বগুড়ায় টায়ার জ্বালিয়ে জামায়াত-বিএনপির বিক্ষোভ মিছিল

বগুড়ায় টায়ার জ্বালিয়ে জামায়াত-বিএনপির বিক্ষোভ মিছিল

সংগৃহীত

হরতালের দ্বিতীয় দিন বগুড়ায় টায়ারে আগুন জ্বালিয়ে পিকেটিং ও বিক্ষোভ মিছিল করেছে বিএনপি ও জামায়াতে ইসলামীর নেতাকর্মীরা।

সকাল সোয়া ৮টায় শহরের সাতমাথা টু বনানী রোডের কানছগাড়ী এলাকায় টায়ারে আগুন জ্বালিয়ে ও রাস্তায় পুলিশের রোড ডিভাইডার দিয়ে ব্যারিকেড সৃষ্টি করে জামায়াতের কর্মীরা। এসময় ওই এলাকায় ককটেল বিস্ফোরণ ঘটলে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। পরে হরতালের সমর্থনে সেখান থেকে জামায়াতে ইসলামীর বিক্ষোভ মিছিল বের হয়। মিছিলটি ইবনে সিনা ডায়াগনোস্টিক সেন্টারের সামনে শুরু হয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের সামনে গিয়ে শেষ হয়। এছাড়াও শহরের বিভিন্ন এলাকায় জামায়াত-শিবিরের নেতাকর্মীরা হরতালের সমর্থনে মিছিল ও পিকেটিং করেন।

এর আগে সকাল সোয়া ৭টায় জামায়াতে ইসলামী বগুড়া শহর শাখার উদ্যোগে শহরের ব্যস্ততম নামাজগড় মোড় থেকে বিশাল বিক্ষোভ মিছিল বের হয়। মিছিলটি নামাজগড় গোরস্থান রোড দিয়ে নুরানী মোড়ে গিয়ে শেষ হয়। মিছিলে জামায়াত-শিবিরের কয়েক শ’ নেতাকর্মী অংশ নেন।

বিক্ষোভ মিছিল শেষে সংক্ষিপ্ত সমাবেশে বক্তব্য রাখেন জামায়াত নেতা রফিকুল আলম, আজগর আলী, আব্দুল হামিদ বেগ, ছাত্রনেতা রাকিব হাসান প্রমুখ।

সমাবেশে নেতৃবৃন্দ বলেন, স্বত:স্ফূর্ত হরতাল পালনের মাধ্যমে বগুড়াবাসী এই সরকারকে লালকার্ড দেখিয়ে দিয়েছে। তারা শেখ হাসিনাকে আর ক্ষমতায় দেখতে চায় না।

বগুড়া জেলা পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (পদোন্নতিপ্রাপ্ত পুলিশ সুপার) স্নিগ্ধ আখতার বলেন, ‘জামায়াতের নেতাকর্মীরা টায়ার জ্বালিয়ে সড়ক ব্লক করার চেষ্টা করেছিল। ভীতিকর পরিস্থিতি তৈরি করতে তারা ককটেল বিস্ফোরণ ঘটায়। পরে পুলিশ পৌঁছালে তারা পালিয়ে যায়।

এদিকে জেলা বিএনপির উদ্যোগে শহরের বনানী–সাতমাথা রোডে মিছিল হয়েছে।

অপরদিকে রোববার রাতে জেলার নন্দীগ্রাম উপজেলার রনবাঘা এলাকায় খড়বোঝাই ভটভটিতে এবং ইউসুফপুরে রাস্তায় খালি ট্রাকে পেট্রোল দিয়ে দুর্বৃত্তরা আগুন ধরিয়ে দেয়। পরে ফায়ার সার্ভিসকর্মীরা আগুন নিভিয়ে ফেলে।