কক্সবাজারে গহিন বনে অস্ত্র তৈরির কারখানা, ৪ কারিগর গ্রেফতার

কক্সবাজারে গহিন বনে অস্ত্র তৈরির কারখানা, ৪ কারিগর গ্রেফতার

ছবিঃ সংগৃহীত।

কক্সবাজারের রামুর পাহাড়ি জনপদ ঈদগড়ের গহিন অরণ্যে অভিযান চালিয়ে অস্ত্র তৈরির কারখানার সন্ধান পেয়েছে র‌্যাব-১৫।কারখানা থেকে ১০টি দেশীয় তৈরি অস্ত্র, ২২ রাউন্ড গুলি ও অস্ত্র তৈরির বিপুল সরঞ্জাম উদ্ধার করা হয়।

 

বুধবার (১৩ ডিসেম্বর) ভোর থেকে সকাল ৯টা পর্যন্ত অভিযান চালিয়ে এসব জব্দ করা হয়। এসময় চারজনকে গ্রেফতার করা হয়।

গ্রেফতাররা হলেন রামুর ঈদগড় ইউনিয়নের ৮ নম্বর ওয়ার্ডের কোদালিয়াপাড়ার মৃত আব্দুল জলিলের ছেলে সাহাব উদ্দিন (৪০), মৃত সোলেমানের ছেলে লাল মিয়া (৫৮), ৯ নম্বর ওয়ার্ডের করলিয়ামুরা এলাকার আবু বক্কর প্রকাশ খুইল্যা মিয়ার ছেলে মাঈন উদ্দিন (৪৩) ও নাজির হোসেনের ছেলে জাফর আলম (৪১)। তারা চারজনই অস্ত্র কারিগর বলে দাবি করেছে র‌্যাব।

র‌্যাব-১৫ কক্সবাজারের অধিনায়ক লে. কর্নেল এইচ এম সাজ্জাদ হোসেন জানান, রামুর ঈদগড়ের তুলাতুলি এলাকার আবু সামার ঘোনার পশ্চিম পাশে গহিন পাহাড়ে অবৈধ অস্ত্র তৈরির কারখানার খবর পেয়ে ভোর ৫টার দিকে সেখানে অভিযান চালানো হয়। অভিযানকালে অবৈধ অস্ত্র ব্যবসায়ীরা দুর্গম পাহাড়ের এদিক-ওদিক দৌড়ে পালিয়ে যেতে থাকেন। এসময় ধাওয়া করে চারজনকে আটক করা হয়। পরে সকাল ৯টা পর্যন্ত তল্লাশি চালিয়ে অস্ত্রের কারখানা থেকে দুটি এলজি, আটটি ওয়ান শুটার গান, ১১ রাউন্ড গুলি, সাতটি ১২ বোর কার্তুজ, চারটি গুলির খোসা খোসা এবং অস্ত্র তৈরিতে ব্যবহৃত সাতটি রড, চারটি হাতুড়ি, অস্ত্রের ১০টি ফাইল, তিনটি বাটাল, একটি ড্রিল মেশিন, দুটি প্লাস, তিনটি স্ক্রু ড্রাইবার স্প্রিং, বাটাল সান দেয়ার শিলসহ অস্ত্র তৈরির আনুষঙ্গিক ছোট-বড় বেশকিছু সরঞ্জাম জব্দ করা হয়।

র‌্যাবের এ কর্মকর্তা আরও জানান, গ্রেফতার অস্ত্র কারিগর ও ব্যবসায়ীরা গহিন পাহাড়ে অবস্থান করে অস্ত্র তৈরি ও ব্যবসা করতেন। তারা ডাকাতি, অপহরণ ও মুক্তিপণ আদায় এবং মাদকসহ নানা অপরাধের সঙ্গে জড়িত। দুর্গম পাহাড়ি এলাকা হওয়ার সুবাদে সেখানে অস্ত্র তৈরির কারখানা গড়ে বসবাস করতেন তারা। তাদের অন্য সহযোগীদের মাধ্যমে বিভিন্ন সন্ত্রাসীচক্রের কাছে অস্ত্র সরবরাহসহ নানা অপরাধ কর্মকাণ্ড পরিচালনা করতেন।

আটকদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে উল্লেখ করে র‌্যাব-১৫ এর অধিনায়ক লে. কর্নেল এইচ এম সাজ্জাদ হোসেন বলেন, ঈদগাঁও-ঈদগড়-বাইশারী সড়কে ডাকাতি, অপহরণ ও অপরাধকাণ্ড বন্ধে র‌্যাবের অভিযান অব্যাহত থাকবে।