আবারও আইসিসির বাধার মুখে খাজা

আবারও আইসিসির বাধার মুখে খাজা

উসমান খাজা

ভারতকে হারিয়ে নিজেদের ষষ্ঠ বিশ্বকাপ শিরোপা জিতে নেয়া অস্ট্রেলিয়া সাদা পোশাকের লড়াইয়ে নেমেছে। ঘরের মাঠে পাকিস্তানকে আতিথেয়তা দিচ্ছে অজিরা। এদিকে সিরিজের প্রথম টেস্ট থেকেই আলোচনায় অজি ওপেনার উসমান খাজা।

পার্থে ফিলিস্তিনিদের সমর্থনে একটি উদ্যোগ নিয়েছিলেন তিনি, আর তাতেই শাস্তির মুখে পড়েছেন তিনি। পার্থ টেস্টে ফিলিস্তিনিদের সমর্থনে কালো আর্মব্যান্ড পরার কারণে এই বাঁহাতি ব্যাটারকে প্লেয়িং কন্ডিশন ভঙ্গের দায়ে অভিযুক্ত করেছে আইসিসি। এদিকে আগামী ২৬ ডিসেম্বর বক্সিং ডে টেস্টের জন্যও আলাদা পরিকল্পনা ছিল অজি ব্যাটারের, সেখানেও বাধ সাধলো আইসিসি।

রবিবার মেলবোর্ন ক্রিকেট গ্রাউন্ডে নেটে ব্যাটিং অনুশীলন করার সময় খাজার ব্যাটের পেছনে ও ডান পায়ের জুতোয় কালো ঘুঘু ও ০১: ইউডিএইচআর শব্দ দেখা যায়, যা ইউনিভার্সাল ডিক্লেয়ারেশন অব হিউম্যান রাইটসকে নির্দেশ করে। এই জুতো ও ব্যাট পরে বক্সিং ডে টেস্টে খেলার অনুমতি পেতে কয়েকদিন ধরে ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়া ও দ্য অস্ট্রেলিয়ান ক্রিকেটার্স অ্যাসোসিয়েশনের সঙ্গে বৈঠক করেছেন খাজা। 

কিন্তু কারও কাছ থেকে অনাপত্তি পাননি তিনি। সবশেষ রবিবার সকালে আইসিসি তার মতামত জানিয়ে চিঠি পাঠালো। তারাও খাজাকে এই জুতো পরে ও ব্যাট নিয়ে খেলতে বারণ করেছে। এর আগে পার্থ টেস্টে কালো আর্মব্যান্ড পরার চেয়েও বড় কিছু করতে চেয়েছিলেন খাজা। যার ঝলক দেখিয়েছিলেন ম্যাচের আগের দিন অনুশীলনে। 

নিজের জুতোয় ফিলিস্তিনিদের সমর্থনে বিশেষ বার্তা নিয়ে মাঠে নেমেছিলেন। লাল-সবুজ অক্ষরে  জুতোয় লেখা ছিল, ‘সব জীবনের মূল্য সমান এবং স্বাধীনতা একটি মানবাধিকার।’ ওইবারও তোপের মুখে পড়েন খাজা। আইসিসি তাকে এ বিষয়ে বিধিনিষেধের কথা মনে করিয়ে দেওয়ায় জুতো অবশ্য পরেননি। কিন্তু এর বিরুদ্ধে লড়াই করার ঘোষণা দিয়েছিলেন। তার পরেই টেস্টের সময় মাঠে নামেন কালো আর্মব্যান্ড পরে।

আইসিসির এক মুখপাত্র এ বিষয়ে রয়টার্সকে জানিয়েছিলেন, এই কাণ্ডে আইসিসির পোশাক ও ক্রিকেট সামগ্রী সংশ্লিষ্ট নিয়ম ভেঙেছেন খাজা। এমনটা করার ক্ষেত্রে ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়া ও আইসিসির অনুমতি তিনি নেননি। ব্যক্তিগত কোনও বার্তা বহনের ক্ষেত্রে যেটা প্রয়োজন। এই ধরনের অপরাধের ক্ষেত্রে বিষয়টি প্রথমবার হলে শাস্তি হিসেবে ভর্ৎসনা দেওয়া হয়।

তবে আইসিসির এই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে নামার ঘোষণা দেন খাজা। একই সঙ্গে মেলবোর্ন টেস্টেও নতুন কোনও বার্তা নিয়ে হাজির হতে চেয়েছিলেন। তবে পারছেন না ক্রিকেট কর্তৃপক্ষের আপত্তির কারণে।