পশ্চিমবঙ্গের নাম বদলে ‘বাংলা’ রাখার প্রস্তাব মমতার

পশ্চিমবঙ্গের নাম বদলে ‘বাংলা’ রাখার প্রস্তাব মমতার

ছবিঃ সংগৃহীত।

বাংলাদেশ নামে যদি একটি দেশ থাকতে পারে তাহলে পশ্চিমবঙ্গ কেন বাংলা হতে পারে না? এমনই মন্তব্য করলেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জী।

বৃহস্পতিবার (১১ জানুয়ারি) পশ্চিমবঙ্গের সরকারের সচিবালয় নবান্নে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জী পশ্চিমবঙ্গের নাম পরিবর্তন করে বাংলা রাখার কথা জানালেন।পশ্চিমবঙ্গ সরকারের সচিবালয় নবান্নের সভার ঘর থেকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জী বলেন, আমরা রাজ্যের নাম সংক্রান্ত বিষয়ে দুবার বিধানসভায় বিল পাস করিয়েছি। কেন্দ্র যা যা তথ্য চেয়েছে সব দিয়েছি। তাও দীর্ঘদিন ধরে বাংলা রাজ্যের নামটি তারা দিচ্ছে না। বোম্বে থেকে মুম্বাই হয়েছে, উড়িষ্যা থেকে ওড়িশা হয়েছে আমাদের কেন হবে না? আমাদের কি অপরাধ?

পশ্চিমবঙ্গের নাম বাংলা হলে যেসব ছেলে মেয়েরা বিভিন্ন প্রতিযোগিতায় ও পড়াশোনা করতে বাইরে যায় তারা অনেক সুবিধা পাবে।এরপর তিনি বাংলাদেশের নাম করে বলেন, পাঞ্জাব ভারতের একটি রাজ্য, আবার পাকিস্তানেও একটি রাজ্য আছে পাঞ্জাব। সেরকম বাংলাদেশ নামে যদি একটি দেশ থাকতে পারে, তাহলে পশ্চিমবঙ্গ কেন বাংলা হতে পারে না? এই নিয়ে আমরা অনেকবার অনুরোধ করেছি কেন্দ্রকে।

মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জী বাংলা ভাষার স্বীকৃতি নিয়ে বলতে গিয়ে বলেন, অন্য রাজ্যের ক্লাসিক্যাল ভাষা যদি স্বীকৃতি পায়, তাহলে আমাদের ভাষা কেন পাবেনা? আমাদের সব রকম পাওয়ার যোগ্যতা ছিল। কিন্তু অপদার্থতা আমাদেরই। কারণ আগে যারা ছিলেন তারা কখনো এটা নিয়ে ভাবেননি, চর্চাও করেননি। তাদের রাজনীতি নিয়ে যতটা মন ছিল, এসব করা নিয়ে কোনো মন ছিল না। এটা হয়ে গেলে এটি একটি সেন্টার অব এক্সিলেন্স তৈরি হবে। বাংলা পৃথিবীর গুরুত্বপূর্ণ ভাষার মধ্যে একটি। আমরা গবেষণার মাধ্যমে বাংলার প্রাচীনতা ও ধ্রুপদী মর্যাদা প্রতিষ্ঠা করলাম। কেন্দ্র এবার ক্লাসিক্যাল ভাষা হিসেবে বাংলাকে মেনে নিক। এই নিয়ে আমি আজকেই কেন্দ্রকে চিঠি দিয়েছি।

বিশ্ব জুড়ে করোনা পরিস্থিতি যেভাবে আবার উদ্বেগ বাড়াতে শুরু করেছে। সেই করোনা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জী।করোনা নিয়ে সতর্ক করে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতালগুলোর কাছে আমার পরামর্শ থাকবে যাতে আইসিসিইউ গুলোকে ইনফেকশন মুক্ত রাখা হয়। স্পেন, আমেরিকায় একটু বেশি কোভিড হচ্ছে। যারা যারা পারবেন একটু বেশি করে মাস্ক ব্যবহার করবেন। আমরা জোড় করে কিছু করছি না। ব্যবসায় কোনো সমস্যা হবে না। কিন্তু ভিড় জায়গায় যখন কেউ যাবেন একটু সতর্ক থাকবেন।