আল্লাহ যাকে ইচ্ছা ক্ষমতা দান করেন

আল্লাহ যাকে ইচ্ছা ক্ষমতা দান করেন

প্রতীকী ছবি।

মানবসমাজের ভারসাম্য রক্ষায় মহান আল্লাহ মানবজাতিকে নানা শ্রেণি ও গোষ্ঠীতে বিন্যস্ত করেছেন। তিনি কাউকে জ্ঞানী করেছেন আর কাউকে মূর্খ, কাউকে ধনী করেছেন আর কাউকে দরিদ্র, কাউকে শাসক করেছেন আর কাউকে জনতা। পার্থিব জীবনে আল্লাহ যাঁদের সম্মানিত করেছেন তিনি তাঁদের প্রতি অনুগ্রহ করেছেন এবং তিনি অপরপক্ষের প্রতি সুবিচার করেছেন। এভাবেই তিনি শ্রেণিবদ্ধ মানবসমাজের ভারসাম্য রক্ষা করেছেন।

মহান আল্লাহ বলেন, ‘এরা কি তোমার প্রতিপালকের করুণা বণ্টন করে? আমিই তাদের মধ্যে তাদের জীবিকা বণ্টন করি, পার্থিব জীবনে এবং পরস্পরের ওপর মর্যাদায় উন্নত করি, যাতে একে অপরের দ্বারা কাজ করিয়ে নিতে পারে; এবং তারা যা জমা করে তা থেকে তোমার প্রতিপালকের অনুগ্রহ উৎকৃষ্টতর।’ (সুরা : জুখরুফ, আয়াত : ৩২)

রাষ্ট্রক্ষমতাও মহান আল্লাহর একটি বিশেষ অনুগ্রহ। তিনি যাকে খুশি তাকে এই অনুগ্রহ দান করেন। পবিত্র কোরআনে ইরশাদ হয়েছে, ‘বোলো, হে সার্বভৌম শক্তির মালিক আল্লাহ! তুমি যাকে ইচ্ছা ক্ষমতা প্রদান করো এবং যার কাছ থেকে ইচ্ছা ক্ষমতা কেড়ে নাও; যাকে ইচ্ছা তুমি সম্মানিত করো আর যাকে ইচ্ছা তুমি হীন করো।

কল্যাণ তোমার হাতেই। নিশ্চয়ই তুমি সব বিষয়ে সর্বশক্তিমান।’ (সুরা : আলে ইরমান, আয়াত : ২৬)

রাষ্ট্রক্ষমতা আল্লাহর অনুগ্রহ হলেও তা চিরস্থায়ী নয়, কখনো মানুষ এমনভাবে ক্ষমতাচ্যুত হয়, যা তার কল্পনাতীত। তাই যারা ক্ষমতা লাভ করে তাদের দায়িত্ব হলো সুবিচার ও সুশাসন প্রতিষ্ঠা করা।

ইরশাদ হয়েছে, ‘মানুষের মধ্যে এই দিনগুলোর পর্যায়ক্রমে আমি আবর্তন ঘটাই, যাতে আল্লাহ মুমিনদের জানতে পারেন।’ (সুরা : আলে ইমরান, আয়াত : ১৪০)।

শাসকরা যখন আল্লাহর অনুগ্রহ ক্ষমতার সদ্ব্যবহার করতে না পারে, তারা অত্যাচারীর ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়, তখন আল্লাহ মানবজাতির স্বার্থে ক্ষমতার পালাবদল ঘটান। ইরশাদ হয়েছে, ‘আল্লাহ যদি মানবজাতির এক দলকে অন্য দল দ্বারা প্রতিহত না করতেন, তা হলে বিধ্বস্ত হয়ে যেত খ্রিস্টান সংসারবিরাগীদের উপাসনাস্থান, গির্জা, ইহুদিদের উপাসনালয় এবং মসজিদগুলো—যাতে অধিক স্মরণ করা হয় আল্লাহর নাম।’ (সুরা : হজ, আয়াত : ৪০)

আল্লাহ শাসক ও শাসিত সবাইকে সুপথ দান করুন।

আমিন।