ময়মনসিংহে অবৈধ বিড়ি ফ্যাক্টরীতে কাস্টমসের অভিযান ও তল্লাশি

ময়মনসিংহের ত্রিশাল উপজেলার তিনটি বিড়ি ফ্যাক্টরীতে অভিযান ও তল্লাশি চালিয়ে দুই লক্ষাধিক নকল ব্যান্ডরোলযুক্ত অবৈধ কমদামী বি‌ড়িসহ বিড়ি তৈরির বিভিন্ন উপকরন জব্দ করেছে কাস্টমস, এক্সাইজ ও ভ্যাট বিভাগ। মঙ্গলবার ময়মনসিংহ কাস্টমস, এক্সাইজ ও ভ্যাট কমিশনারেটের একটি চৌকস টিম এ অভিযান পরিচালনা করেন।  

কাস্টমস, এক্সাইজ ও ভ্যাট বিভাগ সূত্রে জানা যায়, সরকারের মোটা অংকের টাকা রাজস্ব ফাঁকি দিয়ে একটি অসাধু চক্র দীর্ঘদিন ধরে ময়মনসিংহ জেলায় নকল ব্যান্ডরোলযুক্ত বিভিন্ন ব্যান্ডের বিড়ি উৎপাদন ও বিক্রি করে আসছে। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ময়মনসিংহ কাস্টমস, এক্সাইজ ও ভ্যাট কমিশনারেটের রাজস্ব কর্মকর্তা মো মোহাম্মদ এনামুল হকের নেতৃত্বে একটি চৌকস টিম ত্রিশাল উপজেলার কালির বাজার, কৃষ্ণবাড়ি, বালির বাজারের পাশে অবস্থিত তিনটি বিড়ি ফ্যাক্টরীতে অভিযান ও তল্লাশি চালায়।

অভিযানে উক্ত ফ্যাক্টরী ও গোডাউন থেকে দুই লক্ষাধিক নকল ব্যান্ডরোলযুক্ত অবৈধ আলেক বি‌ড়ি, রাশেদ বিড়ি, জনি বিড়ি এবং মোহীনি বিড়ি জব্দ করা হয়। এছাড়া এক লক্ষাধিক জাল ব্যান্ডরোল, কয়েক বস্তা তামাকসহ বিড়ি তৈরির বিভিন্ন উপকরন জব্দ করা হয়েছে।

অভিযানের খবর পেয়ে ফ্যাক্টরীর লোকজন পালিয়ে যায়। ফলে কাউকে আটক করতে পারে নাই কাস্টমস কর্মকর্তারা। বাজারের পাশে ফ্যাক্টরীতে অভিযান চলাকালে উক্ত বাজারের ব্যাবসায়ীদের মাঝে ভীতিকর পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়। ব্যবসায়ীরা নকল ব্যান্ডরোল যুক্ত বিড়ি ভবিষ্যতে আর বিক্রি করবে না বলে কথা দেয়।

ফ্যাক্টরীগুলো গ্রামের মধ্যে অবস্থিত হওয়ায় অভিযানকালে এলাকার মধ্যে আড়োড়ন সৃষ্টি হয় এবং ভীতিকর পরিস্থিতি তৈরি হওয়ার কারণে এলাকার লোকজন এখানে আর ভবিষ্যতে এ ধরনের কাজ করতে দিবেন না বলে জানান।

অভিযান শেষে জব্দকৃত অবৈধ কমদামী বিড়ি ও বিড়ি তৈরির উপকরন ময়মনসিংহ কাস্টমস অফিসে নিয়ে যায় কাস্টমস কর্তৃপক্ষ।

রাজস্ব কর্মকর্তা মোহাম্মদ এনামুল হক জানান, অভিযান থেকে বিপুল পরিমান সরকারি রাজস্ব ফাঁকি দেওয়া অবৈধ বিড়ি জব্দ করা হয়েছে। এসব নকল বিড়ি কোম্পানিগুলো দৈনিক বিপুল টাকার রাজস্ব ফাকি দিয়ে দীর্ঘদিন ধরে অবৈধভাবে তাদের ব্যাবসা কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছিল। নকল বিড়ি গুলো কাষ্টমস বিধি মোতাবেক জব্দ দেখিয়ে আইন অনুযায়ী ব্যাবস্থা গ্রহন করা হবে। নকলের বিরুদ্ধে আমাদের অভিযান অব্যহত থাকবে।