দিল্লিজুড়ে কঠোর নিরাপত্তা

দিল্লিজুড়ে কঠোর নিরাপত্তা

ছবিঃ সংগৃহীত।

ভারতীয় পার্লামেন্টে হামলা দিয়েছে নিষিদ্ধঘোষিত সংগঠন শিখস ফর জাস্টিস।আর এ হুমকি পেয়েই নড়েচড়ে বসেছে দেশটির আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। এরই মধ্যে পার্লামেন্ট ভবন ও দিল্লির গুরুত্বপূর্ণ স্থানসহ আশেপাশের এলাকায় নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে।

 

এমন এক সময়ে এই হুমকি এলো, যখন ভারতের পার্লামেন্টে অধিবেশন চলছে। পুলিশ বলছে, এরই মধ্যে দিল্লির গুরুত্বপূর্ণ স্থান ও পার্লামেন্ট ভবনসহ পার্শ্ববর্তী এলাকার নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে।

২০০১ সালের ১৩ ডিসেম্বর ভারতের পার্লামেন্টে হামলা হয়েছিল। ওই হামলায় ১৫ জন নিহত হন। এবারও ১৩ ডিসেম্বর তেমন আরেকটি হামলার হুমকি দিলেন শিখস ফর জাস্টিসের প্রধান গুরপতবন্ত সিং পান্নুন।সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে একটি ভিডিওবার্তায় তিনি বলেন, আগামী ১৩ ডিসেম্বর অথবা এর মধ্যে ভারতের পার্লামেন্টে হামলা চালানো হবে। ভারত সরকার কানাডায় শিখ নেতা হরদীপ সিং নিজ্জরকে হত্যা করেছে। আমাকেও হত্যার ষড়যন্ত্র করেছিল, কিন্তু তা ব্যর্থ হয়েছে। এসব ঘটনার প্রতিশোধ নিতেই হামলা চালানো হবে।

সংগঠনটির প্রধানের এমন হুমকিতে নড়েচড়ে বসেছে ভারত। বৃহস্পতিবার (৭ ডিসেম্বর) ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের নিয়মিত সংবাদ সম্মেলনে উঠে আসে পান্নুনের হুমকির বিষয়টি।

 

পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র অরিন্দম বাগচী বলেন, এই হুমকিকে গুরুত্ব সহকারে দেখছে ভারত সরকার। এরই মধ্যে এ বিষয়ে কাজ শুরু করেছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। তার দাবি, হামলার হুমকি দিয়ে মনোযোগ আকর্ষণের চেষ্টা করছে শিখস ফর জাস্টিস।

এদিকে, পান্নুন হত্যা ষড়যন্ত্র ইস্যুতে যুক্তরাষ্ট্র ও ভারতের মধ্যে চলমান কূটনৈতিক টানাপোড়েনের মধ্যেই আগামী সপ্তাহে দিল্লি সফরে আসছেন মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থা এফবিআইয়ের প্রধান ক্রিস্টোফার রে।

 

বুধবার (৬ ডিসেম্বর) ভারতে নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত এরিক গারসেট্টি জানিয়েছেন, যুক্তরাষ্ট্রে শিখ নেতা হত্যার ষড়যন্ত্রে ভারতের জড়িত থাকার বিষয়ে আলোচনা করতে দিল্লিতে আসবেন সে দেশের শীর্ষ গোয়েন্দা কর্মকর্তা।

যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের (এফবিআই) পরিচালক ক্রিস্টোফার রে ১১ ও ১২ ডিসেম্বর দিল্লিতে থাকবেন। এ সময়ের মধ্যে তিনি ভারতের ন্যাশনাল ইনভেস্টিগেশন এজেন্সির (এএনআই) প্রধান দীনকর গুপ্তর সঙ্গে বৈঠক করবেন।

 

সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের ম্যানহাটনের মার্কিন অ্যাটর্নি অফিসের পক্ষ থেকে আদালতে জানানো হয়, খালিস্তানি নেতা গুরপতবন্ত সিং পান্নুনকে হত্যার পরিকল্পনা করেছিলেন এক ভারতীয় কর্মকর্তা। অভিযুক্ত কর্মকর্তা আগে ভারতের আধা-সামরিক বাহিনী সিআরপিএফে কর্মরত ছিলেন।

পান্নুনকে হত্যার জন্য দু’জনের সঙ্গে আলোচনা করেছিলেন নিখিল গুপ্তা নামে ওই ভারতীয় কর্মকর্তা। ওই দুজনই আবার ‘আন্ডার-কভার এজেন্ট’ ছিলেন বলে দাবি করা হয়েছে। তবে পান্নুনকে হত্যাচেষ্টার ঘটনায় ভারতীয় কর্মকর্তার সম্পৃক্ততার অভিযোগে চরম উদ্বেগ প্রকাশ করেছে ভারত সরকার।