পুণ্যস্নানের মধ্য দিয়ে কুয়াকাটায় শেষ হলো রাস উৎসব

পুণ্যস্নানের মধ্য দিয়ে কুয়াকাটায় শেষ হলো রাস উৎসব

ছবিঃ সংগৃহীত।

গঙ্গাস্নান বা পুণ্যস্নানের মধ্য দিয়ে পটুয়াখালীর কুয়াকাটায় শেষ হয়েছে রাস উৎসবের মূল আনুষ্ঠানিকতা। সোমবার (২৭ নভেম্বর) ভোর ৬টায় জাগতিক সব পাপ মোচনের আশায় সৈকতের নোনা জলে গাঁ ভাসিয়ে এ গঙ্গাস্নান সম্পন্ন করেন হিন্দুধর্মাবলম্বীরা।

 

স্নানের আগে সৈকতে মোমবাতি, আগরবাতি, বেলপাতা, ফুল, ধান, দুর্বা, হরিতকী, ডাব, কলা, তেল, পান, সুপারি, তৈল ও সিঁদুর সমুদ্রে জলে অর্পণ করে সনাতনী নারীরা। এসময় উলুধ্বনি ও মন্ত্রপাঠে মুখরিত হয়ে ওঠে পুরো সৈকত। এছাড়া মাথান্যাড়াসহ প্রায়শ্চিত্ত ও পিণ্ডদান করেন অনেক মানতকারীরা। এর আগে রাতভর কুয়াকাটা শ্রী শ্রী রাধাকৃষ্ণ মন্দিরে পূজার্চনা, সঙ্গীতানুষ্ঠান ও মহানাম কীর্তনে মেতে ওঠে তারা। 

পটুয়াখালী থেকে আসা ডা. বিপ্লব হাওলাদার বলেন, আমাদের বিশ্বাস যেই এ দিন সব পাপ মোচনের মূহুর্ত। তাই আমরা রোববার কুয়াকাটায় এসেছি। রাতভর ভগবানের গুণ কীর্তন শেষ করে সকালে সমুদ্র স্নানের মধ্যে দিয়ে সৃষ্টিকর্তার কাছে শান্তি চেয়েছি।

 

রাস পূজা আয়োজক কমিটির সমন্বয়ক কাজল বরণ দাস বলেন, সৈকতের পাড়ে প্রদীপ জ্বালিয়ে প্রার্থনায় বসবেন পূণ্যার্থীরা। এখন সাগরকে সামনে রেখে নির্জনে কৃষ্ণপূজার সঙ্গে দেবতার নীল কমল আর গঙ্গাদেবীর আরাধনায় মগ্ন হয়েছেন।

কুয়াকাটা সৈকতে শ্রী শ্রী রাধাকৃষ্ণ মন্দির তীর্থযাত্রী সেবাশ্রমের সাধারণ সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার নিহার রঞ্জন মণ্ডল বলেন, বাংলাদেশ সম্প্রীতির দেশ। এই দেশে সবাই মিলে একটি সুন্দর লোকজ সাংস্কৃতিক পরিবেশ গড়ে তুলেছে, যা আমাদের হাজার বছরের ঐতিহ্য। আমাদের এই মন্দিরের পাশে একটি মসজিদও রয়েছে, আমাদের মধ্যে ভালো সম্পর্ক রয়েছে।

ট্যুরিস্ট পুলিশ কুয়াকাটা রিজিয়নের পুলিশ সুপার মোহাম্মদ আবুল কালাম আজাদ বলেন, ঐতিহ্যবাহী রাস উৎসবকে কেন্দ্র করে নিরাপত্তায় কঠোর ছিলাম আমরা। তিন শতাধিক আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য নিয়োজিত ছিল। আজকে সকালে রাসমেলার আনুষ্ঠানিকতা শেষ হলেও আমরা সন্ধ্যা পর্যন্ত নিরাপত্তা বহাল রাখবো।