শিক্ষার্থীকে দলবদ্ধ ধর্ষণ, ১৩ বছর পর তিনজনের যাবজ্জীবন

শিক্ষার্থীকে দলবদ্ধ ধর্ষণ, ১৩ বছর পর তিনজনের যাবজ্জীবন

ছবিঃ সংগৃহীত।

ঝিনাইদহ সদরের বড়কামারকুন্ডু গ্রামে শিক্ষার্থীকে দলবদ্ধ ধর্ষণ মামলায় ৩ জনকে যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। বুধবার (৮ নভেম্বর) দুপুরে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক মিজানুর রহমান এ রায় দেন।

দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন, সদর উপজেলার বড়কামারকুন্ডু গ্রামের কওসার মৌলভীর ছেলে মফিজুর রহমান, দরিগোন্দিপুর গ্রামের ছব্দুল হোসেনের ছেলে মো. রিংকু ও একই গ্রামের মজিবর রহমানের ছেলে মো. মিঠু। এদের মধ্যে রিংকু পলাতক রয়েছেন।

রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী মো. বজলুর রহমান এ ঘটনা নিশ্চিত করেন।

 

রায়ের বিবরণে জানা যায়, ওই শিক্ষার্থী ঝিনাইদহ সদর উপজেলার বড়কামারকুন্ডু গ্রামে খালার বাড়িতে থেকে শিকারপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে সপ্তম শ্রেণিতে পড়াশুনা করতেন। স্কুলে যাওয়া আসার পথে এলাকার বখাটে মফিজুর রহমান, রিংকু ও মিঠু প্রায়ই তাকে কুপ্রস্তাব দিতেন। এতে রাজি না হওয়ায় তাকে হুমকি দিতেন তারা।

এরই প্রেক্ষিতে ২০১১ সালের ১৮ মার্চ দিবাগত রাত ১টার দিকে প্রকৃতির ডাকে ঘর থেকে বের হন ওই শিক্ষার্থী। পরে ঘরে ঢোকার সময় তারা ওই শিক্ষার্থীকে তুলে নিয়ে বাড়ির পাশে পুকুর পাড়ে দলবদ্ধ ধর্ষণ করেন। পরে ২০ তারিখ বিষয়টি জানাজানি হলে ২১ তারিখ সকালে সদর থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে একটি মামলা করা হয়।

মামলার তদন্ত শেষে পুলিশ ওই বছরের ৮ আগস্ট আদালতে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করে। সেই মামলার শুনানি শেষে আদালত আজ ৩ জনকে যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ড প্রদান করেন। দণ্ডপ্রাপ্ত রিংকু পলাতক থাকায় আদালতে আত্মসমর্পণ বা আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী কর্তৃক ধৃত হওয়ার দিন থেকে তার সাজা কার্যকর হবে।