ক্রিকেটে আগ্রহ নেই খাজার, মন পড়ে আছে গাজায়

ক্রিকেটে আগ্রহ নেই খাজার, মন পড়ে আছে গাজায়

উসমান খাজা

অস্ট্রেলিয়া-পাকিস্তান তৃতীয় টেস্ট শুরু হয়েছে আজ বুধবার সকালে। তবে অস্ট্রেলিয়ার ওপেনার উসমান খাজা নিজেই জানিয়েছেন, পাকিস্তানের বিরুদ্ধে তৃতীয় টেস্ট শুরু হলেও সে দিকে তার মন নেই। তার মন ইসরাইল-হামাস যুদ্ধের দিকে। সিডনি টেস্টের আগের দিন অস্ট্রেলীয় ওপেনার জানিয়েছেন, খেলার কোনো আগ্রহই পাচ্ছেন না।

প্রথম টেস্টেই জুতোয় যুদ্ধ বিরোধী বার্তা লিখে মাঠে নামতে চেয়েছিলেন খাজা। ইন্টারন্যাশনাল ক্রিকেট কাউন্সিলের (আইসিসি) আপত্তিতে তার সেই ইচ্ছা পূরণ হয়নি। কালো আর্ম ব্যান্ড পরে খেলেছিলেন। তাতেও আইসিসির সমালোচনার মুখে পড়তে হয় তাকে। এবার তৃতীয় টেস্টের আগে খাজা সরাসরি জানিয়েদিলেন, ক্রিকেট নিয়ে কোনো উৎসাহই পাচ্ছেন না।

পাকিস্তানের বিরুদ্ধে তৃতীয় টেস্ট শুরুর আগের দিন খাজা বলেছেন, ‘যেগুলো করছি, সেগুলো ইচ্ছা করে নয়। একটি ঘটনা আমাকে দীর্ঘ দিন ধরে প্রভাবিত করছে। টেস্ট সিরিজের আগে শেফিল্ড শিল্ড খেলেছি। তখনো নিজেকে ক্রিকেটের জন্য অনুপ্রাণিত করতে পারছিলাম না। স্ত্রী রাচেলের সাথে কথা বলেছিলাম। আমাদের দলের মনোবিদ ব্রেন্ট মেমব্রে এবং ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়ার (সে দেশের ক্রিকেট সংস্থা) কর্তাদের সাথেও কথা বলেছিলাম। সবাইকে জানিয়েছিলাম ক্রিকেট খেলার উৎসাহ পাচ্ছি না।’

তা হলে কি পাকিস্তানের বিরুদ্ধে সিডনিতে খেলবেন না? এ ব্যাপারে সরাসরি কোনো মন্তব্য করেননি খাজা। তবে তিনি শেষ পর্যন্ত পাকিস্তানের বিরুদ্ধে তৃতীয় টেস্টে দলের সাথে নেমেছেন। তিনি গতকাল বলেছেন, ‘যুদ্ধবিধ্বস্ত মানুষগুলোকে দেখুন। বিশেষ করে নিরাপরাধ শিশুদের দিকে তাকান। ওদের অসহায় মৃত্যুর ভিডিওগুলো দেখলে স্থির থাকতে পারছি না। আমাকে ভীষণ প্রভাবিত করছে। এই পরিস্থিতির সাথে লড়াই করতে হচ্ছে আমাকে। এই অবস্থায় ক্রিকেটকে আমার খুব তুচ্ছ মনে হচ্ছে। অসহায় মানুষগুলোকে কীভাবে সাহায্য করা যায়, কী করে সেখান থেকে সরিয়ে আনা যায়- এ সবই ভাবছিলাম। পরিস্থিতি আমাকে ভীষণ ভাবে প্রভাবিত করেছে। উদ্বিগ্ন করেছে। ক্রিকেটে মন দিতে পারছি না।’

ক্রিকেটে মন দিতে না পারলেও পাকিস্তানি বংশোদ্ভূত অসি ওপেনার ফর্মে রয়েছেন। পাকিস্তানের বিরুদ্ধে শতরানও করেছেন। সিডনিতেও তিনি প্যাট কামিন্সদের ব্যাটিং লাইন আপের অন্যতম ভরসা। বিশেষ করে ডেভিড ওয়ার্নারের অবসরের পর টেস্টে ইনিংস শুরু করার ক্ষেত্রে খাজার উপর নির্ভরতা আরও বাড়তে পারে অস্ট্রেলিয়ার।