ইমরান খানের জন্য স্বস্তি আনল আদালত

ইমরান খানের জন্য স্বস্তি আনল আদালত

ইমরান খান

রাষ্ট্রীয় গোপনীয় নথি ফাঁসের মামলায় কারাগারে হওয়া পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের বিচারকে বেআইনি ঘোষণা করেছে ইসলামাবাদ হাইকোর্ট। মঙ্গলবার (২১ নভেম্বর) আদালত এ ঘোষণা দিয়েছে বলে নিশ্চিত করেছেন ইমরান খানের আইনজীবী। এটি জেলবন্দী ইমরান খানের জন্য অনেকটা স্বস্তির খবর।

ইমরান খানকে গত মাসে রাষ্ট্রীয় গোপন নথি ফাঁসের মামলায় অভিযুক্ত করা হয়। এরপর থেকেই তার নিরাপত্তা নিয়ে শঙ্কা থাকার কথা বলে কারাগারের মধ্যেই একটি বিশেষ আদালত বসিয়ে বিচারকাজ চালানো হচ্ছে। খবর ডনের

মঙ্গলবার এক্স–এ (সাবেক টুইটার) দেওয়া এক পোস্টে ইমরান খানের আইনজীবী নাঈম পানজুথা লিখেছেন, 'কারাগারে (ইমরান খানের) বিচারের নোটিশকে বেআইনি ঘোষণা করেছে ইসলামাবাদ হাইকোর্ট।'

তবে আদালতের এ ঘোষণার ফলে ইমরানের বিচার বাতিল হবে কিনা বা উন্মুক্ত আদালতে আবার এই বিচার নতুন করে শুরু হবে কিনা তা স্পষ্ট নয়। আদালতে একটি আদেশনামা দিয়ে সেটি খোলাসা করবে বলে মনে করা হচ্ছে।

কারাগারে বিচার নিয়ে আইন মন্ত্রণালয়ের এই নোটিশের বিরুদ্ধে আদালতের শরণাপন্ন হয়েছিলেন ইমরানের আইনজীবীরা।

ইমরান খান প্রধানমন্ত্রী থাকাকালে যুক্তরাষ্ট্রে নিযুক্ত পাকিস্তানের রাষ্ট্রদূত ইসলামাবাদে গোপন একটি তারবার্তা পাঠিয়েছিলেন। সেই তারবার্তা ইমরান পরে ফাঁস করেছেন অভিযোগে রাষ্ট্রীয় গোপনীয়তা আইনে তার বিরুদ্ধে এই মামলা করা হয়েছিল। দুর্নীতির মামলায় তিন বছরের কারাদণ্ডে দণ্ডিত ইমরান খান রাওয়ালপিন্ডির আদিয়ালা কারাগারে আছেন।

পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফের (পিটিআই) চেয়ারম্যান ইমরান খানের জনপ্রিয়তা নষ্ট করার লক্ষ্যে কথিত অগণতান্ত্রিক, অসাংবিধানিক এবং অরাজনৈতিক খেলোয়াড়দের পক্ষ থেকে যেসব পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে, তার বিরুদ্ধে ব্যাপক কৌশল প্রণয়ন করেছে দলটি।

পিটিআইয়ের কোর কমিটি দলীয় চেয়ারম্যানকে বিভিন্ন ষড়যন্ত্র থেকে রক্ষায় এমন সমন্বিত কৌশল নিয়েছে বলে খবর দিয়েছে পাকিস্তানি সংবাদমাধ্যম।

পিটিআইয়ের পক্ষ থেকে অভিযোগ করা হয়েছে যে, তাদের দলীয় চেয়ারম্যানকে ন্যায়বিচার থেকে বঞ্চিত করা হচ্ছে।

পিটিআই কোর কমিটি বলেছে, রাষ্ট্রীয় কর্মীরা, যারা অপহরণের একটি দুষ্টচক্র চালাচ্ছে, রাজনীতি ও গণতন্ত্রের পবিত্রতা লঙ্ঘন করছে এবং তারা পাকিস্তানকে পতনের দিকে ঠেলে দিচ্ছে।