ফুটবল থেকে অবসরে চিয়েল্লিনি

ফুটবল থেকে অবসরে চিয়েল্লিনি

ছবি: সংগৃহীত

গত বছর আর্জেন্টিনার বিপক্ষে 'লা ফিনালিসিমা' দিয়ে আন্তর্জাতিক ফুটবল থেকে অবসর নেন জর্জিও চিয়েল্লিনি। তবে ক্লাব ফুটবল চালিয়ে যাচ্ছিলেন তিনি। কিন্তু এবার সবধরনের ফুটবল থেকেই বিদায়ের ঘোষণা দিলেন ইতালির কিংবদন্তি এই ডিফেন্ডার।

ফুটবল বিষয়ক ওয়েবসাইট 'গোল.কম' জানিয়েছে, আজ যেকোনো সময় অবসরের আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দেবেন চিয়েল্লিনি। এরপর তাকে দেখা যেতে পারে নিজের সাবেক ক্লাব জুভেন্টাসের কর্মকর্তা হিসেবে।

গত দুই বছর মেজর লিগ সকারের (এমএলএস) ক্লাব এলএএফসি (লস অ্যাঞ্জেলস ফুটবল ক্লাব)-এর জার্সিতে খেলেছেন চিয়েল্লিনি। গত মৌসুমের শেষ এমএলএস কাপের ফাইনালে কলম্বাস ক্রুয়ের বিপক্ষে হেরে যাওয়া ম্যাচটির পরই অবসরের ইঙ্গিত দিয়েছিলেন।  

ইতালিয়ান সংবাদমাধ্যমগুলো ইঙ্গিত দিয়েছে, ৩৯ বছর বয়সে খেলোয়াড়ি জীবনের ইতি টানার পর নিজের সাবেক ঠিকানা তুরিনে ফিরে যাচ্ছেন চিয়েল্লিনি। ফলে শহরের ক্লাব জুভেন্টাসের ঘরের মাঠ অ্যালিয়েঞ্জ অ্যারেনায় তাকে ফের দেখা যেতে পারে। যদিও খেলোয়াড় হিসেবে নয়, ক্লাবের প্রশাসনিক বিষয় দেখভালের দায়িত্ব নিতে পারেন তিনি। আবার শোনা যাচ্ছে, মেজর লিগের উন্নতিতেও ভূমিকা রাখতে চান চিয়েল্লিনি।  

চিয়েল্লিনির ভাই ক্লদিও জুভেন্টাসের পরবর্তী প্রজন্ম গড়ে তোলার কাজ হাতে নিয়েছেন। খুব শিগগিরই হয়তো ভাইয়ের সঙ্গে যোগ দিতে পারেন সাবেক ইতালিয়ান ডিফেন্ডার। এই ক্লাবেই তার ক্যারিয়ারের অর্ধেক সময় কাটিয়েছেন তিনি। 'তুরিনের বুড়ি'দের জার্সিতে ৫৬১ ম্যাচে মাঠে নেমেছেন চিয়েল্লিনি। ডিফেন্ডার হয়েও করেছেন ৩৬ গোল।  

ইতালির ফুটবলে চিয়েল্লিনিকে কিংবদন্তির অবস্থানে ভাবা হয়। তার সময়ে ৯ বার সিরি আ'র শিরোপা জেতে জুভরা। সেই সঙ্গে ৫ বার ইতালিয়ান সুপার কাপ এবং ৫ বার কোপা ইতালিয়া জেতার স্বাদ পান চিয়েল্লিনি। এছাড়া ২০১৫ ও ২০১৭ চ্যাম্পিয়নস লিগের ফাইনালে ওঠা জুভেন্টাস দলের সদস্য ছিলেন তিনি।  

শুধু ক্লাব পর্যায়ে নয়, চিয়েল্লির সাফল্য আছে জাতীয় দলের জার্সিতেও। ২০২০ ইউরোপিয়ান চ্যাম্পিয়নশিপ জেতা ইতালি দলের অধিনায়ক ছিলেন তিনি। নীল জার্সিতে তিনি শেষবার খেলেন 'লা ফিনালিসিমা'তেই। আর্জেন্টিনার বিপক্ষে ওই ম্যাচটি অবশ্য হেরে যায় ইতালি। তারচেয়েও বড় দুঃখ আছে চিয়েল্লিনির। তার সময়ে টানা দুইবার (২০১৮ ও ২০২২) বিশ্বকাপের বাছাইপর্ব পার হতে পারেনি চারবারের চ্যাম্পিয়ন ইতালি।