ইবিতে পরীক্ষার দাবিতে প্রধান ফটকে তালা

ইবিতে পরীক্ষার দাবিতে প্রধান ফটকে তালা

ইবিতে পরীক্ষার দাবিতে প্রধান ফটকে তালা

স্নাতক শেষ বর্ষে এসে জানতে পারেন প্রথম বর্ষের একটি কোর্সে উত্তীর্ণ হতে পারেননি কয়েকজন শিক্ষার্থী। এতে আটকে গেছে চতুর্থ বর্ষের চূড়ান্ত পরীক্ষা। নির্ধারিত সময় থেকে দুই মাস পেরিয়ে গেলেও পরীক্ষায় বসতে পারেননি শিক্ষার্থীরা। ফলে পরীক্ষার দাবিতে বিক্ষোভ করেছেন তারা। ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থীদের সঙ্গে ঘটেছে এমন ঘটনা। 

 

শিক্ষার্থীরা শীতকালীন ছুটির আগেই পরীক্ষা নেওয়ার দাবিতে শনিবার দুপুর দুইটায় বিশ^বিদ্যালয়ের প্রধান ফটকে তালা দিয়ে বিক্ষোভ করেন। এতে দুপুরের শিফটের ক্যাম্পাসের শিক্ষক-শিক্ষার্থীবাহী পরিবহনগুলো আটকে পড়ে। প্রায় আধাঘন্টা পর বিভাগীয় শিক্ষক ও বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টরের আশ্বাসে তারা তালা খুলে দেন। এর আগে দুপুর ১২টা থেকে ২টা পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের অনুষদ ভবনের তৃতীয় তলায় বিভাগের অফিস কক্ষে তালা দিয়ে অবস্থান কর্মসূচি পালন করেন তারা। এদিকে আন্দোলন চলাকালে বিভাগের সভাপতি অধ্যাপক ড. শরিফুল ইসলাম পদত্যাগপত্র জমা দেন।

শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, ফাইনাল পরীক্ষার আগে এসে জানতে পারেন যে তাদের ব্যাচে ৭জন শিক্ষার্থী ১ম বর্ষের একটি নন-ক্রেডিট কোর্সের পরীক্ষায় অনুত্তীর্ণ ছিলেন। ফলে পরীক্ষা শুরু করা যাচ্ছে না। দ্বিতীয় বর্ষেই ওই পরীক্ষা দেওয়ার কথা ছিল। কিন্তু কর্তৃপক্ষ তখন সেটি জানায়নি। শিক্ষকদের গাফিলতিতে এই জটিলতার সৃষ্টি হয়েছে বলে দাবি শিক্ষার্থীদের। গত দুই মাস ধরে সমস্যা নিয়ে বিভাগের শিক্ষকদের সাথে আলোচনা করেও কোন সমাধান হয়নি বলে দাবি তাদের। 

শিক্ষার্থীরা বলেন, আমাদের সাথে বিভাগ ও বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন টালবাহানা করছে। সর্বশেষ সেমিস্টারের পরীক্ষা আটকে থাকার কারণে আমরা বিভিন্ন জায়গায় চাকরির আবেদন করা হতে বি ত হচ্ছি। এছাড়া অতি শিগগিরই বিসিএস এর সার্কুলার প্রকাশিত হবে। পরীক্ষা না হলে আমরা তো আবেদন করতে পারবো না। আমরা চাই বিভাগ ও বিশ^বিদ্যালয় প্রশাসন সমন্বয় করে অতিদ্রুত সমাধানে আসুক। আসন্ন শীতকালীন ছুটির আগেই আমাদের সকল পরীক্ষা নেওয়া হোক।

এ বিষয়ে বিভাগের সভাপতি অধ্যাপক ড. শরিফুল ইসলাম বলেন, ‘আমি কিছুদিন ছুটিতে ছিলাম। এর আগে আমরা একাডেমিক সভা করে ভিসি স্যারের অনুমোদনের জন্য পাঠিয়েছিলাম। তিনি সেটার অনুমোদন দেননি এখনো। যার ফলে একটা জটিলতার সৃষ্টি হয়েছে। আমরা সবাই বসেছি। আশা করি দ্রুতই সমাধান হয়ে যাবে। পদত্যাগের বিষয়ে তিনি বলেন, আমি পদত্যাগপত্র জমা দিয়েছি। বিভাগের শিক্ষকরা আমাকে বিষয়টি নিয়ে ভাবতে বলেছেন এবং উইথড্র করতে বলেছেন। আমি বিষয়টি আবার ভেবে দেখবো।’