সংঘাতে মিয়ানমারে বাস্তুচ্যুত প্রায় তিন লাখ মানুষ: জাতিসংঘ

সংঘাতে মিয়ানমারে বাস্তুচ্যুত প্রায় তিন লাখ মানুষ: জাতিসংঘ

সংগৃহীত

জান্তা ও জাতিগত গোষ্ঠীর লড়াইয়ে মিয়ানমারে প্রায় তিন লাখ মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়েছে বলে জানিয়েছে জাতিসংঘ। ২০২১ সালের পর এই ঘটনাকে সবচেয়ে বড় নাগরিক বিপর্যয় বলে উল্লেখ করা হয়েছে।

জাতিসংঘের শরণার্থীবিষয়ক হাইকমিশনারের মতে, অক্টোবরের শেষ থেকে মিয়ানমারজুড়ে কমপক্ষে ৩ লাখ ৩৩ হাজার ৫০০ বেসামরিক নাগরিক বাস্তুচ্যুত হয়েছে। শুক্রবার এক প্রতিবেদনে ইরাবতি এ তথ্য জানিয়েছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২০২১ সালের ফেব্রুয়ারিতে সেনা অভ্যুত্থানের পর থেকে দেশব্যাপী ২০ লাখের বেশি মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়েছে বলে জাতিসংঘের সংস্থাটি জানিয়েছে। গত ১৩ নভেম্বর আরাকান আর্মি শাসকদের আক্রমণ করার পর উত্তর রাখাইন রাজ্যের পাউকতাও শহর থেকে প্রায় ২০ হাজার মানুষ পালিয়ে যায়। জাতিসংঘের মতে, অন্তত ৫০০ জন বাসিন্দা এখনও শহরে আটকা পড়ে আছে। মান্দালয় অঞ্চলের মাদায়া, চিন রাজ্যের মাতুপি এবং সাগাইং অঞ্চলের কালে এবং তাজে শহর থেকে প্রায় ৩৩ হাজার লোক বাস্তুচ্যুত হয়েছে।

জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেসের ডেপুটি মুখপাত্র ফারহান হক বলেন, আমাদের মানবিক সহকর্মীরা আমাদের জানিয়েছেন, জাতিগত সশস্ত্র সংগঠন এবং মিয়ানমারের সশস্ত্র বাহিনীর মধ্যে তীব্র লড়াই অব্যাহত রয়েছে। সংঘাত ঘনবসতিপূর্ণ শহুরে কেন্দ্র ও আরও এলাকায় বিস্তৃত হয়েছে।

এদিকে, মিয়ানমারের সামরিক জান্তা বাহিনীর সঙ্গে আরাকান আর্মির (এএ) নতুন করে লড়াই শুরু হওয়ার পর থেকে রাখাইন রাজ্যে ব্যবসায়ীসহ বিভিন্ন শ্রেণিপেশার মানুষকে জিম্মি করে মুক্তিপণ আদায় করার ঘটনা বেড়েছে।

দেশটির আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী এখন পর্যন্ত তাংগুপ, থান্ডওয়ে, সিত্তওয়ে, মংডু, বুথিডাং, কিউকফিউ এবং অন্যান্য এলাকার ব্যবসায়ী, ওয়ার্ড প্রশাসক, শিক্ষক, ছাত্রসহ ৫০ জনেরও বেশি মানুষকে গ্রেপ্তার করেছে।

সূত্র: ইরাবতি, রয়টার্স