বর্ষবরণে কলকাতাজুড়ে বাংলাদেশি পর্যটকদের ভিড়

বর্ষবরণে কলকাতাজুড়ে বাংলাদেশি পর্যটকদের ভিড়

ছবিঃ সংগৃহীত।

বড়দিন উপলক্ষে গোটা কলকাতা শহরে দেশি-বিদেশি পর্যটকদের উপচেপড়া ভিড় ছিল।এবার ইংরেজি নববর্ষ বরণ করে নেওয়ার আগেও একই দৃশ্য ধরা দিয়েছে। রোববার (৩১ ডিসেম্বর) সকাল থেকেই কলকাতার ভিক্টোরিয়া মেমোরিয়াল, আলিপুর চিড়িয়াখানা, নন্দনসহ প্রায় সব দর্শনীয় স্থানে চোখে লাগার মতো ভিড় ছিল।

 

এদিকে, বিকেলের পর থেকেই নিউমার্কেট চত্বর, পার্ক স্ট্রিট চত্বরে জড়ো হতে শুরু করে অসংখ্য মানুষ। আর বর্ষবরণ উপভোগ করতে আসা পর্যটকদের মধ্যে বাংলাদেশিদের সংখ্যা ছিল উল্লেখ করার মতো।

কলকাতার ভিক্টোরিয়া মেমোরিয়াল দেখতে আসা বাংলাদেশের কুষ্টিয়ার বাসিন্দা দেবেশচন্দ্র সরকার বলেন, কলকাতা সবসময়ই আনন্দের শহর। বাঙালিদের উৎসব কিংবা বিদেশি সংস্কৃতির উৎসব যাই-ই হোক না কেন, কলকাতা সবসময় নতুন সাজে সেজে ওঠে। কোনো উৎসবে যে জাতি-ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে সব মানুষ আনন্দ করতে পারে, সেটা কলকাতা এলে বোঝা যায়।

তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশি পর্যটকরা এখানে না এলে বর্ষবরণের আনন্দ বুঝবে না। আর আমি নতুন বছর নতুন জায়গায় কাটাতে পারছি। নতুন নতুন মানুষের সঙ্গে পরিচয় হচ্ছে, কথা হচ্ছে; বেশ ভালো লাগছে। আগামী বছর পৃথিবী শান্তিময় হবে- এই কামনা করি।

 

ঢাকার বাসিন্দা রেহানা তার স্বামী ও মেয়েকে নিয়ে নতুন বছর কাটাবেন কলকাতায়। তার মতে, বর্ষবরণ করতে অনেকে অনেক দেশে গেলেও, আমার কাছে কলকাতাকেই ভালো লাগে। এর একটা বড় কারণ হলো আমাদের ভাষা এক। তাই মনে হয়, আমরা বিদেশ না, দেশেই আছি।

তবে বর্ষবরণ করতে যে শুধু বাংলাদেশ থেকেই পর্যটক এসেছে তা নয়। ভারতের বিভিন্ন রাজ্য থেকেও অনেকে কলকাতায় এসেছেন। মুম্বাইয়ের বাসিন্দা প্রিয়াঙ্কা বলেন, কলকাতার রসগোল্লা অতুলনীয়। এবার পার্ক স্ট্রিটে গিয়ে রসগোল্লা খেতে খেতেই আতশবাজির ঝলমলানি উপভোগ করবো।

 

এদিকে, বর্ষবরণ উপলক্ষে শহরে সজাগ পুলিশ। নিরাপত্তার চাদরে মুড়ে ফেলা হয়েছে গোটা কলকাতা শহর। রাজপথে ঘুরে বেড়াচ্ছে কলকাতা পুলিশের বিশেষ বাহিনী। স্কুটি নিয়ে পুলিশের নারী সদস্যরা টহল দিচ্ছেন।

জানা গেছে, রাতে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর ৪ হাজার সদস্য কলকাতার বিভিন্ন জায়গায় মোতায়েন থাকবেন। কলকাতা পুলিশের কমিশনার বিনীত গোয়েলও বিভিন্ন এলাকা পরিদর্শন করবেন। তবে এবার কলকাতায় বায়ুদূষনের মাত্রা বেশি থাকায় বাজির উপরে কিছু বিধিনিষেধ জারি করেছে পশ্চিমবঙ্গ সরকার। তবে সবুজ বাজিতে কোনো নিষেধাজ্ঞা নেই।