছেন বলেও জানান তিনি। এরদোয়ান বলেন, আমাদের ইসরায়েল সফরে যাওয়ার পরিকল্পনা ছিল। কিন্তু সেটা বাতিল হয়ে গেছে, আমরা যাব না।

তার এমন মন্তব্যের পর ইতালির উপ-প্রধানমন্ত্রী মাত্তেও সালভিনি তুরস্কের প্রেসিডেন্টের এমন মন্তব্যের তীব্র সমালোচনা করেন। তিনি বলেন, আমি ইতালির পররাষ্ট্রমন্ত্রী আন্তোনিও তাজানিকে তুরস্কের প্রেসিডেন্টের এই মন্তব্যের আনুষ্ঠানিক প্রতিবাদ জানাতে এবং তুর্কি রাষ্ট্রদূতকে তলব করার প্রস্তাব দেব।

গত ৭ অক্টোবর গাজা উপত্যকার নিয়ন্ত্রণকারীগোষ্ঠী হামাসের ইসরায়েলে আকস্মিক হামলার পাল্টায় গাজাজুড়ে বোমা হামলা শুরু করে ইসরায়েল। তিন সপ্তাহের বেশি সময় ধরে চলমান এই যুদ্ধে ইসরায়েলের হামলায় ৭ হাজার ৭০৩ জনের বেশি ফিলিস্তিনির প্রাণহানি ঘটেছে। যুদ্ধ শুরুর পরপরই সর্বাত্মক অবরোধ আরোপের ঘোষণা দিয়ে গাজা উপত্যকায় বিদ্যুৎ, পানি ও জ্বালানির সরবরাহ পুরোপুরি বন্ধ করে দিয়েছে ইসরায়েল। আর ইসরায়েলে হামাসের হামলায় মারা গেছেন অন্তত ১ হাজার ৪০০ জন। ইসরায়েলের টানা হামলার কারণে গাজার প্রায় ১৪ লাখ মানুষ ইতিমধ্যে বাস্তুচ্যুত হয়েছেন।