পাকিস্তানের বিপক্ষে রুদ্ধশ্বাস লড়াইয়ে বাংলাদেশের জয়

পাকিস্তানের বিপক্ষে রুদ্ধশ্বাস লড়াইয়ে বাংলাদেশের জয়

সংগৃহীত

রুদ্ধশ্বাস লড়াইয়ের পর শেষ হাসি বাংলাদেশের। পাকিস্তান নারী দলের বিপক্ষে তুমুল লড়াইয়ের পর জিতেছে টাইগ্রিসরা। যদিও নির্ধারিত নিয়মে আসেনি জয়, সুপার ওভার থেকে ম্যাচের ভাগ্য নির্ধারণ হয়।

এই জয়ে তিন ম্যাচ ওয়ানডে সিরিজে সমতায় ফিরলো বাংলাদেশ।

মঙ্গলবার (৭ নভেম্বর) মিরপুরে টস জিতে আগে ব্যাট করে জ্যোতির ৫৪ ও ফারজানা হক পিংকির ৪০ রানে ভর করে ৯ উইকেটে ১৬৯ রান তোলে স্বাগতিকরা। লক্ষ্য তাড়ায় নেমে জয়ের পথে থাকলেও বোলারদের নিয়ন্ত্রণে সমান ১৬৯ রানেই অলআউট হয় পাকিস্তান। খেলা গড়ায় সুপার ওভারে।

সুপার ওভারে ২ উইকেট হারিয়ে ৭ রান তোলতে পারে পাকিস্তান নারী দল। জবাবে এক উইকেট হারালেও জয়ের বন্দরে পৌঁছে যায় বাংলাদেশ। শেষ বলে বাউন্ডারি হাঁকিয়ে জয় নিশ্চিত করেন অধিনায়ক নিগার সুলতানা জ্যোতি। ম্যাচ সেরাও নির্বাচিত হন বাংলাদেশ অধিনায়ক।

এর আগে মূল ম্যাচে আগে ব্যাট করতে নেমে দলীয় ২১ রানে প্রথম উইকেট হারায় বাংলাদেশ। ওপেনার মুর্শিদা খাতুন ১২ রানেই থামেন। তিন নম্বরে নেমে ১৬ রানের বেশি করতে পারেননি সোবহানা মোস্তারি। তবে তৃতীয় উইকেট জুটিতে ঘুরে দাঁড়ায় টাইগ্রিসরা।

৪৯ রানের জুটি হয় ফারজানা ও জ্যোতির মাঝে। ৮৮ বলে ৩ চারে ৪০ রান করে রান আউট হন ফারজানা। এরপর দলকে একাই টেনেছেন জ্যোতি, অন্য পাশে পাননি যোগ্য সঙ্গ। শেষদিকে দুই অঙ্ক ছুঁতে পেরেছেন কেবল ফাহিম (১৬)। অন্যদের আসা যাওয়ার ভিড়ে ইনিংসের শেষ ওভারে ফেরার আগে করেন ১০৪ বলে ৫৪ রান।

লক্ষ্য তাড়ায় নেমে পাকিস্তানের উদ্বোধনী জুটিতে শাদাফ শামাস ও সিদরা আমিন তোলেন ৪১ রান। ২২ রান করা সিদরাকে আউট করে জুটি ভাঙেন ফাহিমা খাতুন।

তিন নম্বরে নামা বিসমাহ মারুফকে খালি হাতে ফেরান রাবেয়া খান।

এরপর নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারিয়ে ৫ উইকেটে ১০০ রানে পরিণত হয় পাকিস্তান। শাদাফ আউট হন ২৯ রানে। আলিয়া রিয়াজ ২১ ও ইরাম জাভেদ করেন ১৫ রান।

তবে নিদা ধরকে ফিরিয়ে বাংলাদেশকে ম্যাচে ফেরান রাবেয়া। ৪৭ বলে ২৭ করে আউট হন পাকিস্তান অধিনায়ক। ১২৮ রানে ৬ উইকেট হারায় পাকিস্তান।

একটা সময় শেষ ৫ ওভারে সফরকারীদের জন্য সমীকরণ দাঁড়ায় ১৭ রান। হাতে তখনো ৪ উইকেট। তবে নাজিহা আলভিকে ৪৭তম ওভারে ফেরালে জয় ফসকে যায় পাকিস্তানের। শেষ তিনজনই ফেরেন রান আউটে। তবে ছুঁয়ে ফেলেন বাংলাদেশের সংগ্রহ।