সবসময় অজু অবস্থায় থাকলে যে উপকার হয়

সবসময় অজু অবস্থায় থাকলে যে উপকার হয়

ছবি: সংগৃহীত

আল্লাহ তাআলার কাছে পবিত্রতা অর্জনকারীদের গুরুত্ব ও মর্যাদা অনেক বেশি। পবিত্র অর্জনের অন্যতম মধ্যম অজু। অজু ছাড়া নামাজ হয় না। আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘হে মুমিনগণ! যখন তোমরা সালাতের জন্য প্রস্তুত হবে তখন তোমরা তোমাদের মুখমণ্ডল ও হাত কনুই পর্যন্ত ধৌত করবে এবং তোমাদের মাথা মাসেহ করো ও দুই পা টাখনু পর্যন্ত ধৌত করো’। (সূরা মায়েদা: ৬)

হজরত জাবির ইবনে আবদুল্লাহ (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুল (স.) বলেছেন, ‘বেহেশতের চাবি হচ্ছে নামাজ, আর নামাজের চাবি হলো অজু’। (মুসনাদে আহমদ: ৩, ৩৪০ পৃ.)সবসময় অজু অবস্থায় থাকার অনেক ফজিলত রয়েছে। সবচেয়ে বড় ফজিলত হলো- এতে আল্লাহ তাআলার ভালোবাসা লাভ হয়। আল্লাহ তাআলা পবিত্র অবস্থায় থাকা ব্যক্তিদের ভালোবাসেন। কোরআনে ইরশাদ হয়েছে, ‘নিশ্চয়ই আল্লাহ তাআলা তাওবাকারী এবং পবিত্রতা অবলম্বনকারীদের ভালোবাসেন।’ (সুরা বাকারা: ২২২)

বিশিষ্ট সাহাবি হজরত বেলাল (রা.)-এর একটি বিশেষ আমল ছিল সবসময় অজু অবস্থায় থাকা। তাই আল্লাহ তাআলা তার সম্মান বাড়িয়ে দিয়েছেন। রাসুলুল্লাহ (স.) জান্নাতে তার পায়চারির শব্দ শুনতে পেয়েছেন। এ সম্পর্কে হাদিসে এসেছে, আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত, ‘রাসুল (স.) হজরত বেলালকে (রা.) বললেন, তোমার সর্বোত্তম আমল সম্পর্কে আমাকে বলো, আমি জান্নাতে তোমার জুতার শব্দ শুনতে পেয়েছি। বেলাল (রা.) বললেন, আমার সর্বোত্তম আমল হলো, আমি রাতে ও দিনে অজু অবস্থায় থাকি। আর যখনই অজু করি তখনই সাধ্যমতো নামাজ আদায় করি।’ (কানজুল উম্মাল: ৩৫৪৫৪)

পবিত্র ব্যক্তিদের জন্য ফেরেশতা ক্ষমা প্রার্থনা করেন। আব্দুল্লাহ ইবনে উমর (রা.) বলেন, রাসুলুল্লাহ (স.) ইরশাদ করেছেন, ‘তোমরা তোমাদের দেহগুলোকে পবিত্র রাখবে, আল্লাহ তোমাদের পবিত্র করুন। যদি কোনো বান্দা অজু অবস্থায় ঘুমায় তাহলে তার পোশাকের মধ্যে একজন ফেরেশতা শুয়ে থাকেন। রাতে যখনই এ ব্যক্তি নড়াচড়া করে তখনই এ ফেরেশতা বলেন, হে আল্লাহ আপনি এ ব্যক্তিকে ক্ষমা করে দিন, কারণ সে অজু অবস্থায় ঘুমিয়েছে।’ (সহিহ ইবনে হিব্বান: ৩/৩২৮; আলবানি, সহিহুত তারগিব: ১/৩১৭)

কোনো হাদিসে বলা হয়েছে, সর্বদা অজু অবস্থায় থাকলে এবং এ অবস্থায় মৃত্যু হলে শহিদের মর্যাদা লাভ হয়। হজরত আনাস (রা.) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসুল (স.) আমাকে বলেছিলেন, ‘হে আমার বেটা! সম্ভব   হলে সবসময়   অজু   অবস্থায় থাকবে। কেননা মৃত্যুর ফেরেশতা অজু অবস্থায়  যার জান কবজ করেন তার শাহাদাতের  মর্যাদা লাভ হয়।’ (শুয়াবুল  ঈমান, বায়হাকি: ২৭৮৩)