সম্পদের পাশাপাশি ঋণ বেড়েছে শিক্ষামন্ত্রীর

সম্পদের পাশাপাশি ঋণ বেড়েছে শিক্ষামন্ত্রীর

শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি

পাঁচ বছরে চাঁদপুর-৩ আসনের সংসদ সদস্য ও শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনির সম্পদের পাশাপাশি ব্যাংক ঋণের পরিমাণও বেড়েছে। আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জমা দেওয়া হলফনামার তথ্য বিশ্লেষণ করে এসব তথ্য জানা গেছে।

আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী দীপু মনি ২০০৮ সাল থেকে চাঁদপুরের এ আসনে টানা তিনবারের সংসদ সদস্য। তিনি বাংলাদেশের প্রথম নারী পররাষ্ট্র ও শিক্ষামন্ত্রী। বর্তমানে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক।

আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের হলফনামায় তিনি পেশা হিসেবে চিকিৎসক, জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ, আইনজীবী ও রাজনীতিক উল্লেখ করেছেন।

২০১৮ সালে স্থাবর সম্পদ হিসাবে ৩৫ লাখ টাকা মূল্যের দুটি ফ্ল্যাট ছিল তার। এবার হলফনামায় তিন কোটি ৬০ লাখ টাকা দামের তিনটি ফ্ল্যাটের কথা উল্লেখ করেছেন।

এছাড়া স্থাবর সম্পদের মধ্যে ৩৪ লাখ টাকা মূল্যের ১০ কাঠা অকৃষি জমির কথা বলেছেন। ২০১৮ সালেও এই পরিমাণ জমিই দেখিয়েছিলেন।

২০১৮ সালের একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে হলফনামায় স্বামীর নামে ৪০ লাখ টাকার দু্টি ফ্ল্যাট দেখিয়েছিলেন। কিন্তু এবার সেখানে দেখিয়েছেন ১৫ লাখ টাকার একটি ফ্ল্যাট।

পাশাপাশি ২০১৮ সালের নির্বাচনে গাড়ি বাবদ এক্সিম ব্যাংকে ৫ লাখ ৮৬ হাজার ৯০৫ টাকা ঋণ দেখিয়েছিলেন। ২০২৩ সালে ঋণের পরিমাণ বেড়েছে। ব্যক্তিগত ঋণ দেখিয়েছেন তিনি ১ কোটি ১১ লাখ ৭৫ হাজার ৫৪৩ টাকা।

২০২৩ সালে দেওয়া হলফনামায় দীপু মনির বার্ষিক আয় মন্ত্রী হিসেবে সম্মানী ও ভাতাসহ ২১ লাখ ৩৯ হাজার ৩৯৬ টাকা। এফডিআর, ব্যাংকের সুদ, স্বামী ও ভাইয়ের কাছ থেকে পেয়েছেন ৯৮ লাখ ৬৯ হাজার ৬৭৪ টাকা, শেয়ার ও সঞ্চয়পত্রে ৩ লাখ ১ হাজার ২০০ টাকা আয় দেখিয়েছেন।

ইলেকট্রনিক সামগ্রীর কোনো বিবরণ দেননি তিনি, তবে তার নামে রয়েছে লাখ টাকার আসবাবপত্র, এছাড়া তার স্বামীর নামে দেখানো হয়েছে ১০ লাখ ৫ হাজার টাকা।

২০২৩ সালের হলফনামায় পেশা থেকে কোনো আয় দেখাননি শিক্ষামন্ত্রী। তবে গত একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে পেশা থেকে আয় দেখিয়েছিলেন বছরে ১২ লাখ ৫০ হাজার টাকা। দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের হলফনামায় তার নগদ অর্থ রয়েছে ৬৬ লাখ ৮৯ হাজার ২৯৮ টাকা এবং তার স্বামীর নগদ অর্থ ১১ লাখ ২ হাজার টাকা।

পাশাপাশি তার ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানে জমা আছে ৬ লাখ ৬০ হাজার ৭৮৬ টাকা এবং পোস্টাল, সেভিংস সার্টিফিকেটসহ বিভিন্ন সঞ্চয়পত্রে বা স্থায়ী আমানতে বিনিয়োগ রয়েছে এক কোটি ৪৪ লাখ ২২ হাজার ৩৫৭ টাকা। অপরদিকে তার স্বামীর নামে বেনোভোলেন্ট ফান্ডে আছে প্রায় ৪৫ লাখ টাকা।

৬০ লাখ টাকা মূল্যের টয়োটা জিপ গাড়ি রয়েছে শিক্ষামন্ত্রীর। আর একাদশ সংসদ নির্বাচনে দেখিয়েছিলেন ৪৬ লাখ ৫৭ হাজার টাকার মিৎসুবেশি পাজেরো গাড়ি। স্বামীর নামে দেখানো হয়েছে ৫০ হাজার টাকা দামের একটি কার।

নিজের নামে ৯ লাখ টাকার স্বর্ণ আর স্বামীর নামে ৫০ হাজার টাকার স্বর্ণ রয়েছে। ২০২৮ সালে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পর দীপু মনির স্বর্ণের পরিমাণ বাড়েনি।