বিশ্বের ক্ষুদ্রতম দেশটি সমুদ্রে ২ খুঁটিতে দাঁড়িয়ে

বিশ্বের ক্ষুদ্রতম দেশটি সমুদ্রে ২ খুঁটিতে দাঁড়িয়ে

সংগৃহীত

বিশ্বের ক্ষুদ্রতম দেশ কোনটি? আপনাকে এই প্রশ্ন করলে এক সেকেন্ড সময় না দিয়েই বলবেন, ভ্যাটিক্যান সিটি। আপনার উত্তর ভুল নয় আবার সঠিকও নয়। কেননা, সর্বজন স্বীকৃত ছোট দেশ ভ্যাটিক্যান সিটি। কিন্তু আসলে পৃথিবীর সবচেয়ে ক্ষুদ্র দেশ সিল্যান্ড।

বিশ্বের ক্ষুদ্রতম দেশটি সমুদ্রের মাঝে দুইটি স্তম্ভের উপর অবস্থিত, এখানকার জনসংখ্যা ৫০-এরও কম।

সিল্যান্ড আন্তর্জাতিকভাবে পৃথিবীর ক্ষুদ্রতম দেশের স্বীকৃতি পায়নি। তাই এই দেশ সম্পর্কে অনেকেই জানেন না। কিন্তু অফিশিয়ালি না হলেও আন-অফিশিয়ালি এই দেশটি বিশ্বের ক্ষুদ্রতম দেশ। ভ্যাটিকান সিটির থেকেও ছোটো। এর জনসংখ্যা এবং পরিসীমার কারণেই এই দেশটিকে ক্ষুদ্রতম দেশ বলে বিবেচনা করা হয়ে থাকে।

পৃথিবীর সবচেয়ে ছোটো দেশটি অবস্থিত উত্তর সাগরে। দেশের নাম সিল্যান্ড। নাম থেকেই আশা করি আন্দাজ করতে পারছেন যে, দেশের চারদিক সমুদ্র দ্বারা বেষ্টিত। এককথায় সিল্যান্ডকে একটি দ্বীপরাষ্ট্র বলা যেতে পারে। আন্তর্জাতিক স্তরে বিশ্বের সবচেয়ে ছোটো দেশ হিসেবে ভ্যাটিকান সিটি স্বীকৃতি পেলেও, আদতে সিল্যান্ডই বিশ্বের ক্ষুদ্রতম দেশ। আসলে এই দেশটি এখনও আন্তর্জাতিক স্তরে স্বীকৃতি পায়নি।

শুনলে অবাক হবেন যে, গোটা বিশ্ব যখন কোভিড-১৯ ভাইরাসে ছন্নছাড়া, তখন এই সিল্যান্ড কিন্তু ছিল একেবারে নিশ্চিন্ত। এদেশের একজন নাগরিকও কোভিডে আক্রান্ত হননি। 

সিল্যান্ড দেশটি ইংল্যান্ডের সাফোক উপকূল থেকে প্রায় ১০ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত। একটি গোটা দেশ এক ধ্বংসপ্রাপ্ত সমুদ্র দুর্গের উপর অবস্থিত। এই দুর্গ দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় ব্রিটেন দ্বারা নির্মিত হয়েছিল এবং পরে পরিত্যক্ত হয়। 

এই দেশেরওয়েবসাইট আছে

​এই ছোট্ট দেশ সিল্যান্ড সম্পর্কে একটি ওয়েবসাইটও তৈরি করা হয়েছে। দেশটি সম্পর্কে আগ্রহ থাকলে https://sealandgov.org/-এ ভিজিট করে দেশের নাগরিক এবং অন্যান্য তথ্য জানতে পারেন। ফেসবুকে প্রিন্সিপালিটি অব সিল্যান্ড নামে একটি পেজ তৈরি করা হয়েছে। ওয়েবসাইটের তথ্য অনুযায়ী, এই দেশের নিজস্ব জাতীয় পতাকা, জাতীয় সংগীত এবং নিজস্ব মুদ্রাও রয়েছে।

গুগল ম্যাপেও দেশ খুঁজে পাওয়া যায় না

এই দেশটি এতই ছোটো যে আপনি গুগল ম্যাপেও এটি অনুসন্ধান করতে পারবেন না। সিল্যান্ড এখনও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে স্বীকৃতি পায়নি। এই কারণে দেশ হিসেবে এখানে অনেক কিছুই প্রযোজ্য নয়। কেউ যদি ইন্টারনেটে সবচেয়ে ছোটো দেশ সম্পর্কে অনুসন্ধান করেন তবে সিল্যান্ডের পরিবর্তে ভ্যাটিকান সিটি নামটিই খুঁজে পাবেন।

ভ্যাটিকান সিটি সম্পর্কে

ভ্যাটিকান সিটি আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি পেয়েছে এবং তাই এটিকে বিশ্বের সবচেয়ে ছোটো দেশ বলা হয়। আগে এটি ইটালির অধীনে ছিল। কিন্তু ১৯২৯ সালে এটি স্বাধীন হয়। ০.৪৪ বর্গকিলোমিটারের এই দেশের জনসংখ্যা প্রায় ৮০০। এখানকার নাগরিকরা ইটালি ভাষায় কথা বলেন। এখানে মুদ্রা হিসেবে ইউরো।