ছাত্রীকে যৌন হয়রানির অভিযোগ ঢাবি শিক্ষকের বিরুদ্ধে

ছাত্রীকে যৌন হয়রানির অভিযোগ ঢাবি শিক্ষকের বিরুদ্ধে

ফাইল ছবি

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজকল্যাণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের এক অধ্যাপকের বিরুদ্ধে এক ছাত্রীকে যৌন হয়রানির অভিযোগ উঠেছে। হল বিষয়ে পরামর্শের জন্য তার কাছে গেলে ওই ছাত্রীকে যৌন হয়রানি করেন তিনি। 

এ ঘটনার বিচার চেয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের কাছে লিখিত অভিযোগপত্র দিয়েছেন ভুক্তভোগী ছাত্রী। মঙ্গলবার বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ এস এম মাকসুদ কামালের কাছে অভিযোগপত্র দেন তিনি। পরে উপাচার্য অভিযোগটি গ্রহণ করে তদন্ত করবেন বলে ভুক্তভোগীকে জানান। এদিকে, ঘটনার বিচারের দাবিতে বুধবার মানববন্ধন করার ঘোষণা দিয়েছে ইন্সটিটিউটের শিক্ষার্থীরা।

অভিযুক্ত শিক্ষকের নাম মো. নুরুল ইসলাম। এর আগেও তার বিরুদ্ধে শিক্ষার্থীদের যৌন হয়রানির অভিযোগ এসেছিল। 

অভিযোগপত্রে ভুক্তভোগী ছাত্রী উল্লেখ করেন, ‘গত ১১ সেপ্টেম্বর হল বিষয়ে পরামর্শ নেওয়ার জন্য ইনস্টিটিউটের অফিস কক্ষের সামনে গেলে তিনি আমাকে নিজে থেকে তার কক্ষে ডাকেন। তখন আমি স্যারের কক্ষে যাই। স্যার আমাকে প্রয়োজনীয় দু’একটা কথা বলার পরপরই অপ্রাসঙ্গিক কথা বলতে শুরু করেন। আমার বাবা মৃত জানার পর তিনি আমাকে নানা রকমের সাহায্যের প্রলোভন দেখান এবং আমাকে বলতে থাকেন আমি যেন একা তার সাথে দেখা করি এবং বই নেই তার কাছে গিয়ে। তাছাড়া তার বিষয়ে বা তার সাহায্যের বিষয়ে যেন কাউকে কোনো কথা না বলি।’

ভুক্তভোগী অভিযোগ করেন, ‘তিনি আমার সেল ফোন নাম্বার নেন এবং এক রকম জোর করেই আমার মেসেঞ্জারে নক করেন এবং যুক্ত হোন। তার কথার ধরণ এবং অঙ্গভঙ্গি আমার কাছে অস্বাভাবিক মনে হলে তৎক্ষণাৎ উঠে দাঁড়াই এবং তখন তিনি নিজেও তার নিজ আসন ছেড়ে আমার কাছে উঠে আসেন এবং আমাকে যৌন নিপীড়ন করেন। তিনি বার বার বলতে থাকেন, ‘তোমাকে আমার ভালো লেগেছে’-কথাটি বলেন। তিনি আমার শরীরের আপত্তিকর স্থানে স্পর্শ করেন, ঘটনার আকস্মিকতায় কিছু বুঝে উঠতে না পেরে আমি ভয়ে তার কক্ষ হতে দৌঁড়ে পালিয়ে যাই।’

অভিযোগপত্রে তিনি আরও উল্লেখ করেন, এরপর আমি এতটাই ভয় পাই যে মেসে ফিরে যাওয়ার শক্তিও পাচ্ছিলাম না, তাই আমি ক্যান্টিনে কিছু সময় অবস্থান করি। কিছু সময় পর আমাকে পুনরায় ফোন করে তার সাথে দুপুরের খাবার অথবা হালকা নাস্তা বা চা খাওয়ার প্রস্তাব জানান। তখনও আমাকে বারবার এই বিষয়ে যেন কাউকে না জানাই, তা সাবধান করতে থাকেন। আমি মানসিক ট্রমা থেকে বের হতে না পেরে প্রচণ্ড ভয়ে দেশের বাসায় চলে যাই যার কারণে আমি আমার চলমান পাঠদান থেকে বিরত থাকি। এমন স্বনামধন্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষকের দ্বারা যৌন হয়রানির শিকার হয়ে আমি নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি।’

তবে, এ বিষয়ে অভিযুক্ত শিক্ষক অধ্যাপক নুরুল ইসলাম ও ইনস্টিটিউটের পারিচালক অধ্যাপক ড. গোলাম আজমের সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তাদের কেউ সাড়া দেননি।