আজ জন্মদিন বরগুনায় জন্ম নেওয়া জনপ্রিয় এই তারকার
অভিনেতা মীর সাব্বিরকে। (ফাইল ছবি)
বরিশালের আঞ্চলিক ভাষার সংলাপ বলায় ‘ওস্তাদ’ ডাকা হয় অভিনেতা মীর সাব্বিরকে। অভিনয়ে দীর্ঘ ২৫ বছরের ক্যারিয়ারে দেশের অগণিত মানুষের কাছে জনপ্রিয় হয়ে উঠেছেন তিনি। একের পর এক দর্শকনন্দিত নাটক উপহার দিচ্ছেন তিনি। শুধু অভিনয় দিয়ে নয়, পরিচালক হিসেবেও পেয়েছেন সফলতা।
আজ তাঁর জন্মদিন।
এই অভিনেতার জন্ম, শৈশব, কৈশোর বেড়ে ওঠা বরিশালের বরগুনা জেলায়। ছোট থেকেই ‘খেলাঘর’-এর বিভিন্ন সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করতেন তিনি। শৈশবের সেই স্মৃতিচারণা করে গণমাধ্যমে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে এই অভিনেতা বলেন, ‘শৈশবের সময়টা একটি মানুষের জীবনে সবচেয়ে চমৎকার সময়।
আমি খেলাঘর করতাম, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করে প্রথম হতাম। ছোটবেলায় যেমন খুশি তেমন সাজো প্রতিযোগিতায় আমি একবার চার্লি চ্যাপলিন সেজেছিলাম। সে সময় কিন্তু মোবাইল, বই বা এত জানাশোনার সুযোগ ছিল না। কিন্তু তখনই আমার মাথার ভেতরে চার্লি চ্যাপলিনের গল্প ঘুরে বেড়াত।আমি টুপি, কোর্ট ম্যানেজ করে চার্লি চ্যাপলিন সেজে প্রথম পুরস্কার পেয়েছিলাম। বরগুনাতে বসেই আমি তখন নিজেকে প্রস্তুত করেছিলাম। এটা আমার খুব মজার একটা স্মৃতি।’
অভিনেতা না হলে কোন পেশা বেছে নিতেন―এমন প্রশ্নের জবাবে এই অভিনেতা বলেন, ‘আমার মনের ভেতর সব সময় কাজ করত আমি হয়তো অভিনয় জগতের সঙ্গেই সম্পৃক্ত থাকব। এ ছাড়া আমার বাবার ইচ্ছে ছিল ডাক্তার হওয়ার।
আর আমার ইচ্ছে ছিল আর্মিতে জয়েন করার। আর্মি অফিসার দেখলে আমার অন্য রকম লাগে। মনে হয় সামনের দিকে এগিয়ে যাওয়ার প্রত্যয় নিয়ে দাঁড়ানো, কথা বলা অন্য রকম এক ব্যাপার কাজ করে। আমি ইন্টার সার্ভিসেস সিলেকশন বোর্ডে (আইএসএসবি) দুবার অংশগ্রহণ করেছিলাম এবং দুবারই ফেল করেছি।’
অভিনয়ের শুরু থেকে আজকের মীর সাব্বির হওয়ার গল্পটা সহজ ছিল না এই অভিনেতার। অভিনয়ের শুরুর গল্প সম্পর্কে এই অভিনেতা বলেন, “বরগুনাতে খেলাঘর থেকে ‘খ্যাতির বিড়ম্বনা’ নামের এক নাটক করেছিলাম। সেই নাটক দিয়ে আমার শুরু। তারপর মঞ্চ, বরগুনার থিয়েটার, খেলাঘরের মঞ্চনাটক, ঢাকায় এসে নাগরিক নাট্যাঙ্গন, কণ্ঠশীলন, বিটিভিতে ১৯৯৬ সালে তালিকাভুক্ত হওয়ার পরীক্ষা দিই। অনেক প্রতিযোগীর মধ্যে আমি সুযোগ পেয়ে যাই। তারপর দীর্ঘ সময় অপেক্ষা করে বিটিভিতে নাটকের সুযোগ পাই। ১৯৯৯ সালে ‘পুত্র’ নামে একটি নাটক দিয়ে আমার টেলিভিশন অভিনয়ের যাত্রা শুরু হয়। এরপর অসংখ্য নাটক করেছি।”
অভিনয়ের বাইরে নিয়মিত নাটক পরিচালনাও করেন তিনি। তাঁর পরিচালনার মধ্যে সবচেয়ে বেশি জনপ্রিয়তা পায় ধারাবাহিক নাটক ‘নোয়াশাল’। এই অভিনেতা প্রথমবারের মতো ‘রাত জাগা ফুল’ নামের একটি সিনেমা নির্মাণ করেছেন। ২০২১ সালের ৩১ ডিসেম্বর সিনেমাটি মুক্তি পায় সিনেমাটি।