গাজায় ২টি পরমাণু বোমার সমান ধ্বংসযজ্ঞ চালিয়েছে ইসরাইল

গাজায় ২টি পরমাণু বোমার সমান ধ্বংসযজ্ঞ চালিয়েছে ইসরাইল

গাজায় ২টি পরমাণু বোমার সমান ধ্বংসযজ্ঞ চালিয়েছে ইসরাইল

এক মাসেরও বেশি সময় ধরে গাজার রাতের আকাশ ক্ষেপণাস্ত্র বিস্ফোরণে লাল আলোয় আলোকিত হয়েছে। যা গাজার ২৩ লাখ বাসিন্দার জন্য ডেকে এনেছে মৃত্যু ও ধ্বংস। ক্ষেপণাস্ত্রের ঝলকানিতে গাজার নীল আকাশ ভিন্ন ভিন্ন রং ধারণ করছে। আবার কখনো সদ্য হামলার শিকার ভবনের ধোঁয়ায় কালো হয়ে গেছে আকাশ।

ইউরো-মেড হিউম্যান রাইটস মনিটর অনুসারে, ইসরাইল ৭ অক্টোবর থেকে গাজা উপত্যকায় ২৫ হাজার টনের বেশি বিস্ফোরক ফেলেছে, যা দুটি পরমাণু বোমার সমান।

দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় জাপানের হিরোশিমায় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নিক্ষেপ করা লিটল বয় পরমাণু বোমাটি ১৫ হাজার টন উচ্চ বিস্ফোরক উৎপাদন করেছিল এবং এক মাইল (১.৬ কিলোমিটার) ব্যাসার্ধের মধ্যে সবকিছু ধ্বংস করেছিল।

৭ অক্টোবর হামাসের আকস্মিক আক্রমণের পর গাজা উপত্যকায় ইসরাইলে সামরিক বাহিনী ১০ হাজার ৫০০ জনেরও বেশি লোককে হত্যা করেছে। যাদের মধ্যে কমপক্ষে চার হাজার ৩০০ জন শিশু। নিখোঁজ বা ধ্বংসস্তূপের নিচে চাপা পড়ে আছে আরো হাজার হাজার বাসিন্দা।ইসরাইল বলেছে, তারা ৭ অক্টোবর থেকে ১ নভেম্বর পর্যন্ত অবরুদ্ধ ফিলিস্তিনি ভূখণ্ডে কমপক্ষে ১২ হাজার লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত করেছে।

জাতিসঙ্ঘের মানবিকবিষয়ক সমন্বয়ের কার্যালয় (ওসিএইচএ), বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) এবং ফিলিস্তিনি সরকারের সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী ৭ নভেম্বর পর্যন্ত ইসরাইলি হামলায় কমপক্ষে ক্ষতি হয়েছে :
- গাজার অর্ধেক বাড়ি- দুই লাখ ২২ হাজার আবাসিক ইউনিট ক্ষতিগ্রস্ত এবং ৪০ হাজারের বেশি সম্পূর্ণ ধ্বংস হয়েছে।
- ২৭৮টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
- ২৭০টি স্বাস্থ্যসেবা কেন্দ্রে হামলা হয়েছে।
- মসজিদ ও গীর্জাসহ ৬৯টি উপাসনালয় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
- ৪৫টি অ্যাম্বুলেন্স ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
- ১১টি বেকারি ধ্বংস করা হয়েছে।

যা সাম্প্রতিক ইতিহাসে সবচেয়ে তীব্র বোমা হামলার নজির।
সূত্র : আল-জাজিরা