ইবিতে নির্মাণাধীন ভবনে দুর্ঘটনা, আহত ৩

ইবি প্রতিনিধি :নির্মাণাধীন ভবনে প্রেশার পাইপ বিস্ফোরণে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে (ইবি) তিন শ্রমিক আহত হয়েছেন। শনিবার বিকেলে শেখ রাসেল হলের দক্ষিণ ব্লকের ছাদে নির্মাণকাজ চলাকালীন এ দুর্ঘটনা ঘটে। আহত শ্রমিকদের তাৎক্ষণিক বিশ্ববিদ্যালয়ের চিকিৎসা কেন্দ্রে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে কুষ্টিয়া সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

আহত শ্রমিকরা হলেন, ঝিনাইদহের শৈলকূপা উপজেলার শ্রীরামপুর গ্রামের মো. শহীদ, জাঙ্গালিয়া গ্রামের মো. রসুল ও জগৎপুরের মুরাদ হোসেন।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, ছাদ ঢালাইয়ের জন্য নিচে মেশিনে প্রস্তুত করা সিমেন্ট, বালু এবং ইটের মিশ্রণগুলো মোটা প্রেশার পাইপের মাধ্যমে নিচ থেকে ছাদে উঠানো হচ্ছিলো। কাজ চলাকালীন মাঝখানে পাইপটিতে জ্যামের সৃষ্টি হয়ে এক পর্যায়ে জয়েন্টে বিস্ফোরণ হয়ে ইটের টুকরোসহ মিশ্রণের উপাদানগুলো সজোরে কর্মরত তিন শ্রমিকের গায়ে  আঘাত করে। এতে ওই তিন শ্রমিক সেখানে পড়ে যায়। পরে সেখানে কর্মরত অন্য শ্রমিকরা তাদেরকে উদ্ধার করে বিশ্ববিদ্যালয়ের চিকিৎসা কেন্দ্রে নিয়ে যান। তাদের অবস্থা গুরুতর হওয়ায় সেখানে তাদেরকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে অ্যাম্বুলেন্সে করে কুষ্টিয়া সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়। 

 

কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা. এস এম শাহেদ হাসান বলেন, তাদের প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। বুকে গুরুতর আঘাত পাওয়ায় তাদের কুষ্টিয়া মেডিকেলে রেফার করা হয়েছে। এক্স-রে করলে আঘাতের পরিমাণ স্পষ্টভাবে বোঝা যাবে। 

 

ভবন নির্মাণের দায়িত্বে থাকা মাইশা কনস্ট্রাকশন এন্ড প্রাইভেট লিমিটেড এর প্রতিনিধি মুন্না বলেন, এটা অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা। প্রেশার পাইপ বিস্ফোরণ সাধারণত ঘটে না। তবে আমি আহত শ্রমিকদের সাথেই আছি। তাদেরকে কুষ্টিয়া হাসপাতালে ভর্তি করার পর ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী যা যা করা দরকার সবকিছু করবো। 

 

এ বিষয়ে প্রক্টর অধ্যাপক ড. শাহাদৎ হোসেন আজাদ বলেন, জরুরী সেবা দেওয়ার জন্য তৎক্ষণাৎ চীফ মেডিকেল অফিসারকে জানানো হয়েছিল। আমি নিজে মেডিকেলে গিয়েছিলাম। সেখানে তাদের প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। পরে অ্যাম্বুলেন্সে করে কুষ্টিয়ায় পাঠানো হয়েছে। 

 

উল্লেখ্য, এর আগে গতবছর বিশ্ববিদ্যালয়ের ২য় প্রশাসনিক ভবনের পাইলিংয়ের কাজ চলাকালীন মাথায় পিলারের আঘাতে এক নির্মাণশ্রমিকের মৃত্যু হয়। এর আগেও একাডেমিক ভবনের ছাদ থেকে পড়ে আরও এক নির্মাণশ্রমিক মারা যান।