হাবিপ্রবিতে বিজয় দিবসের মাসব্যাপী কর্মসূচি

হাবিপ্রবিতে বিজয় দিবসের মাসব্যাপী কর্মসূচি

সংগৃহীত

বিজয়ের মাসকে স্মরণীয় করে রাখতে মাসব্যাপী কর্মসূচি হাতে নিয়েছে দিনাজপুরের হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (হাবিপ্রবি) প্রশাসন।

সম্প্রতি বিশ্ববিদ্যালয়ের জাতীয় দিবস উদযাপন কমিটির সদস্য-সচিব এবং ছাত্র পরামর্শ ও নির্দেশনা বিভাগের পরিচালক অধ্যাপক ড. মো. মাহাবুব হোসেন স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে বিষয়টি জানানো হয়।

কর্মসূচির অংশ হিসেবে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণে বঙ্গবন্ধু, স্বাধীনতা ও বাংলাদেশ বিষয়াবলী সম্পর্কিত উপস্থিত বক্তৃতা প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হবে।

আগামী ৩ ডিসেম্বর বিকেলে বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসির মুক্তমঞ্চে প্রতিযোগিতার উদ্বোধন করা হবে।

উপস্থিত বক্তৃতা প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণেচ্ছুদের ছাত্র পরামর্শ ও নির্দেশনা বিভাগে নির্ধারিত খাতায় (অফিস চলাকালীন) অথবা প্রদত্ত লিঙ্কে ২ ডিসেম্বরের মধ্যে রেজিস্ট্রেশন করতে বলা হয়েছে।

এছাড়াও বিশ্ববিদ্যালয়ের সব শিক্ষক-শিক্ষার্থী-কর্মকর্তা-কর্মচারীকে অংশগ্রহণের আহ্বান জানিয়ে বলা হয়, অনুষদ ভিত্তিক শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণে দ্বিতীয় বিজয় দিবস আন্তঃঅনুষদীয় ভলিবল প্রতিযোগিতা ২০২৩ (ছাত্র) এর উদ্বোধন এবং অনুষদ ভিত্তিক শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণে প্রথম সুলতানা কামাল স্মৃতি কাপ আন্তঃঅনুষদীয় ভলিবল প্রতিযোগিতা ২০২৩ (ছাত্রী) এর উদ্বোধন করা হবে। আগামী ১ ডিসেম্বর ড্রপডাউন ব্যানারের মাধ্যমে বিজয়ের মাস উদযাপন শুরু হবে।

এরপর ৫ ডিসেম্বর সপ্তাহব্যাপী সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতা, ৬ ডিসেম্বর বঙ্গবন্ধুর আত্মজীবনীমূলক চলচ্চিত্র ‘মুজিব: একটি জাতির রূপকার’ প্রদর্শন (অডিটোরিয়াম-১ম), ৭ ডিসেম্বর পিঠা উৎসব ও সঙ্গীতানুষ্ঠান, ১১ ডিসেম্বর সপ্তাহব্যাপী উপস্থিত বক্তৃতা, সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতার চূড়ান্ত পর্ব ও পুরস্কার বিতরণী, ১২ ডিসেম্বর দ্বিবার্ষিক  ক্রীড়া প্রতিযোগিতার চূড়ান্ত পর্ব ও পুরস্কার বিতরণী (কেন্দ্রীয় মাঠ-১), ১৪ ডিসেম্বর দিনব্যাপী শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস পালন এবং ১৬ ডিসেম্বর দিনব্যাপী বিজয় দিবস উদযাপন অনুষ্ঠিত হবে।

এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র পরামর্শ নির্দেশনা বিভাগের পরিচালক অধ্যাপক ড. মো. মাহাবুব হোসেন বলেন, বিজয়ের আনন্দ আমাদের সবার। মহান বিজয় দিবসের এই আনন্দকে উপভোগ করতে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন হাতে নিয়েছে নানাবিধ কর্মসূচি। এ কর্মসূচিগুলোর মাধ্যমে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীরা তাদের শারীরিক শৈলী, সৃজনশীলতা, বুদ্ধিমত্তার প্রয়োগ ঘটাতে পারবে এবং তারা বাংলা সংস্কৃতি ও ইতিহাসকে চর্চা করতে পারবে।