রাজধানী‌তে বিপুল পরিমাণ আতশবাজিসহ ব্যবসায়ী গ্রেপ্তার

রাজধানী‌তে বিপুল পরিমাণ আতশবাজিসহ ব্যবসায়ী গ্রেপ্তার

সংগৃহীত

আসন্ন থার্টিফার্স্ট নাইট, বড়দিন এবং নির্বাচন উপলক্ষ্যে রাজধানীতে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে বিভিন্ন স্থানে অভিযান পরিচালনা ও গোয়েন্দা কার্যক্রম বাড়িয়েছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি)।

বড়দিন ও থার্টিফার্স্ট নাইট উৎসবমুখর ও নিরাপদ পরিবেশে সম্পন্ন করার লক্ষ্যে ঢাকা মহানগরীতে অনির্দিষ্টকালের জন্য সব ধরনের আতশবাজি, পটকা ফুটানো, ফানুস ওড়ানো নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছে ডিএমপি।

সোমবার রাত ১২টা থেকে পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত এসব কর্মকাণ্ড বন্ধ রাখতে বলেছে পুলিশ।

এরই অংশ হিসেবে ডিএম‌পির লালবাগ বিভা‌গের উপ-কমিশনার মো. জাফর হোসেনের নির্দেশে রাজধানীর লালবাগ এলাকায় অভিযান চালিয়েছে পুলিশ। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে সোমবার রাতে কোতোয়ালী থানা এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে বিপুল পরিমাণ বিস্ফোরণ দ্রব্যসহ এক ব্যবসায়ীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

কোতোয়ালী জোনের অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার (এডিসি) বদরুল হাসান বলেন, সোমবার রাতে কোতয়ালী থানাধীন দিপা ইলেকট্রিক হাউজ ১৩নং রমাকান্ত নন্দী লেনের সামনে পাকা রাস্তার উপর থেকে ২০ কেজি অবৈধ বিস্ফোরক দ্রব্য (আতশবাজি) উদ্ধারসহ বিকাশ চন্দ্র সিগ্ধা ওরফে জটা (৩৭) নামে এক ব্যবসায়ীকে গ্রেপ্তার করা হয়। তিনি কোতোয়ালীর শাঁখারিবাজারের মৃত মরন চন্দ্র সিগ্ধার ছেলে।

প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে প্রাপ্ত তথ্যের ভিত্তিতে এডিসি বদরুল হাসান জানান, আসন্ন থার্টিফার্স্ট নাইট, বড়দিনকে কেন্দ্র করে ঢাকা মহানগরে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি অবনতিসহ মানুষের মধ্যে ভীতি ছড়ানোর লক্ষ্যে তিনি অবৈধভাবে বিস্ফোরক দ্রব্য বিক্রির উদ্দেশে নিজ হেফাজতে রেখেছেন।

জব্দ অবৈধ বিস্ফোরক দ্রব্য ভারত থেকে বিভিন্ন পথে ঢাকায় আনেন আটক বিকাশ। সেগুলো ঢাকা মহানগরসহ বিভিন্ন জেলায় খুচরা বিক্রি হয়। তার বিরুদ্ধে বিস্ফোরক আইনে কোতোয়ালী থানায় মামলা হয়েছে।

এছাড়া আসন্ন থার্টিফার্স্ট নাইট, বড়দিন এবং নির্বাচন উপলক্ষ্যে ঢাকা মহানগরীর আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ ও স্বাভাবিক রাখতে ডিসি লালবাগ কার্যালয়ে চকবাজারের জরি ব্যবসায়ী সমিতি এবং খুচরা বার্থ ডে আইটেম বিক্রয়কারী দোকানীদের সঙ্গে এক মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

সভায় ব্যবসায়ীরা জানান, বর্তমানে চকবাজারে পুলিশ প্রশাসনের নির্দেশনা অনুযায়ী সব ধরনের পটকা, আতশবাজি এবং ফানুস বিক্রয় বন্ধ রয়েছে।

তারা আরও তথ্য দেন, অবৈধ বিস্ফোরকদ্রব্য ভারত থেকে বিভিন্ন পথে কুমিল্লা, বগুড়া চুড়িপট্টি হয়ে বিভিন্ন মাধ্যমে ঢাকায় আসে এবং সেগুলো ঢাকার কেরানীগঞ্জসহ মহানগরীর মোহাম্মদপুর, উত্তরা, যাত্রাবাড়ী, ওয়ারী, পল্লবীসহ আরো বিভিন্ন এলাকায় খুচরা বিক্রি হয়। তারা আরো জানান, এখন কিছু বিক্রেতা অনলাইনের মাধ্যমে এ ব্যবসা চালা‌চ্ছে। পু‌লিশ এসব ব‌্যবসায়ীদের খোঁজখবর নেয়াসহ আইনানুগ ব‌্যবস্থা গ্রহণে কাজ কর‌ছে।