অলআউট বাংলাদেশ, নিউজিল্যান্ডের লক্ষ্য ৩৩২

অলআউট বাংলাদেশ, নিউজিল্যান্ডের লক্ষ্য ৩৩২

সংগৃহীত

দিনের শুরুতেই প্যাভিলিয়নে ফেরেন রেকর্ড গড়ে সেঞ্চুরি হাঁকানো নাজমুল হোসেন শান্ত। এতে দ্রুত গুটিয়ে যাওয়ার শঙ্কা জেগেছিল। শেষ পর্যন্ত তা হতে দেননি অভিজ্ঞ মুশফিক ও অলরাউন্ডার মিরাজ। তারা দুইজনেই দেখা পেয়েছেন ব্যক্তিগত পঞ্চাশের।

তবে মিরাজের ফিফটি পাওয়ার ওভারেই অলআউট হয়ে গেছে স্বাগতিকরা। প্যাটেলের অফ-স্ট্যাম্পের বাইরের বলে উইকেট থেকে বেরিয়ে খেলতে চেয়েছিলেন পেসার শরিফুল। পরে তা মিস করে স্ট্যাম্পিং হয়েছেন তিনি। এতে ৩৩৮ রানেই গুটিয়ে গেছে লাল-সবুজেরা। সিলেট টেস্ট জিততে কিউইদের প্রয়োজন ৩৩২ রান।

তৃতীয় দিন শেষে ৩ উইকেটে ২১২ রান করেছিল লাল-সবুজেরা। এদিন ৭ উইকেট হাতে রেখে ২০৫ রানে এগিয়ে ছিল টাইগাররা। অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত ১০৪ ও মুশফিকুর রহিম ৪৩ রানে অপরাজিত ছিলেন।

তবে আগের দিনের মতো এদিন বেশি দূর এগোতে পারেননি অবিচ্ছিন্ন মুশফিক-শান্ত জুটি। চতুর্থ দিনে নিউজিল্যান্ডের পেসার টিম সাউদির বলে ব্যক্তিগত ১০৫ রানে আউট হন শান্ত। লেগ-স্টাম্পের বাইরের শর্ট বলে উইকেটেরর পেছনে ক্যাচ দেন শান্ত। ১৯৮ বল মোকাবিলায় ১০ বাউন্ডারি হাঁকান তিনি।

শান্ত ফেরার পর ব্যাট হাতে নেমে দ্রুতই মানিয়ে নেন অভিষিক্ত দিপু। ইশ সোধির ওভারে জোড়া বাউন্ডারি হাঁকিয়ে আক্রমণাত্মক ইনিংসের ইঙ্গিত দেন তিনি। তবে ইনিংস লম্বা করতে পারেননি এই ব্যাটার। সাজঘরে ফেরেন ১৮ রান করে।

টেস্ট ক্যারিয়ারের ২৭তম হাফ-সেঞ্চুরি তুলে ৭ চারে ৬৭ রানে থামেন মুশফিকও। ৮৫তম ওভারে অ্যাজাজ প্যাটেলের বলে লেগ বিফোরের ফাঁদে পড়েন মুশি। অন্যদিকে উইকেটরক্ষক নুরুল হাসান ১০ রানে আউট হন।

সোহানের পর নাঈমকে নিয়ে জুটি গড়ার চেষ্টা করেন মিরাজ। এতে ৩ উইকেট হাতে নিয়ে ৩০১ রানে এগিয়ে চতুর্থ দিনের মধ্যাহ্ন-বিরতিতে যায় বাংলাদেশ। ৭ রানে পিছিয়ে থেকে নিজেদের দ্বিতীয় ইনিংস শুরু করা বাংলাদেশ চতুর্থ দিনের মধ্যাহ্ন-বিরতি পর্যন্ত ৭ উইকেটে ৩০৮ রান করে। তবে লাঞ্চ থেকে ফিরে বেশিক্ষণ টিকতে পারেননি নাঈম।

এরপর ব্যাট করতে নেমে ডাক খেয়েছেন তাইজুল। শেষ উইকেট জুটিতে শরিফুলকে সঙ্গে নিয়ে ২৬ রান যোগ করেন মিরাজ। তবে ব্যক্তিগত ১০ রানে শরিফুল ফিরলে ৩৩৮ রানেই গুটিয়ে যায় টাইগাররা। শেষ পর্যন্ত ৫০ রানে অপরাজিত ছিলেন মিরাজ।