পর্তুগালে বাংলাদেশ দূতাবাসে প্রথমবার প্রবাসী দিবস উদযাপন

পর্তুগালে বাংলাদেশ দূতাবাসে প্রথমবার প্রবাসী দিবস উদযাপন

সংগৃহীত

বাংলাদেশ দূতাবাস, লিসবন, যথাযোগ্য মর্যাদা ও আনন্দমুখর পরিবেশে (৩০ ডিসেম্বর) দূতাবাস প্রাঙ্গনে জাতীয় প্রবাসী দিবস-২০২৩ উদযাপন করেছে। প্রবাসী দিবস উদযাপন উপলক্ষ্যে ব্যানার, পোস্টার, বেলুন, ফেস্টুন এবং রঙিনসাজে দূতাবাসকে সজ্জিত করা হয়। 

দূতাবাসে আয়োজিত জাতীয় প্রবাসী দিবস উদযাপন অনুষ্ঠানে দূতাবাসের কর্মকর্তা, কর্মচারী ও তাদের পরিবারবর্গ, প্রবাসী বাংলাদেশীগণ, শিক্ষার্থী, সাংবাদিক, সাংস্কৃতিক ব্যক্তিবর্গ অংশগ্রহণ করেন। অনুষ্ঠানের শুরুতে দূতাবাসে স্থাপিত জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ম্যুরালের প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তক অর্পণ করেন রাষ্ট্রদূত রেজিনা আহমেদ। 

প্রবাসী বাংলাদেশী বিভিন্ন সংগঠনের নেতা ও কর্মীগণও  জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ম্যুরালের প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন। অতঃপর জাতীয় প্রবাসী দিবস উপলক্ষ্যে রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী, পররাষ্ট্র মন্ত্রী ও প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী কর্তৃক প্রেরিত বাণী পাঠ করা হয়। পরবর্তীতে, জাতীয় প্রবাসী  দিবসের গুরুত্ব ও তাৎপর্য নিয়ে এক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।
 
জাতীয় প্রবাসী দিবসের গুরুত্ব ও তাৎপর্য নিয়ে আলোচনায় বক্তাগণ বাংলাদেশের আর্থ সামাজিক উন্নয়নে প্রবাসীদের অবদানের কথা তুলে ধরেন। রাষ্ট্রদূত রেজিনা আহমেদ তার সমাপনী বক্তব্যে পর্তুগালে বসবাসকারী এবং কর্মরত সকল প্রবাসী বাংলাদেশী এবং তাদের পরিবারের সদস্যবৃন্দকে শুভেচ্ছা ও অভিবাদন জ্ঞাপন করেন।

তিনি বলেন, সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃতে মহান মুক্তিযুদ্ধে প্রবাসী বাংলাদেশীরা অনন্য সাধারণ ভূমিকা রেখেছেন। মুক্তিযুদ্ধ পরবর্তীকালে স্বাধীন সার্বভৌম রাষ্ট্র হিসেবে বাংলাদেশের আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি অর্জন, যুদ্ধ-বিধ্বস্ত বাংলাদেশ পুনর্গঠন, বৈদেশিক সহায়তা এবং কূটনৈতিক কার্যক্রম জোরদার করতে প্রবাসীদের সক্রিয় সহযোগিতা ও অবদান অনস্বীকার্য। তিনি বাংলাদেশে চলমান উন্নয়ন কর্মকান্ডে প্রবাসীদের বিনিয়োগ এবং অবদান রাখার আহবান জানান। 

তিনি বাংলাদেশে বিনিয়োগের বিভিন্ন সুযোগ সুবিধার কথাও তুলে ধরেন প্রবাসীদের সামনে।  তিনি আরও বলেন যে, বাংলাদেশ থেকে অধিকতর পন্য আমদানির মাধ্যমে বাংলাদেশ-পর্তুগালের বাণিজ্যিক সম্পর্ককে আরও গতিশীল করতে পারেন প্রবাসী ব্যবসায়ীগণ। তিনি সকলকে, স্মার্ট বাংলাদেশ গঠনের অগ্রযাত্রায় সামিল হওয়ার অনুরোধ জানান।
 
আলোচনা পর্বের শেষে, জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও তাঁর পরিবারবর্গ, জাতীয় চার নেতা এবং মহান মুক্তিযুদ্ধে আত্মোৎসর্গকারী সকল শহিদদের আত্মার মাগফেরাত এবং দেশের সার্বিক উন্নয়নের জন্য বিশেষ মোনাজাত করা হয়।
 
জাতীয় প্রবাসী দিবস উদযাপন উপলক্ষে দূতাবাসে প্রবাসী শিল্পীদের অংশগ্রহণে এক মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। উক্ত সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে প্রবাসী শিল্পীগণের অংশগ্রহণে গান, কবিতা ও নৃত্য পরিবেশিত হয় যা দর্শকদের বিমোহিত করে। 

তাছাড়া, জাতীয় প্রবাসী দিবসে প্রবাসীদের অংশগ্রহনে ক্রীড়া প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয় যাতে প্রবাসীগন ব্যাপক উৎসাহ-উদ্দীপনার মধ্যে দিয়ে অংশগ্রহণ করেন। পরিশেষে, রাষ্ট্রদূত রেজিনা আহমেদ ক্রীড়া প্রতিযোগিতা এবং সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণকারী সকলের হাতে পুরস্কার তুলে দেন। অনুষ্ঠান শেষে অতিথিদের দেশীয় খাবারে আপ্যায়িত করা হয়।