ম্যাচসেরা তানজিম হাসান সাকিব

ম্যাচসেরা তানজিম হাসান সাকিব

তানজিম হাসান সাকিব

নতুন বলে শরিফুল ইসলাম-তানজিম সাকিবরা রীতিমতো আগুন ঝড়ালেন। পুরো দল মিলে স্কোরবোর্ডে একশ রানও তুলতে পারেনি, অলআউট হয়েছে ৯৮ রানে। এর একশ রানের নিচে অলআউটে সবচেয়ে অবদান রাখায় ম্যাচসেরা হয়েছেন তানজিম হাসান সাকিব। প্রথম দুই ম্যাচে খুব বেশি ভালো না করতে পারলেও শেষ ম্যাচে নিজেকে ঠিকই তুলে ধরেছেন বাংলাদেশের দ্রুতগতির এ বোলার।

জয়ের পর ম্যাচসেরা হয়ে তানজিম সাকিব সম্প্রচারক চ্যানেলকে বলেছেন, ‘নিজের পারফরম্যান্সে আমি সত্যিই সন্তুষ্ট। যেভাবে শুরু করেছিলাম সেটা ভালো ছিল। বোলিংটা উপভোগ করেছি। বল ভেতরে ঢুকছিল, সিমে পড়ে মুভ করছিল। লাইন ও লেংথ ধরে রেখে চেষ্টা করেছি উইকেট টু উইকেট বল করার। বাকি কাজ পিচ করেছে এবং সেখান থেকে সাহায্যও পেয়েছি। পেসারদের জন্য এটা দারুণ পিচ। লাইন ও লেংথ ঠিক রাখার চেষ্টা করেছি এবং ভালো লাগছে যে সেটা পেরেছি।’

টস হেরে আগে ব্যাট করতে নেমে ৩১ ওভার ৪ বলে সবকটি উইকেট হারিয়ে ৯৮ রানে থামে নিউজিল্যান্ড। দলের হয়ে সর্বোচ্চ ২৬ রান এসেছে উইল ইয়াংয়ের ব্যাট থেকে। বাংলাদেশের হয়ে বল হাতে ৩টি করে উইকেট শিকার করেছেন তানজিম সাকিব, শরিফুল ইসলাম ও সৌম্য সরকার। জবাবে খেলতে নেমে এক উইকেট হারিয়ে ১৫ ওভার ১ বলে লক্ষ্যে পৌঁছে যায় বাংলাদেশ। ৫১ রান করে অপরাজিত থেকেছেন নাজমুল হোসেন শান্ত।

প্রথমে ব্যাট করতে নেমে শুরুতেই চাপে পড়ে নিউজিল্যান্ড। টাইগার পেসারদের নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ে প্রথম ১০ ওভারে ২ উইকেট হারিয়ে ২৭ রানের বেশি তুলতে পারেনি কিউইরা। শুরুর দুই উইকেটই নিয়েছেন তানজিম সাকিব।

১৭তম ওভারে সাকিবের সঙ্গে উইকেট পার্টিতে যোগ দেন শরিফুল ইসলাম। টম লাথামকে ২১ রানে ফিরিয়ে দিনের প্রথম শিকার ধরেন এই বাঁহাতি পেসার। নিজের পরের ওভারে বোলিংয়ে ফিরে আবারও উইকেটের দেখা পেয়েছেন তিনি। ১৯ তম ওভারে ২৫ রান করা উইল ইয়ংকে সাজঘরে ফেরান। এর এক ওভার পর ফিরে নিজের টানা তিন ওভারেই উইকেট তুলে নেন শরিফুল। এবার ২ রান করা মার্ক চ্যাপম্যানকে ফিরিয়ে কিউই টপ অর্ডার ভেঙে দেন শরিফুল।

অপর প্রান্তে সাকিবও আগ্রাসী ছিলেন। ২৩তম ওভারে টম ব্লান্ডেলকে ফিরিয়েছেন তিনি। ৪ রানে ব্লাডেন ফিরলে ২৩ ওভার শেষে মাত্র ৭০ রান তুলতেই ছয় উইকেট হারায় নিউজিল্যান্ড। শরিফুল-সাকিবের মতোই এদিন কার্যকরী ছিলেন সৌম্য সরকার। নিউজিল্যান্ডের ৬ উইকেট পরার পর বোলিংয়ে এসে ৩ উইকেট তুলে নেন সৌম্য। আর কিউইদের কফিনে শেষ পেরেকটা মারেন মুস্তাফিজুর রহমান।