বেনাপোলে ভারত থেকে আমদানি করা ৪১.৯ টন চামড়া জব্দ

বেনাপোলে ভারত থেকে আমদানি করা ৪১.৯ টন চামড়া জব্দ

ফাইল ছবি

পশু ও পশুজাত পণ্য আমদানিতে শর্ত প্রযোজ্য থাকলেও সে শর্ত পূরণ না করায় ভারত থেকে আমদানিকৃত ৪১.৯ মেট্রিক টন মহিষের চামড়া আটক করেছে বেনাপোল কাস্টমস কর্তৃপক্ষ। চালানটির আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান হলো চানপুর টেনারী লি. ঢাকা। 

গোয়েন্দা সংস্থা সূত্রে জানা গেছে, চানপুর টেনারী লি. নামে একটি আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান গত ১৯ ডিসেম্বর ভারত থেকে ৪১ টন ৯০০ কেজি মহিষের চামড়া আমদানি করে। যার মেনিফেস্ট নম্বর ৬০১২০২৩০০১০০৬৪৭৭৪ তারিখ ২০/১২/২০২৩। চালানটি বেনাপোল বন্দর থেকে খালাশের জন্য সুপ্রিম এসোসিয়েটস নামে একটি সিএন্ডএফ এজেন্ট কাস্টমস হাউসে বিল অব এন্ট্রি দাখিল করে। তবে চালানটি ছাড় করার জন্য প্রয়োজনীয় ডকুমেন্ট না থাকায় সেটি সাময়িকভাবে জব্দ করা হয়েছে। 

বেনাপোল কাস্টমসের ডেপুটি কমিশনার মির্জা রাফেজা সুলতানা স্বাক্ষরিত এক পত্রের মাধ্যমে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় জানানো হয়, আমদানি নীতি আদেশ ২০২১-২০২৪ এর অনুচ্ছেদ-২৯ অনুযায়ী ’প্রাণী ও প্রাণীজাত পণ্য, উদ্ভিদও উদ্ভিজ পণ্য এবং মৎস ও মৎসজাত পণ্য আমদানির ক্ষেত্রে কোয়ারেন্টাইন শর্তাবলি প্রযোজ হবে এবং উদ্ভিদ ও উদ্ভিদজাত পণ্য আমদানি-রফতানিতে উদ্ভিদ সংনিরোধ আইন ২০১১ এবং প্রাণী ও প্রাণীজাত পণ্য আমদানির ক্ষেত্রে বাংলাদেশ পশু ও পশুজাত পণ্য সংনিরোধ আইন, ২০০৫ মৎস ও মৎসজাত পণ্য আমদানির ক্ষেত্রে মৎস সংনিরোধ আইন ২০১৮ এর বিধানাবলি প্রযোজ্য হওয়ার বিধান রয়েছে। 

পণ্যের চালানটি খালাশে ২০০৫ মৎস ও মৎসজাত পণ্য আমদানির ক্ষেত্রে মৎস সংনিরোধ আইন ২০১৮ এর বিধান (শর্ত) প্রতিপালন না হওয়ায় সেটি সাময়িক জব্দ করা হয়েছে। 

পত্রে আরও জানানা হয়, বাংলাদেশ পশু ও পশুজাত পণ্য সংনিরোধ আইন, ২০০৫ অনুযায়ী সার্টিফিকেটের প্রয়োজন আছে কিনা সে বিষয়ে জানানোর জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

শার্শা উপজেলা প্রাণী ও প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা বিনয় কৃষ্ণ জানান, বাংলাদেশ প্রাণী ও প্রাণীজাত সম্পদ আইন ২০০৫ অনুযায়ী গরু বা মহিষের চামড়া কোন দেশ থেকে আমদানি করতে হলে কোরান্টাইন বা প্রাণী বা প্রাণী সম্পদ সম্পদ অধিদপ্তর হতে ব্যাংক থেকে ঋণপত্র খোলার পূর্বে অধিদপ্তরের অনুমতি সার্টিফিকেট নিতে হবে।

কোরেন্টাইনের সার্টিফিকেট ব্যতিরেকে এ ধরনের পণ্য আমদানি করা সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ। 

তিনি আরও বলেন, এই ধরনের কাচা চামড়া হতে এন্থ্র্যাক্স রোগ ছড়ানোর সম্ভাবনা থাকে। এজন্য এ ধরনের পণ্য আমদানির ক্ষেত্রে পূর্বানুমতি নিতে হয়।