লালমনিরহাটে শীতের তীব্রতায় বাড়ছে ঠাণ্ডাজনিত রোগী

লালমনিরহাটে শীতের তীব্রতায় বাড়ছে ঠাণ্ডাজনিত রোগী

সংগৃহীত

লালমনিরহাটে শীতের তীব্রতায় হাসপাতালে বাড়ছে ঠাণ্ডাজনিত রোগী। শিশুদের ঠাণ্ডাজনিত রোগ, শ্বাসকষ্ট, নিউমোনিয়া ও ডায়রিয়ার প্রকোপ বৃদ্ধি পেয়েছে। লালমনিরহাটের কালীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে শিশু ও বয়স্ক রোগীদের ভর্তি হতে দেখা গেছে। প্রতিদিন আক্রান্ত হয়ে গড়ে ৮-১০ জন শিশু রোগী শিশু ওয়ার্ডে ভর্তি হয়েছে।

কালীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স শিশু ওয়ার্ড ঘুরে দেখা যায়, ঠাণ্ডা, শ্বাসকষ্ট, ডায়রিয়া ও নিউমোনিয়া রোগে আক্রান্ত হয়ে অনেক শিশু চিকিৎসাসেবা নিচ্ছে। কাকিনা গ্রাম থেকে ডায়রিয়ায় আক্রান্ত শিশু সন্তানকে নিয়ে চিকিৎসা নিতে আসা নাম বলতে অনিচ্ছুক এক নারী বলেন, হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন দুদিন হলো। চিকিৎসা নিতে এসে সব ধরনের ওষুধ বাইরে থেকে কিনে আনতে হচ্ছে। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ যদি কিছু ওষুধের ব্যবস্থা করে দিত, তাহলে আমাদের উপকার হতো। তবে ডাক্তার নিয়মিত দেখাশোনা করছেন। চিকিৎসা ও পরামর্শ দিচ্ছেন। আমার মতো অনেক ঠাণ্ডাজনিত রোগী এখানে আছেন। এখানকার চিকিৎসার মান মোটামুটি ভালো বলে জানান তিনি।

এ বিষয়ে কালীগঞ্জ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাক্তার দেবনাথ বলেন, এখন শীতের শুরুতে বয়স্ক ও শিশুদের ঠাণ্ডাজনিত রোগ বেশি দেখা দিচ্ছে। তবে সারা বছর কম বেশি দেখা যায়। তবে এই শীতের শুরুতে কুয়াশা যখন পড়ে, অনেক সময় শিশুর মা সচেতন থাকেন না, যে কারণে শিশু ঠাণ্ডাজনিত রোগে আক্রান্ত হয়। শ্বাসকষ্ট হলে নেবুলাইজ করা যেতে পারে। ডায়রিয়ার ক্ষেত্রে বাচ্চাকে খাবার স্যালাইন খাওয়ানো ও পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা মেনে চললে শিশুকে ঠাণ্ডাজনিত রোগের হাত থেকে মুক্ত রাখা সম্ভব।

এ ব্যাপারে লালমনিরহাট সিভিল সার্জন নির্মলেন্দু রায় জানান, গত কয়েকদিন থেকে জেলায় শীতের প্রকোপ বৃদ্ধি পেয়েছে। ঘন কুয়াশা হওয়ায় বেশি শীত অনুভূত হচ্ছে। ফলে হাসপাতালগুলোতে ঠাণ্ডাজনিত রোগীর সংখ্যা বাড়ছে। আমরা স্বাস্থ্য বিভাগ শিশু এবং বয়স্কদের চিকিৎসা দেওয়ার জন্য পর্যাপ্ত ব্যবস্থা গ্রহণ করেছি।